পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ১৮১২ জীবন চরিত Sసిన) তাহাতে একজন পণ্ডিত বলিলেন, মহারাজ শাস্ত্র বেদ পড়িবার ফল এই যে সত্যকে সত্য বোধ করা অস ত্যকে অসত্য বোধ করা সত্যতে সৰ্ব্বদা নিষ্ঠা রাখা অসত্যতে চিত্তের আসক্তি না করা, সকলেতে সম দৃষ্টি ও জগতের চিত করা, পরোপকারে সর্বদা রত থাকা, ব্যবহার ও পরমার্থ কার্য্য উভয় বুঝিয় যে কার্য্য করিলে ব্যবহার কার্য্য সিদ্ধ হয় সেই কার্য্য করা এবং যে কার্য্য করিলে পল মার্থ সিদ্ধ হয় সেই কার্য্য করিয়া পরমর্থ্যি সিদ্ধ করা—এই সকল ভাব যাহা হয় তিনি পণ্ডিত এবং বেদ শাস্ত্র পড়ি বার এই সার মৰ্ম্ম । এবং পরমহংস সন্ন্যাসীর ভাল অর্থ এই যে দেহ নাসোহি সন্ন্যাসঃ নৈব কামায় বাসসা । নাহং দেহেtহমায়েতি নিশ্চয়ে ন্যাসলক্ষণম | অর্থাৎ দেহ ত্যাগের ই নাম সন্ন্যাস গেরুয়াদি কষায় বস্ত্র পরিধানের নাম সন্ন্যাস নহে। দেহ ত্যাগেৰ অর্থ এই যে আমি দেহ নহি আমি সেই পূর্ণ পরব্রহ্ম আত্মা স্বরূপ অর্থাং দেহাভিমানি পুরুষ সন্ন্যাসী নহেন । যিনি আত্মদর্শী তিনি যথার্থ সন্ন্যাসা । কিন্তু হাড় মাস সন্ন্যাসী নহে, এবং বিভূতি, খড়ম ও রুদ্রাক্ষের মাল। পরিধান করাকে সন্ন্যাসী বলে না। তখন শিবনারায়ণ বলিলেন, হে পণ্ডিত, যখন তুমি এই সকল কথা বলতে ছ যে পণ্ডিত সন্ন্যাসির এই লক্ষণ এবং বেদ শাস্ত্র প{ড়বার এই ফল —তবে কল্য প্রাতঃকালে একজন মহা ঘ্ৰ ছেড়া চাদর গায়ে দিয়া তোমার নিকটে আসিয়াছিলেন তাহাকে ঘৃণা করিয়া গালি দিয়া তাড়াইয়া দিলে কেন ? এবং আমি এখন রুদ্রাক্ষেপ মালা এবং বিভূতি গায়ে মাথিয়া আসিলাম তাহাতে আমাকে আদর করিলে কেন ? পণ্ডিত বললেন যে আপনি ইলেন মহাত্মা আর সে বেটা ভ্ৰষ্ঠ লোক । শিবনারায়ণ বলিলেন, সে যে ভ্ৰষ্ট লোক তাহা আপনি তাহার কি লক্ষণের দ্বার। জানিতে পারিয়াছিলেন ? পণ্ডিত বলিলেন, সে আপন মুখে বলিয়াছিল যে আমি ভ্ৰষ্ট লোক । তখন শিবনারায়ণ বলিলেন, যে যাহা বলিবে তাহাই কি তুমি বিশ্বাস করিবে তবে এক ব্যক্তি যদি বলে যে আমি ছোট ভ্ৰষ্ট লোক তবে কি তুমি তাহাকে ছোট ভ্রষ্ট লোক জ্ঞান করিবে এবং যদি বলে আমি বড় শ্রেষ্ঠ লোক অর্থাৎ অামি পরমেশ্বরকে স্বষ্টি করিয়াছি তাহ হইলে কি তাহার কথা শুনিয়া তাহাকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া মানিবে ? তবে তোমার বেদ শাস্ত্র