পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SᎼb~ க নারায়ণ যেখানে দাড়াইয়াছিলেন সেই স্থান উত্তম রূপ গোময়-জল দিয়া পবিত্র কবিয়া লক্টলেন । ঐ নদীর তীরে একজন জয়পুরী মহাত্মার চেলা ধুনী জালিয়া বসিয়াছিলেন । শিলনারায়ণ র্তাহাকে চিনিতেন এবং তিনিও শিবনারায়ণকে চিনিতেন । রাস্তায় দুই চারি দিবস তিনি শিবনারায়ণকে সেবা করিয়াছিলেন। শিবনারায়ণ ঠাহাকে বলিলেন, তুমি দুই চারি ঘণ্টার জন্য আপনার সং আমাকে দাও ; জগতে সত্যকে মানে না, প্রতিপৃব্বক প্রপঞ্চকে মানে । শিবনারায়ণ তাহার নিকট হইতে গেরুয়াবঙ্গের কৌপিন W вінаванацрфинан flm চাহিয়া লষ্টলেন ও নাপিতের নিকট থেউরি হক্টলেন । এবং স্নান করিয়া মাখিয়া লক্টলেন ও গুমৰূপে গাত্রে সাদা বিভূতি কপালে ত্ৰিপু গু, ধারণ করিলেন । চার পাচটা রুদ্রণক্ষমালা স্তস্তে এবং গলায় পরিয়া হাতে একটা ট ওম কমণ্ডলু ও পাযে এক ঘোড়া খড়ম দিয়া ংসাজিয়া সেই পণ্ডিতের বাটীতে শিবালয়ের উপরে উঠিলেন । এবং শিবেtহচং শিবোহ৮ং করিতে করিতে মনিদরের মধ্যে গেলেন । જાજીિ ઝ5ાન উঠিয়া দাড়াইয়া ও নম নালায়ণায় নমঃ বলিয়া নমস্কাপ করিতে লাগিলেন । ও প্রা ৩ পুলক জোড়হস্তে আবাহন করিম আসনে উপবেশন করাষ্টলেন ও বলিলেন যে, এমন মহাত্ম। ইহ দেখিয়। এবং সত্বৰ আসন অনিয়া ভক্তি আমার বাটীতে পদধলী দিলেন, ধনা আমার অদষ্ট । পরে পণ্ডিতগণ হাত যোড় করিয়া শিলনারায়ণকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, রূপানিধান ! ধৰ্ম্ম অবলম্বন কপিয়াছেন ? আপনি কোন আপনার আrহারের লিষয়ে কি নিয়ম আছে এবং কি আচার করিবেন —অত্ব গ্ৰহ করিয়া বলুন আমরা সেইরূপ আহার প্রস্তুত করিব । শিবনারায়ণ বলিলেন যে, आमि नब्रानि ধৰ্ম্ম গ্রহণ কলিয়াছি, এবং আমার আঙ্গারের বিষয় এই রূপ নিসম আছে যে বার বৎসরের নিম্ন বয়স্ক যে পু ত্র বা কন্যার লিবাহ হয় মাহ সেই পুত্র বা কন্যা ডানি হাতে কপে । মধ্য হইতে জল তুলিয়া আনিয়া ঐ জল দিম। গেtশালায় ঘুতপক্ক অন্ন প্রস্তুত করিয়া দিলে অামি সেচ অন্ন দিন রাত্রের মধ্যে এক বার অtহার করিয়া থাকি। যদি বামহস্ত লাগে বা পাক করিতে করিতে পাচক উদগার করে তাহা হইলে ঐ অন্ন আমার আহার করা হইবে না। যদ্যপি এই রূপ প্রণালীতে অন্ন প্রস্তুত হয় তাঙ্গা চইলে অন্ন অtহার করিতে পারি নতুবা আমি আহার করি না । কেবল মাত্র জল পান করিয়৷ থাকি । ইহাতে পণ্ডিত বলিলেন, আপনি সন্ন্যাসী মহাত্মা জগতের