পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ১৮ ১২ जीबन চরিত ృన్స% পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত। ( পূৰ্ব্বপ্রকাশিতের পর) শিবনারায়ণ পুনরায় বলিলেন, স্ত্রীলোকদিগের সৰ্ব্ববিষয়ে গুণ পুরুষ অপেক্ষা জুই গুণ । তোমরা প্রত্যক্ষ দেখ যদি বাল্যকাল হইতে স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যাশিক্ষা নে ওয়া হয়, তাহা হইলে উহাদেব এমগুণ আছে যে, পুরুষের যে বিদ্য আট বৎসরে লাভ হয়, স্ত্রী তাত চারি বৎসরে উপার্জন করিবে । এবং উত্তম শ্রেষ্ঠ কার্য্য উপাসনা ও ব্রহ্ম-বিদ্যা ই তাণি পুরুষদের যদি আট বৎসবে হয়, তাত। গুইলে স্ত্রীলোকদিগকে উত্তমরূপে শিল্প দিলে চারি বৎসরের মধ্যে হইবে । লোকের স্ত্রীলোকগণের শিক্ষা না দিবার কারণ এই যে, যদ্যপি উহাদের উত্তম ব্রহ্ম-বিদ্যা প্রাপ্তি হয় তাহা হইলে নির্ভয় হইযা পুরুষদিগের বিনা অনুমতিতে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক কার্য্য কপ্লিবে – এবং স্বাধীন ও প্রাপ্ত ই ঠয়া সেবা ইত্যাদি পুরুষের আজ্ঞাধীন কোন কাৰ্য্য করিবে না -- পুরুষ মহাত্মাগণ কেবল মাত্র স্বার্থ ও হিংসার কারণে স্ত্রী, দিগকে এই সমস্ত শ্রেষ্ঠ কার্য্যে প্রবৃত্ত করান না। কিন্তু ঈশ্বরের এরূপ নিয়ম নহে । তিনি সকলের প্রতি শ্ৰেষ্ঠ কাৰ্য্য করিতে অধিকার দিয়াছেন। শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য করিলে সকলেহ উত্তম ফল প্রাপ্ত হয় । অতএব ঈশ্বরের নিয়ম অনুসারে সকলেরহ শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য করিতে স্বাধীনতা থাকা কৰ্ত্তব্য । ইহার পর সভাভঙ্গ হইলে উপস্থিত একজন মহাজন বলিলেন, তোমরা আজ আমায় পরম মহাত্মা সাধু পুরুষ দশন করাইলে। আমার পরম সৌভাগ্য যে আজ তোমাদের অনুগ্রহে এইরূপ সাধু দর্শন করিলাম। আজ আমার বাটীতে মহাত্মার সেবা হইবে । এই বলিয়া শিবনারায়ণকে সঙ্গে লইয়া সেই মহাজন বাটী আসিলেন । শিবনারায়ণ রাত্ত্বে সেইস্থানে বিশ্রাম করিয়া প্রাতঃকালে গোদাবরী তীর্থাভিমুখে যাইলেন । সেখানে শুনিলেন সাঙ্গ বেদাধ্যায়ী অদূরে এক জ্ঞানবান পণ্ডিতের বাস । তিনি শান্তমূৰ্ত্তি ও সন্ন্যাসী পরমহংসদিগকে উত্তম রূপে সেবা করিয়া থাকেন । এইরূপ অনেক স্থানে গল্প শুনিতে পাইয়া শিবনারায়ণ মনে মনে ভাবিলেন যে এই পণ্ডিত হয়ত ভেকধারি সন্ন্যাসী পরমহংসদিগকে সেবা করিয়া থাকে। কেন না যিনি যথার্থ পরমহংস এবং সন্ন্যাসীর অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন অর্থাৎ যাহার আত্মা ও পরমাত্মার এক স্বরূপ বোধ হই


نے کے ہے --- 呼 معہ .

