পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ _ ধারি মহাত্মা শিবজী বসিয়া থাকেন তঁtহাকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত কর এবং হাত যোড় করিয়া বল যে, হে পরমেশ্বর আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করিয়া জামায় মুক্ত করুন। এবং আমাকে রাজভোগের দ্রব্য সকল দিন। তিনি যখন তোমাকে জটা হইতে একবিন্দু গঙ্গা জল দিবেন সেই সময় হইতে সকল ফল প্রাপ্ত চইতে থাকিবে । সেই গৃহস্ত ঠগ সন্ন্যাসীর কথা অনুসারে কার্য্য করিল। এবং জটাধারী তখনই তাহাকে জটা নিংড়াইয়া গঙ্গাজল দিলেন ও বলিলেন, এই যে গঙ্গাজল তোমাকে দিলাম ইহা হইতে সকল ফল প্রাপ্ত হইবে । ধন্য তোমার ভাগ্য যে আমি স্বয়ং । তোমাকে দর্শন দিলাম। কিন্তু তোমাকে বলিয়া দিতেছি যে এই তিন জন ব্যক্তি যাহারা তোমাকে বলিয়া ञांभांव्र म*न कब्रांहेग्न लिग्नां८छ्न छ झांब्र! याझ ८डांभाटक বলিবে তুমি তাহাই শুনিও। তাহা হইলে তোমার ভাল হইবে । সেই তিন জন ঠগ সন্ন্যাসীর মধ্যে একজন উঠিয়া গৃহস্থ ব্যক্তিকে ডাকিয়া তফাতে লইয়। গিয়। বলিতে লাগিল যে, দেখ তোমাকে অামি স্বয়ং শিব দর্শন করাইলাম কিন্তু যদি তোমার নিকট কোন টাকা পয়সা থাকে তাহা হইলে তুমি তোমার ভালর জন্য ঐ টাকা পয়সা সমস্তই শিবের পায়ে কে লিয়। দাও—সেই টাক। পয়সায় সিদ্ধি গাজা দুগ্ধ মিষ্টান্ন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s२, कन्न 8 छान _ ്== - -- R. S. -- भ८षा गाग्न उांश इहेtश cकांन खेनाप्ग्र छैॉक बाश्ब्रि করিতে পারা যাইতে পারে। যদি থানা থাকে তবেই ভাল। সেইখান হইতে ঐ দুইজন গৃহস্থ ব্যক্তি সত্বর আসিয়া ঐ ঠগ সন্ন্যাসীর নিকটে প্ৰণিপাত করিল এবং হাত জোড় করিয়া বলিল যে, হে কৃপানিখান আপনাকে আমি সেবা করিতে পারিলাম না কারণ আমি পাপী । কিন্তু যদি অনুগ্রহ করিয়৷ এই গ্রামের মধ্যে যান তাহা হইলে আমি উত্তমরূপে আপনার সেব। করিব এবং যথাশক্তি বিদায় দিব । আমি অন্যত্র গিয়াছিলাম এই হেতু আমি আপনার সেবা করিতে খরিদ করিয়া উহার ভোগ চড়াইব । সেই গৃহস্থ ব্যক্তি । বলিল, মহাশয় আমার নিকট এমন বেশী কিছু নাই কেবল বার টাকা এবং চারি অান পয়স। মাত্র আছে । ঐ ঠগ সন্ন্যাসী উত্তর করিল, যাহা অাছে তাহাই ভক্তিপূৰ্ব্বক চড়াইয়া দাও । অবোধ গৃহস্থ ব্যক্তি না বুঝিয়া চারি অান পয়সা আপনার নিকটে রাখিয়া ঠগ সন্ন্যাসী সাধুর পায়ে বার টাকা চড়াইয়া দিল । এবং জটাধারী শিব তাহার পীট চাপড়াইয়া বলিয়া দিলেন যে যাও ; যত্ন উদ্যোগ ও অধ্যবসায় সহকারে হিন্দু ও মেডিকেল তোমার কৈলাস প্রাপ্তি হইবেক । এই কথা বলিয়। তাহার। চারিজন ময়দান হইতে যাইতে লাগিলেন । অপর যে গৃহস্থ ব্যক্তি ময়দানে ছিল সে সেই সময় সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইল । সেই ব্যক্তি পূৰ্ব্বে একবার ঐ রূপ ঠগ সন্ন্যাসীর নিকট ঠকিয়াছিল, তাহাতে সন্ন্যাসীদিগকে ঐ স্থান হইতে উঠিয়৷ যাইতে দেখিয়া তাহার সন্দেহ জন্মিল । যে ব্যক্তি বারটাকা সন্ন্যাসীদিগকে দিয়াছিল তাহার নিকট সকল বৃত্তান্ত শুনিয়া সেই ব্যক্তি বলিল, সৰ্ব্বনাশ করিয়াছ, উহার প্রকৃত সন্ন্যাসী নহে, উহার ঠগ। যিনি শিব তিনি টাকা লইবেন কেন, তাহার টাকার কি প্রয়োজন ? এখন কেমন করিয়া তোমার बांग्न छेों की दाश्ब्रि दब्रिव ? यांशी झखेक गुलि &ां८भद्र ' পারিলাম না । ক্রমশঃ । সমালোচনা ৷ উদাসীন পথিকের মনের কথা । মহতাব আলি কর্তৃক প্রকাশিত । নীলকরের অত্যাচার, পল্লীগ্রামের -প্রজার দুরবস্থা ভৃতি অবলম্বন করিয়া গ্রন্থকার এই উপন্যাসটা রচনা করিয়াছেন । তিনি সহজ প্রচলিত বাঙ্গাল। ভাষা লিখিতে পটু তবে চিনদী গ্রাম্য প্রভৃতি শব্দের সংমিশ্রণ আছে। গল্পট পড়িতে আমোদ ও উৎসাহ জন্মে | চিরস্মরণীয় মহাত্মা হেয়ার সাহেব । ডাক্তার শ্ৰীযোগেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রণীত । বঙ্গদেশের পরম বন্ধু ও হিতৈষী হেয়ার সাহেবের এই ক্ষুদ্র জীবনী পাঠ করিয়া আমরা অত্যন্ত গ্ৰীতিলাভ করিলাম। মহানুভব হেয়ার সাহেব যে রূপ মীর কলেজ সংস্থাপনে বালি কা বিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে সহায়তা করেন, অবৈতনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া অকাতরে বিদ্যা দান করেন, এতদেশীয় জনগণকে আন্তরিক ভ্যল বাসিয়া প্রাণপণে তাহাদিগের মঙ্গল সাধন করেন, গ্রন্থকার তৎসমুদায় সুন্দর রূপে বর্ণনা করিয়াছেন। জীবনীর ভাষা প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী হইয়াছে। হেয়ার সাহেবের জীবন বৃত্তাস্ত যাহাতে চিরদিন আমাদের অন্তঃকরণে জাজল্যমান থাকে এই উদ্দেশে গ্রন্থকার এই গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন । আমাদিগের একান্ত ইচ্ছা তাহার উদ্দেশ্য সফল হউক। বঙ্গদেশের ঘরে ঘরে তাহার এই জীবনীটী পরিরক্ষিত হউক ।