গুরু, আপনার মত কেহই এমন কঠিন আচার এবং নিয়ম ধারণ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ১২ কল্প, ৪ ভাগ করিতে পারে না । আমি বা আপনার অfহারের ল্য বস্ত করিতেছি আপনি একটু বিশ্রাম করুন । পণ্ডিতগণ বালক বালিকাদিগকে ডাকিয়া ঐ রূপ কঠিন নিয়মে অন্ন প্রস্তুত করিতে বলায় তাহার। অয় প্রস্তুত করিতে স্বীকার করিল না। তা গুণ তে পণ্ডিত • বলিলেন যে, তবে অামাদের গার্হস্ত ধৰ্ম্ম পালন চইল না। ইহাতে একজন বালক বলিল, হস্তে জল অতি কষ্টে আনিতে পাপি এবং ময়দা ও এক হস্তে তা নিতে পারি কিন্তু পুলা কেমন কলিয়। কবিল ? এ ক প্রস্তুত এবং অপর এক বালক স্বাকার কবিল, আমি যেমন করিয়া হউক পুরা প্রস্তুত করিয়া দিব কিন্তু আমায় এক টাকার মিষ্টান্ন থাই৩ে দিতে হইবে । প{ণ্ডত তা চাই স্বাকলি করিলেন । পরে যখন প; গু তগণ শিবনারায়ণকে সঙ্গে করিয়া আচার করিতে বসিলে তিন বলিলেন, অtহারের বস্তু অশুদ্ধ গঠয়াছে, পাচক বালক পাক করিবার সময় উদগীর করিয়াছিল। যাহ। ১ ড ক আমি মন্ত্র দ্বারা শুদ্ধ করিয়া লইব । পণ্ডি তগণ শুনিয়া বড়ই দুঃখিত হইলেন এবং ঐ বালককে বলিলেন যে, তুমি উদগাব করিয়াছিলে ? শিবনারায়ণ বলিলেন, বfল ক ধTিল, না । তখন হে বালক, তোমার কোন ভয় নাই, তুমি সত্য কথা বল। মিথ্যা বলি ও না, পাপ হইবেক। আমি পুরী শুদ্ধ করিয়া খাইব । তোমার কোন চিন্তা নাই। শিবনারায়ণের কথা শুনিয়া ঐ বালক বলিল, ই মহারাজ, আমি দুইবার উদগার করিয়াছিলাম। শিবনারায়ণ তখন মন্ত্র পড়িয়া অর্থাৎ পূর্ণ পরব্রহ্মের নাম মনে মনে লইয়া আহার করিয়া লইলেন । পণ্ডিতগণ মনে মনে ভাবিতে লাগিল যে এমন মহাত্মা আমরা কখন দেখি নাই । বাড়ীর মধ্যের ঘরে বালক পাক করিতে করিতে বালক উদগার করিয়াছিল উনি বাহির হইতে কি প্রকারে জানিলেন ? মহাত্মা অন্তর্যামী না হইলে কেমন করিয়া জানিবেন ? ইনি নিশ্চয়ই অন্তর্যামী। পরে শিবনারায়ণ এবং পণ্ডিতগণ বাহিরে আসিয়া বসিলেন । তখন শিবনারায়ণ পণ্ডিতগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনার পণ্ডিত লোক শাস্ত্র বেদ পড়িয়াছেন–শাস্ত্র বেদ পড়িবার ফল কি ? এবং পণ্ডিত কাহাকে বলে এবং সন্ন্যাসী পরমহংস কি বস্তুর নাম ? নিরাকারকে না সাকারকে পরমহংস সন্ন্যাসী বলে কিম্বা হাড় মাংস মলমূত্র ইঞ্জির ইত্যাদিকে বলে অথবা খড়ম রুদ্রণক্ষমালা এৰং বিভূতি তিলক ইত্যাদিকে বলে ? কি বস্তু পরমহংস সন্ন্যাসী ? ভাবিয়া তোমরা এই প্রশ্নের উত্তর দাও ।