পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • २, कब्र s छांग

s-e- - - যেমন অপর এক শাখা তাহার স্থানে উখিত হইয় গুণে ও সৌন্দর্ষ্যে স্থাণুরই অনুরূপ হইয়া থাকে ঐ সমস্ত পরিবর্তনও সেইরূপ । দেশাবচ্ছিন্ন ভাবের সহিত কোন অংশেই তাহার বৈসাদৃশ্ব ঘটে নাই । এই অাদি ব্রাহ্মসমাজ যদিও অতীতের পক্ষপাতী কিন্তু সময় যদি ৷ কোনও পরিবর্তন চান তবে তাহ প্রাচীন রীতিক্রমে দেশাবচ্ছিন্ন ভাবের সহিত সৰ্ব্বাঙ্গীণ সাদৃশ্য রক্ষা করিয়াই সাধিত হয় । ফলত অতীতের প্রতি অনুরাগ আছে বলিয়াই এদেশীয় লোকের ইহার উপর এত শ্রদ্ধা এত ভক্তি। যদি এই কোনও স্থায়ী কল্যাণ সাধিত হয় তবে তাহা এই অাদি ব্রাহ্মসমাজ দ্বারাই চইবে। কারণ আদি সমাজভুক্ত ব্রাহ্মেরা জাতিতে, হিন্দু এবং ধৰ্ম্মে হিন্দু। অনন্তর আচাৰ্য্য ক্রযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এইরূপে উদ্বোধন করিলেন । পরম মঙ্গলালয় বিশ্ববিধাতার অজস্র প্রসাদ-বারি গোমুখী-নিঃস্থত পুণ্য-সলিল। ভাগীরথীর ন্যায় আদিম কাল হইতে ক্রমশ স্ফীত এবং পরিবদ্ধিত হইয়া নবনব কল্যাণময় পুণ্য-তীর্থের মধ্য দিয়া অপ্রতিহত বেগে নিরন্তর প্রবাহিত হইতেছে । অদ্যকার এই ভগবদৃভক্ত সাধুসজ্জনগণের সমাগম সেইরূপ একটি সুবিমল পুণ্যতীর্থ ! এই পুণ্য তীর্থে আজি আমরা আনন্দ সলিলে অবগাহন করিলার জন্য প্রভাত পরিস্ফুট হইতে না হইতেই সকল ভ্ৰাতায় মিলিয়া সমাগত হইয়াছি। র্যাছারা সংসারারণ্যের বিভীষিকায় ভয়ে আকুল তাহারা আজ বিঘ্ন-বিনাশন পরম প্রভুর অভয়-পদের আশ্রয়ে সমাগত হইয়াছেন ; যাহারা পাপতাপে ব্যথিত তাহারা পতিত-পাবন ভক্তবৎসল পরমপিতার শান্তি-সদনে সমাগত হইয়াছেন ; যাহারা শোক-মোহে বিহবল তাহারা পরম প্রেমাম্পদ সুহৃদের প্রসারিত ক্রোড়ে আসিয়া নিপতিত হইয়াছেন ; যাহারা সুখ সম্পদে দিবারাত্র পরিবৃত র্তাহারা বিষয়সুখের মর্ত্যভূমি হইতে ব্ৰহ্মানন্দের স্বর্গ ভূমিতে সমাগত হইয়াছেন ; চতুর্দিক হইতে আজ অমৃত নিকেতনের যাত্রীরা মহানগরীর এই এক স্থানে কেবল নহে কিন্তু স্থানে স্থানে কোথাও বা বিচিত্র পুণ্য-ভূমি ভারতক্ষেত্রে ব্রাহ্মসমাজ দ্বারা । শোভাময় উৎসব ক্ষেত্রে, কোথাও বা পল্লব-শোভিত সুরম্য কুটীরে, কোথাও বা প্রসারিত রাজমার্গের সন্নিধান-বৰ্ত্তী বৃহৎ ব্রহ্মমন্দিরে মধুলোভী মধুকর রাজির ন্যায় ম্পিত | | দলে দলে সমাগত হইয়াছেন । সেই সব সজ্জন-মণ্ডলীর মধ্য হইতে কেমন আজ ভক্ত হৃদয়ে তরঙ্গ তুলিয়া, ভক্তশরীর রোমাঞ্চিত করিয়া অন্তরীক্ষ প্রককরিয়া একমেবাদ্বিতীয়ং ধ্বনি নভোমণ্ডলে উত্থিত হইতেছে—কেমন আজ আমাদের আনন্দের দিন । সম্বৎসর পরে আমাদের পরমারাধ্য পরম-দেবতা পরব্রহ্মের পুজার দিন আমাদের নয়নসমক্ষে আবিভূতি—আজ আমাদের কত না আনন্দ । তাই আমরা আজ প্রত্যুষে উঠিয়৷ সেই দেবাধিদেবের চরণে সমর্পণ করিবার জন্য প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞতার পুষ্প অশ্রুজলে অভিষিক্ত করিয়া হৃদয় ভরিয়া আনয়ন করিয়াছি ; এই সুন্দর শুভ মুহূর্তে আইস আমরা আমাদের সেই দীন হৃদয়ের প্রযত্ন-সঞ্চিত পূজার সামগ্ৰী র্তাহার চরণে অনাবৃত করিয়া দিই এবং তাহার পূজায় প্রবৃত্ত হইয়া অনন্ত জীব