পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ ১৮১২ বিশ্বাস ృఏ\లి που μψυψα go اسسسسسسسسسسمحسجيجيa সন্ধ্যার প্রারম্ভে চন্দ্রাভাবে ক্ষুদ্র ক্ষীণ জ্যোতি সান্ধ্য তার কাকে যেরূপ বৃহৎ ও সুন্দর দেখায়, সেইরূপ সংশয়বিহীন বিশ্বাসোদয়ের পূৰ্ব্বে সামান্য সংশয়মিশ্র বিশ্বাসই প্রচুর বোধ হয়। শৈশবকালে অনেকের বোধ হয় “আমার হস্তাক্ষর ত মন্দ নয় ।” কিন্তু কিছুকাল পরে তাহ দেখিলে বোধ হয়, “কি জঘন্য লেখা !” সেইরূপ বিশ্বাসের শৈশবাবস্থাতে সামান্য পরীক্ষা উত্তীর্ণ হইতে পারিলেই হৃদয় আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠে । কিন্তু যতই আত্মা উন্নত হয়, এবং ধৰ্ম্মযৌবন লাভ করিতে থাকে, ততই আমরা স্পষ্টতররূপে বুঝিতে পারি যে, আমাদিগের বিশ্বাস সম্বন্ধীয় পূর্বসংস্কার ভ্রান্তিপূর্ণ ছিল, এবং এখন আমরা এক বিন্দুও প্রকৃত জীবন্ত বিশ্বাস লাভ করিতে সমর্থ হই নাই। অবিশ্বাস-বিকার উপস্থিত হইলে আত্মা “হ হতোস্মি” করিয়া বেড়ায় ও হৃতবৎসা গাভীর ন্যায় অন্য কোন বিষয়েই শান্তি লাভ না করিয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করে । বিকার উপশমিত না হইলে, দগ্ধ জীবন শীতল হয় না, আহারে বিহারে কোন বিষয়েই আত্মা আনন্দ লাভ করে না । মৃতসঞ্জীবন বিশ্বাস ব্যতীত প্রাণ জুড়ায় না, কিছুতেই মানবাত্মাকে স্থির, বা সুস্থ করিতে, অথবা চেতনা দিতে পারে না । ংসারসেবা অপেক্ষা বিশ্বাসীর পক্ষে মহা কলুষ আর নাই। তিনি “ব্যভিচারিণী জুনিয়ার” ন্যায় সংসারাসক্ত নহেন। আপনার প্রভুকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যের শরণাগত হওয়৷ তাহার নয়নে ব্যভিচার, স্বামীর প্রতি অন্যায়াচরণ । যখন বিভাবরী চলিয়া যায়, পূৰ্ব্ব গগনে শুকতার হাসিতে থাকে, যখন সূৰ্য্যরশ্মি অল্পে অল্পে তিমিরাচ্ছন্ন মেঘজল ভেদ | ландащаващи MMATSTAAASASASS করত গিরি গুহ, বন উপবন, নগর প্রান্তরকে জাগাইয়া তুলে,যখন পুষ্পকুল শিশিরবিন্দুপানে পরিতৃপ্ত হইয়া প্রভাতসমীরে উল্লাসে হেলিতে দুলিতে থাকে, এবং প্রকৃতিময় এক অপূৰ্ব্ব স্থধাময় তান উঠে, সেই সময়ে যেমন বিহঙ্গসমাজ ঘন বৃক্ষশাখার মধ্য দিয়া সূৰ্য্যালোকের পূর্বরাগ নিরীক্ষণ করিয়া,আপনাপন কুলায়ে জাগিয়া আনন্দে গাহিয়া উঠে ; সেইরূপ মানব আত্মা যখন ঘোর মোহনিদ্রায় অভিভূত থাকে, পাপতমোরাশি যখন তাহার দিব্য মুখমণ্ডলকে | আচ্ছন্ন করিয়া রাখে, এবং অজ্ঞানজাল তাহার চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া থাকে, সেই সময়ে পাপমেঘের মধ্য দিয়া, অজ্ঞানজাল ভেদ পূর্বক, নয়ন হইতে অন্ধকারের আবরণ অপসারিত করিয়া, বিশ্বাস-সূর্য্যের পূৰ্ব্বালোক প্রাণের মধ্যে প্রবেশ পূর্বক আত্মাবিহঙ্গের চক্ষে লাগিবামাত্র, মনুষ্যের ঘুমন্ত আত্মা ব্ৰহ্মনাম গাহিয়া জাগিয় উঠে, গিরি গুহা, বন উপবন, নগর প্রান্তর সেই অমিয়মাখা অজস্র সঙ্গীতধারাতে পরিপূরিত হয় । o বিশ্বাসীর চক্ষে একমাত্র পরমায়াই আত্মা-বৃক্ষের মূলস্বরূপ । আত্মা পরমাত্মার ছায়া, মানুষ ডাকিলেই মঙ্গলময় আইসেন, এবং চাহিলেই ভিক্ষা দেন । ঈশ্বর এমনই দয়াল এবং প্রেমময় যে তিনি আমাদিগকে সমস্ত জগৎ উপহার দিয়াও ক্ষান্ত নহেন, তিনি আপনাকে পর্য্যন্ত আমাদিগকে দান করিয়া থাকেন। অামাদের সেবার জন্য কেবল জগৎকে ভৃত্যরূপে নিযুক্ত করিয়াই তিনি সস্তুষ্ট নহেন, তিনি স্বয়ং আমাদের সেবায় যত্নশীল। তিনি যেরূপ আমাদের সেবা করিয়া থাকেন, সেরূপ বল কে র্তাহার সেবা করিতে পারে ?