পড়িবার ও পণ্ডিতির ফল কি ? আমিই তখন তোমাকে বলিয়াছিলাম যে আমি নিকৃষ্ট ও ভ্রষ্ট জাতি এবং এখন আমি সেই সং ছাড়িয়া অন্য সং সাজিয়া আপনাকে বলিলাম যে আমি শিবেtহং সচ্চিদানন্দ আমি সন্ন্যাসী। তথম আপনি আমাকে সেই মলিন অবস্থা দেখিয়া ঘৃণা করিয়া গালি দিয়া আমাকে তাড়াহয় দিলেন আর এখনও আমি সেই ব্যক্তি, কিন্তু এখন আমাকে আমার এই সং সাজার জন্য ইষ্ট গুরু মানিয়া প্রতিষ্ঠা করিতেছেন। ধিক্ পণ্ডিতের এমন বুদ্ধিতে । এইরূপ যদি ঈশ্বর থাকে । কোন মলিন বেশ ধলিম তোমাদের কাছে আসেন তাহা হইলে তাহাকে তোমরা হতাদর ও ঘুণ। করিয়া তাড়াইয়। এবং যদি কোন উত্তম সংযের সাজ দেখ তাহা হইলে তখন তাহাকে আদর কর । এই কথা শুনিয়া তখন গণ্ডিত শিবনারায়ণকে হাত জড়িয়া বলিলেন, ইছা ঠিক, মহারাজ ! আমরা বিদ্যার অহংকারে মত্ত হইয়া অজ্ঞান ইয়! থাকি । পরব্রহ্মের মহিমা বুঝা বড়ই কঠিন । আপনি আমার অপরাধ ক্ষমা করুন। শিবনারায়ণ বলিলেন, পরব্রহ্মের নিকট ক্ষমা চাহি ও এবং কে কাহাকে ক্ষমা করে বিচার করিয়া গম্ভীরভাবে থাক । সেইখান হইতে শিবনারায়ণ নদীর ঘাটে যাইয়া 而TS জয়পুপী মহাত্মার চেলাকে সংসাজি বার দ্রব্য ফিরা ইয়া দিলেন। এবং আপনার কেবল মাত্র জীর্ণ চাদরখানি লইয়। সেইখান হইতে অপর এক ওlামে চলিলেন। পথে দেখিলেন মাঠের মধ্যে রাস্তার ধারে চারিঞ্জন ঠগ সন্ন্যাসীর ভেক ধারণ করিয়াছে । উহাদের মধ্যে এক জন দশবার স্কাত পরিমাণ জটা ইতর পশুর চুল লইয়া বেলের আট দিয়া প্রস্তুত করিয়া আপন মাথায় ঋষির মত করিয়া জড়াইয়া রাখিয়াছে। সেই জটা সে জলে ভিজাইয়া রাখে। তাহাতে জল সৰ্ব্বদা থাকে এবং নিংড়াইলে পড়ে—যেরূপ তুলাতে তৈল অপর তিন জন তাহাকে শিব বলিয়া অপর লোকের নিকট পরিচয় দেয় এবং বলে যে আমরা তিন জন সৰ্ব্বদা ইহঁার চরণ সেবা করি। ইনি স্বয়ং শিবজী কৈলাসে থাকেন কেবল স্বষ্টির কল্যাণের জন্যে জগত দেখিতে আসিয়াছেন। সেই সময় চুইজন গৃহস্থ পুরুষ সেই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। তাহাদের একজন কার্য্যবিশেষ বশতঃ মাঠে বসিত্তে গিয়াছিল এবং অপর একজন সেইখানেই ছিল । তাহাকে ঐ তিন জন ঠগ সন্ন্যাসী বলিতে লাগিল যে তোমার কপাল ভাল তাই তুমি আমাদিগের দশন করিতে পাইয়াছ। অামাদের তোমার উপরে অত্যন্ত দয়া হইয়াছে এই জন্য তোমাকে বলিতেছি যে তুমি একটা কাজ কর। যে জটা