পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృసిసిలి ജിമ്മങ്ങ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • q. s ot په ج د

> - - _ _ হইবেই হইবে, বিশ্বাসী ইহা স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ-রূপে জানেন । বিশ্বাসী ব্রহ্মের নিকট প্রার্থনা করেন, তাহার উদেশে নহে । বিশ্বাসীর বাক্য এত অধিক বলোর সহিত প্রাণের দ্বারে আঘাত করে, যে আমরা তাহার নিকট আত্মার দ্বার কদাচই আবদ্ধ করিয়া রাখিতে পারি না । নিরক্ষর ব্যক্তির প্রাণের মধ্য হইতে এমনই বাণী-ত্ৰোত প্রবাহিত হয় যে, সেরূপ বাগ্মিত। পূর্বে আর পৃথিবীতে কখনও শ্রত হয় নাই । চুম্বক যে প্রকার লৌহখুলীকে আকর্যণ করে, ইহঁাদের বাক্য, সেই প্রকার, মানব আত্মাকে ধৰ্ম্মের দিকে অাকর্ষণ করে। তাড়িতপূর্ণ শরীর যেমন বিরুদ্ধ প্রকৃতিসম্পন্ন অন্য শরীরকে আপনার দিকে আকর্ষণ করিয়া স্পর্শমাত্রেই তা- ৷ হাতে নিজ তাড়িত সংক্রামিত করিয়া দেয়, সেইরূপ বিশ্বাসী হৃদয়গ্রাহী বাগিতা দ্বারা বিশ্বাসহীন আত্মাকে আকর্ষণ করিয়া তাহাতে বিশ্বাস সঞ্চারিত করিয়া দেন । আমরা অনর্গল ভাষার সমুদায় শব্দভাণ্ডার ব্যয় করিলেও, একটী কথাও মানবসমাজের হৃদয়কে স্পর্শ করিতে সক্ষম হয় না, এবং লঘু বাম্পের ন্যায় কোথায় বায়ুতে মিশাইয়া যায় ; কিন্তু এক একটা নিজীব শব্দ বিশ্বাসীর প্রাণ হইতে নির্গত হইয়া, কামান মুখ নিঃস্বত্ত তেজপূর্ণ গোলকের ন্যায় অরতিবিমাশমন্ত্র জপিতে জপিতে অধৰ্ম্ম এৰং কুসংস্কারের প্রতি ধাবিত হইয়। থাকে। পূৰ্ব্বতন মহাজনগণ ইহার জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণস্থল । যদি অনুসন্ধান করা যায় যে, অবিশ্বাসী কে, তবে দেখা যায় যে, এক অর্থে, কেহই অবিশ্বাসী নহেন, কারণ সক AASAASAASAASAAJS من-مم------- جه ح লেই ব্রহ্মে বা ব্রহ্মের স্বরূপে বিশ্বাস করেন । নভোমণ্ডলে প্রকাশিত মনোহর তারকাক্ষর লিখিত বেদ অধ্যয়ন করিলে নাস্তিকও আপনার মূখত এবং অহঙ্কার ভুলিয়া যায়। মানব চক্ষু থাকিতেও অন্ধ, এবং শ্রবণ থাকিতেও বধির । এই চেতন ও অচেতন জগতের অতীব বিচিত্র প্রকৃতি এবং কার্য্যপ্রণালী পর্য্যালোচনা করিয়াও মানব নাস্তিক হইতে সাহসী হয় ! কিমাশ্চর্য্যমতঃপরমৃ ? দ্ব্যলোকে সূৰ্য্য গলদঘৰ্ম্মকলেবরে সমস্ত দিবস বিচরণ পূর্বক ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বরের নাম প্রচার এবং মহিমা কীৰ্ত্তন করিয়া, মনুষ্যের অবিশ্বাস দর্শনে লজ্জারক্তিম বদনে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত দেহে, পশ্চিম-সাগরতলে মুখ লুকাইবার জন্য তদভিমুখে ধাবিত হয়েন । বিদায়কালে তাহার নিকট এই দুঃখকাহিনী শ্রবণ করিয়া সন্ধ্যাও, যেন, মান ও বিবর্ণ মুখে আমাদের দুর্ভগ্যের বিষয় ভাবিতে থাকে । আবার অাশা-শশী উদিত হইলেই পুনরায় প্রকৃতি হাসিতে থাকে । যাহার কৃপাতে দুৰ্দ্দান্ত সল ধৰ্ম্ম-প্রাণ পল হইয়াছিলেন, যাহার প্রসাদে রত্নাকর, জগাই মাধাই নরকের কীট হইয়াও অক্ষয় পদ লাভ করিয়াছিলেন, অমুক্ষণ যাহার করুণাতে আমরা জীবনধারণ ও সৰ্ব্বস্থখসম্ভোগ করিতেছি, তাহারই কৃপামঞ্চে আরোহণ করিয়া, বিশ্বাস-ধনুর সাহায্যে আমরা নিশ্চয়ই হৃদয়ারণ্যের রিপু, অবিশ্বাস ও প্রোলোভনাদি হিংস্র পশুগণকে বিনাশ করিতে সমর্থ হইবই হইব । “হে প্ৰভু ! আমরা তোমাতে বিশ্বাস করি। তুমি আমাদের অবিশ্বাস দূর কর।”