ब्रांtछ् ठिनि ऊ ८कांना ८छ८क व्र 5िडू थांब्र १ अर्थव। লোককে জানাইবার জন্য অন্য কোন প্রপঞ্চ করি বেন না । যেরূপ ব্রহ্মের কোন আ বস্ত বা লক্ষণ নাই যে সেই লক্ষণ দ্বারা ব্ৰহ্মকে চেনা যাইবে সেইরূপ যথার্থ অবস্থাপন্ন পরমহংস সন্ন্যাসী মহাত্মাকে কোন লক্ষণ বিশেষে চেনা যায় না। তবে সেই বেদাধ্যায়ী পণ্ডিত কিরূপে চিনিয়া যথার্থ সন্ন্যাসী পরমহংসকে অাদর অথবা সেবা করেন ? এইরূপ ভাবিয়া শিবনারায়ণ পণ্ডিতের বাটীতে যাইয়। দেখিলেন যে সেখানে একটি শিবালয় আছে। সেই শিবলিয়ের মধ্যে কেহ কেহ শিবের পূজা করিতেছেন, ক একজন নিত্য নিয়ম করিতেছেন এবং কেহ কেহ বাহিরে পাঠ কবিতেছেন। শিবনারায়ণের গায়ে ধূলা মাটি লাগিয়াছিল এবং একখানি মাত্র ছেড়া চাদর পরিধানে ছিল আর চুল ও একটু বড় বড় ছিল। তাহাতে র্তাহাকে দেখিতে ঠিক পাগলের মত বোধ হইত। পণ্ডি ত সেই অবস্থাপন্ন শিবনারায়ণকে দেথিয় রাগে ধমক দিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তুহ কে, কোথায় হইতে আসিয়াছিস, এখানে কি জন্য আসিল, তুই কি জাত ? শিবনারায়ণ বলিলেন cय श्राभि श्राम भी, श्राबि भन्नबा, cगई छूमि भश्बा সেই অামি মনুষ্য । ইহাতে পণ্ডিত রাগ করিয়া বলিলেন যে, বেটা আমি ত তোকে মনুষ্য দেখিতেছি কিন্তু তুই কি জাতি ? শিবনারায়ণ বলিলেন যে আমি বড়ই নিকৃষ্ট এবং ভ্রষ্ট জাতি, আমার জাতির মতন নিকৃষ্ট জাতি আর নাই, আমি সকল জাতি অপেক্ষা নীচ । পণ্ডিতগণ এই কথা শুনিয়া শিবনারায়ণকে বলিলেন যে, বেটা তুই নীচজাতি হইয়! আমাদের শিবালয়েব নিকট কেন আসিলি ? আমার এই ঠাকুর এবং সকল স্থান তোর আসার দরুন অশুদ্ধ হইয় গেল । বেট এখান হইতে দূর হ” । শিবনারায়ণ বলিলেন, আদিতে যে বস্তু অশুদ্ধ হইবে সেই বস্তু শেষে ও অশুদ্ধ থাকিবে এবং যে বস্তু আদিতে শুদ্ধ থাকিবে সে অন্তেও শুদ্ধ থাকিবে—কোন মতে অশুদ্ধ হইবেক না । যদ্যপি অামার আসার দরুণ আপনি, আপনার মন্দির, ঠাকুর এবং মন্দিরের নিকটস্থ স্থান— সকলই অশুদ্ধ হইয়া থাকে তাহা হইলে আপনার নিকট গোময় আছে উহার দ্বারা আপনি আপনার মন্দির এবং মন্দিরের নিকটস্থ স্থান –সকল শুদ্ধ করিয়া লউন । আমার অপরাধ ক্ষমা করুন। পণ্ডিত বলিলেন, বেটা আমাকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে আসিয়াছেন । যা বেটা এখান হইতে দূর হ । so শিবনারায়ণ সেখান হইতে গোদাবরীর নিকটস্থ ক্ষুদ্র এক নদীর তীরে আসিলেন। এবং পণ্ডিতগণ শিব