পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

घ{खन ***९ ।। বর্তমান মনুষ্য সমাজের মূল সেই আদিকালের মনুষ্য সমাজ । o-oo: সেই স্থান হইতে সাংসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৩ রক্ষা করিবার জন্য যত্ন ও অনুরাগ হয় । । এই ত আজ এই স্থানে বহুসংখ্য জ্ঞানবান চিন্তার তরঙ্গ অনিরুদ্ধ স্রোতে বর্তমানে লোকের সমাগম হইয়াছে কিন্তু ইহঁাদের "আসিয়া মিলিতেছে। এখন বুঝ মনুষ্য মধ্যে কেহ সাহস করিয়া বলুন দেখি আমি সমাজের গভীরতা ও প্রসার কত দূর জাতীয় জ্ঞান, জাতীয় ভাব ও জাতীয় সমাজ ইহা একটা অপার অতলস্পর্শ সমুদ্র। চাহি না । যদি না চাও তখন বলিব কিন্তু সমুদ্রের কতকগুলি জলীয় পরমাণু ! তোমার হৃদয়ে মমতা নাই, তুমি অসম্পূর্ণ মাত্রকে যেমন সমুদ্র বলা যায় না প্রত্যু৩ সমুদ্রের দিগন্তম্পর্শী বিশাল বক্ষে সমস্ত জলীয় পরমাণুর ঘাত-প্রতিঘাতে যে আকারটা দাড়ায় তাহাই সমুদ্র, মনুষ্য সমাজও তদ্রুপ । অতীতের সুদূর সম্প্র সারণ ইহার পূর্ব তীর এবং বর্তমান ইহার । উত্তর তীর । কালের এই প্রকাণ্ড বক্ষে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ উত্থিত হইয়া যে বিস্তীর্ণ আকার দাড় করাইয়াছে মনুষ্য সমাজ বুঝিতে তাহাই বুঝাইবে । বল | দেখি মূল সত্যকে ছাড়িলে স্বষ্টির অর্থ বুঝা যায় কি ? সমাজও একটা প্রকাণ্ড স্বষ্টি, সুতরাং অতীতের মনুষ্যসমাজকে ছাড়িলে বৰ্ত্তমান মনুষ্যসমাজকে কিরূপে বুঝিবে । তোমরা এই অতীতের সহিত বর্তমান সমাজের যোগ রক্ষা কর—ইহাই । সমাজযোগ । এক্ষণে সমাজের বর্তমান এই আসন্ন দশায় প্রকৃত সৎ বৈদের ন্যায় এই তিন প্রকার মুষ্টিযোগ ব্যবস্থা কর, কালে নিশ্চয় স্বফল পাইবে। আবার এই মুমূর্ষ সমাজের কঙ্কালবিশিষ্ট দেহে নাড়ী আসিবে, শৈত্যের পরিবর্তে উত্তাপ আসিবে এবং শিরায় ও ধমনীতে নূতন রক্ত সঞ্চারিত হইয়। নূতন বলে ও নূতন স্ফৰ্ত্তিতে তাহ হৃষ্ট পুষ্ট করিয়া তুলিবে। ফলতঃ আমাদের অতীতের জ্ঞান, অতীতের ভাব ও অতীতের সমাজ যার পর নাই শ্লাঘার বস্তু। যার অতীত উজ্জ্বল তার মনে স্বভাবতই তাহা মনুষ্য । ফলতঃ প্রকৃত সত্যের জন্যই আমরা আমাদের অতীতের এত অাদর ও গৌরব করি । এই আদি ব্রাহ্মসমাজ বিশ্বজনীন ব্যাপক সত্যের পক্ষপাতী । কিন্তু প্রাচীন ভারতে ঋষিরা বহুসাধনায় কি ধৰ্ম্ম কি সমাজ উভয়ত্র এমন বহু তর রত্ন সঞ্চয় করিয়া গিয়াছেন যে কোন কালেই তাহার প্রভা মলিন হইবার নহে । কালের হস্ত তাহার নিকট পরাস্ত । বিপ্লবের এই ঘোর বিকারের অবস্থায় এক এই অাদি ব্রাহ্মসমাজ সেই সমস্ত রত্বের—সেই সমস্ত সত্যের যথেষ্ট সমাদর করিয়া আসিতেছেন। এই তুমুল সমাজদ্রোহের সময় এই আদি ব্রাহ্মসমাজই দুৰ্দ্ধৰ্ষ বীরের ন্যায় স্থির পদে দণ্ডায়মান। ইহার লক্ষ্য অতীতের জ্ঞান ও ভাবে অটল থাকিয়া অতীতের সমাজে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন। ইহা আবহমান কাল সেই মহাব্ৰত নিৰ্ব্বিয়ে বহন করিয়া আসিতেছে এবং আশা করি ভাবী জীবনে ও তাহা করিবে । কিন্তু এই ভারতেরই অতীত ইতিহাস আলোচনা কর দেখিবে ইহার আদি যুগের বস্তু মধ্য যুগে সম্যক্ নাই। কাল ও অবস্থার প্রভাবে তৎসমুদায়ের কিছু কিছু পরিবর্তন হইয়া আসিয়াছে । কিন্তু সেই সমস্ত পরিবর্তনকে ব্যবচ্ছেদ করিলে দেখা যায় যেন তাহা মূল প্রকৃতিকে ছাড়িয়া হয় নাই। একটা বৃক্ষের শাখা কাটিলে