পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

घांघ »v११ যাহাদের অন্তরিদিয়গণ বিকল হইয়৷ গিয়াছে,যাহারা ঈশ্বরের বাণী শ্রবণ করিতে মুক্ষম, যাহার। সত্যপথ দেখিতে পায় না, যাহারা ধৰ্ম্মপথে ইচ্ছাসত্ত্বেও চলিতে অপারগ ও প্রতি পদে পদে পড়িয়া যায়, তিনিই তাহাদিগের চক্ষু, কর্ণ, যষ্টি এবং বল । তিনিই অনাথ জনের পিতামাতা, বন্ধুহীনের বন্ধু,এবং নিরাশ্রয়ের আশ্রয় । তিনি দয়াময়, প্রেমময়, সৰ্ব্বশক্তিমান । যাহাদের জ্ঞান নাই, বুদ্ধি নাই, ধন জন, বল যোগ্যতা সুখ সম্পদ কিছুই নাই, যাহারা চিরদিন অহঙ্কারী সংসারের ভ্রুকুট ও পদাঘাতের বস্তু, যাহারা দুঃখ দারিদ্রের চরম সীমায় উপনীত হইয়াছে এবং কোথাও মস্তক রক্ষা করিবার স্থান পায় না, তাহারা অন- | ন্যোপায় হইয়া সভয়ে, সকাতরে জননীর শান্তিপ্রদ ক্রোড়ে দুঃখ সন্তপ্ত আত্মা জুড়াইতে চাহিলে কি তিনি অভয়দান না করিয়া তাহাদিগকে পদাঘাত করিয়া অনন্ত হতাশসাগরে নিক্ষেপ করিবেন ? ক্ষুধিত, পিপাनिङ, बाङ्कुर्तिब्रश्डि, श्रीलङडिङ्कङ, বিপথগামী সন্তান অবশেষে গলদ শ্রীলোচনে বিশ্বপালনী অন্নপূর্ণার সদাব্রতের দ্বারে উপস্থিত হইলে, কোন প্রাণে তিনি তা বিশ্বাস হাকে তাহার দ্বার হইতে অনাহারে দূর | করিয়া দিবেন ? ব্রহ্মের ন্যায় কে আর বল এমন অতিথিসৎকার করিতে পারে ? এমন কোন কাল, স্থান বা অবস্থা আছে, যাহাতে বিশ্বাসী তাহার অভয় ক্রোড়ে স্থান লাভ না করেন ? বিশ্বাসী ক্ষণকালের জন্যও হৃদয়ে অবিশ্বাসকে স্থান দিতে পারেন না । এক দিন প্রিয়তমের আগমনের বিলম্ব হইলেই, তিনি ংশয়-রূপ ভুজঙ্গকে হৃদয়ে বাস করিতে দেন না। র্তাহার প্রেম সংসারের দুই দিনের হাসি খুসি নহে। তিনি প্রিয় ృసి(t ... ∞ জনের প্রতি সন্দিগ্ধ হইতেই পারেন না । যিনি চিরদিন ভূবনেশ্বর হইয়াও, নিজের অতুল্য, অনুপম, এবং অদ্বিতীয় পদমর্য্যাদা বিস্মৃত হইয়া, চরবাস পথের কাঙ্গালের দুঃখবিপদের সময় তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়কুটীরে বসিয়া স্বয়ং বিষাদাশ্র মুছাইয়া দিয়াছেন, যিনি চিরকাল রোগশোকের সময় জননীর ন্যায় প্রেমহস্ত বুলাইয়। রোগের জ্বালা যন্ত্রণা জুড়াইয়া দিয়াছেন, এবং যিনি পরম বন্ধু হইয়া, মানাপমান সহ্য করিয়া ও, সম্পদে বিপদে, চিরদিন সমভাবে আমাদের জন্য মঙ্গল বিধান করিতেছেন, বিশ্বাসী কোন প্রাণে র্তাহার প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করি বেন ? যিনি শিশুর জন্য মাতৃস্তনে দুগ্ধ এবং মাতৃহৃদয়ে স্নেহনীর সঞ্চারিত করিয়াছেন, যিনি কুকুটকে বিপদকালে তাহার সাবকগুলিকে পক্ষছায়া দ্বারা রক্ষা করিতে শিখাইয়াছেন, তিনি কি অমঙ্গলের সময় আমাদিগকে র্তাহার কৃপাছায়াতে আশ্রয় দিবেন না, এবং আমাদিগকে পরিত্যাগ করিবেন ? এইরূপ প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর বিশ্বাসীর জীবনগ্রন্থে অন্বেষণ কর । বৃক্ষলতার একটি শুষ্ক পত্র ঝরিলে, তাহার স্থানে দশটী মনোহর হরিৎ পল্লব জন্মিয় থাকে। এইরূপ প্রত্যেক পল্লবে, এবং প্রকৃতিময় স্বষ্টিকর্তার স্বহস্তলিখিত সুসমাচার বিশ্বাসীরই নয়নগোচর হইয়া থাকে । জগৎ তাহার নিকট এক অনন্ত আশ-শাস্ত্র। তিনি অদৃষ্ট ও অন্ধকার পথেও বিশ্বাসের সাহায্যে চলিয়া থাকেন । বিশ্বাসী ব্রহ্মে বিশ্বাস করেন, সুতরাং র্তাহার স্বরূপসমূহে বিশ্বাস করিয়া থাকেন। অর্থাৎ সত্য, প্রেম এবং পবিত্রতার জয়