পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృషిe - ASMMMS SSASAS SS SAAAA •w-- -مبہم پیج---می مے نسیج. --م~~ چيصچ = যিনি বিশ্বাস-নঙ্গরে অারোহণ করিয়াছেন, তিনিই এই সংসারসাগরের ভীষণ তরঙ্গরাশির মধ্যে স্থির এবং নিরাপদ । বিশ্বাসভেলা ব্যতীত পারে যাওয়া যায় না । বিশ্বাসীর হৃদয়বীণা তারার নিখাদে বাধা । অবিশ্বাসী তাহা শ্রবণ করিতে পায় না । সে উহা বুঝিতে বা তত উচ্চে স্থর তুলিতেও পারে না । বিশ্বাসী, অবিশ্বাসীর ন্যায়, অন্ধকারের মধ্যে প্রস্তর নিক্ষেপ করেন না । তাহার লক্ষ্য স্থির এবং স্পষ্ট । তুমি আমি লক্ষ্য বিধিবার সময় “চক্ষু” ব্যতীত অন্য বস্তুও দেখিতে পাই কিন্তু বিশ্বাসীর নিকট একমাত্র অদ্বিতীয় লক্ষ্যই দৃষ্টিগোচর হয়। বৈয়াকরণের জগতের মধ্যে অসংখ্য “কর্তা” দেখিয়া থাকেন । কিন্তু বিশ্বাসীর চক্ষে এক ব্যতীত দ্বিতীয় কর্তা কেহই । নাই । বিশ্বাসী বিশুদ্ধ জ্ঞাননেত্ৰে এক অদ্বিতীয় আদি কারণকেই সৰ্ব্ববিষয়ের বীজকারণরূপে দেখিতে পান । তুমি আমি সুরভি পুষ্পের জয়মালা কণ্ঠে দুলাইয়া যে সুখাস্বাদনে বঞ্চিত, বিশ্বাসী চিরনির্যাতন সহ্য করিয়া, মস্তকে কণ্টকের মুকুট পরিধান করিয়া ও তাহার সহস্ৰগুণ সুখ সম্ভোগ করেন। অমরাবতীর প্রাসাদমালাকে উপহাস করে এরূপ রত্নখচিত তাজমহলে আরামশয্যাতে শায়িত হইয়। ধনকুবের যে স্থখমরীচিকার জন্য বৃথা লালায়িত, বিশ্বাসী তাচার সখার “ছাচাতে” দণ্ডায়মান হইয়া সেই সুখ ও বিশ্রাম অনায়াসে লাভ করেন । যাহার আত্মা বিশ্বাস-তরুর শিখরে আশ্রয় লইয়াছে, নীচতা তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না । বিশ্বাসীর রাজ্য ভবিষ্যতের দেশে, মৃত্যু-সীমার অন্য পার্থে। শান্তির ক্রোড়ে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা শায়িত হইয়। তিনি উজ্জ্বল বিশ্বাস নয়নে s२ कन्न, s छोड्न অনন্ত ধনরত্ব পর্যবেক্ষণ করেন । আর অবিশ্বাসী সংসারের ধূলির জন্য উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটাছুটি করিয়া মরিয়া থাকে। n দার্শনিকের ন্যায় বিশ্বাসীর দর্শন দর্শনের অগ্ৰেই আরম্ভ হয় না । তাহার দর্শনে ভাষা, কল্পনা, কিম্বা ন্যায়ের কোনই প্রয়োজন নাই। র্তাহার দর্শন “চখে চখি,’’ নয়নে নয়নে মিলন । দার্শনিকের দর্শন পশ্চাৎ হইতে নাসিকা নির্দেশ করে। বিশ্বাসীর দর্শন সহজেই উহ। প্রদর্শন করে । প্রথমটীর সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত। দ্বিতীয়টার মীমাংস নিশ্চিত, অসংশয়, দ্বিধাশূন্য । দার্শনিকের নয়নপথ ব্যাপিকা রেখা দ্বারা আবদ্ধ । বিশ্বাসীর দৃষ্টি অন্তকে অতিক্রম করিয়া অনন্ত পর্য্যন্ত পরিব্যাপ্ত । তমসাচ্ছন্ন আকাশে নক্ষত্রগণ যেমন শোভা পায়, মোহাচ্ছন্ন মানবসমাজে বিশ্বাসী তেমনি শোভা পান । চন্দ্রমণ্ডল যেমন চতুৰ্দ্দিকস্থ মেঘমালাকে কিরণধারাতে স্নাত করে, বিশ্বাসী তেমনি আপনার নিজ সমাজকে জীবনের জ্যোতিতে উজ্জ্বল করেন । বিশ্বাসীই ব্রহ্ম নাম লইবার অধিকারী । অবিশ্বাসের সহিত ব্ৰহ্মনাম উচ্চারণ করা মহা পাতক । বরং অবিশ্বাসের সহিত নামোচ্চারণ কালে রসনাকে সংযত করিলে পুণ্যসঞ্চার হয়। মহাকবি মিণ্টন বর্ণিত স্বৰ্গদেবতাগণের শারীরিক ক্ষত জন্মিবামাত্র যেমন আtরোগ্য লাভ করিবে, তেমনি বিশ্বাসীর যতই ক্ষতি কর না, তদণ্ডেই উহার পূরণ হইবে । চক্ষুহীনের পক্ষে এই বিচিত্রকৌশলময় জগৎ, অগণ্যনক্ষত্রখচিত অনন্ত অা