পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांशन »v s२ * সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমা ২০৫ নের পরমোৎকৃষ্ট পাথেয় সম্বল উপার্জন করি—সেই দেব-ম্পূহনীয় অক্ষয় ধন উপাজেন করি “যং লব্ধ, চাপরং লাভং মন্যতে নাধিকং ততঃ যস্মিন স্থিতো ন দুঃখেন গুরুণাপি বিচাল্যতে।” যাহাকে লাভ করিলে আর কোনো লাভই তাহা হইতে অধিক মনে হয় না এবং র্যাহাতে স্থিত হইলে গুরু দুঃখও মনকে বিচলিত করিতে পারে না । পরে সাধ্যায়ান্ত উপাসনা সমাপ্ত হইলে উপাচার্য্য শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ শাস্ত্রী মহাশয় বেদি হইতে এই উপদেশ পাঠ করিলেন । আনন্দ পথের যাত্রী ব্রহ্মানন্দ-রসপানেচ্ছ হইয়। অদ্য আমরা যে এই উৎসবক্ষেত্রে সমাগত হইয়াছি, ইহা কি আমাদের অল্প সৌভাগ্যের বিষয় । কে এই ব্ৰহ্মানন্দ পান করিবার অধিকারী ? জ্ঞান ও পুণ্যের দ্বারা যিনি নিৰ্ম্মল হইয়া পরাংপর পরমেশ্বরের কৃপা উপার্জন করিতে পারিয়াছেন, র্তাহারই এই অধিকার । তিনিই ব্রহ্মরস-সাগরে নিমগ্ন হইয়া অহরহ ব্ৰহ্মানন্দ উপভোগ করিতে পারেন । যিনি এইরূপ ব্ৰহ্মানন্দ-রস প্রচুররূপে পান করেন মৃত্যু আর র্তাহাকে ব্যথা দিতে পারে না । ংসারে মৃত্যুরই একাধিপত্য । যে দিকে দেখি মৃত্যুরই হস্ত সে দিকে দেখিতে পাই । এই মৃত্যুর দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকিয়া যদি আমরা ব্রহ্মানন্দ লাভ করিতে না পারিতাম তবে আর আমাদের দুর্গতির পরিসীমা থাকিত না । সত্যং শিবং সুন্দরং ব্ৰহ্ম । মর্ত্যজীবের প্রতি প্রেরিত র্তাহার করুণা, ব্রহ্মানন্দ । এই ব্ৰহ্মানন্দ কেমন ক্রমাভিব্যক্তির দ্বারা পদে পদে অগ্রসর হইয়া এখন আমাদিগকে শান্তি মঙ্গলে স্থশোভিত করিতেছেন তাহ ভাবিলে কৃত so জ্ঞতা আর হৃদয়ে ধরে না,ঈশ্বরের অযাচিত করুণা স্মরণ হইয়! মন প্রাণ বিস্ময়-সাগরে নিমগ্ন হইয়া পড়ে। মনুষ্য-সমাজ যে সময়ে কেবল বিষয়-সুখেই মোহিত হইয়া, প্রাণ মাত্রেই পরিতৃপ্ত হইয়া জীবন-যাত্রা নির্বাহ করিত, তখন ধৰ্ম্মের সুশীতল স্নিগ্ধ-ছায়া মনুষ্যের পরিতপ্ত হৃদয়কে অতৃপ্তি অশান্তির প্রচণ্ড রৌদ্র হইতে রক্ষা করিতে পারিত না । এই ক্ষুদ্র ক্ষণ-ভঙ্গুর বিষয়সুখ পাশব-প্রকৃতি মনেরই বৃত্তিকে চরিতাৰ্থ করিতে পারে ; আত্মার গভীর তাকর্ষণের বিষয়, ইহকাল ও পরকালের উপজীবিকা, অনন্তকালের গতি ও আশ্রয় অমৃতানন্দকে আনিয়া দিতে পারে না । বিষয়-বুদ্ধি যখন মনুষ্যকে অধিকার করিয়া থাকে তখন এই ক্ষুদ্র বিষয়-মুখই তাহার জীবনের সর্বস্ব বলিয়া মনে হয় এবং মৃত্যু তাহার জন্য সেখানে প্রচছন্ন থাকে । যখন মনুষ্য-সমাজের এইরূপ অবস্থা, প্রকৃতিলন্ধ সুখই যখন তাহার একমাত্র আশ্রয়, তখন সেই বিষয়-সুখে প্রচ্ছন্ন মৃত্যুকে দেখিতে পাইয়া মনুষ্য হৃদয় কাপিয়া উঠিল। প্রাতঃ সূর্য্যের কোমল বশ্মি যেমন বিষয়ের প্রতি মনুষ্যের চক্ষুকে আকর্ষণ করিল, ঈশ্বরের প্রেরিত ধৰ্ম্ম-বুদ্ধি সেই সঙ্গে সঙ্গে তাহার নশ্বরতা প্রদর্শন করিল । সেই বৈদিক কালের গোতম নামক ঋষি উষার আলোকে জাগ্রৎ হইয়া মৃত্যুভয়ে বলিয়া উঠিলেন— “পুনঃ পুনর্জায়মান। পুরাণী শস্ত্রীব কুতুৰ্বিজ আমি নানা মতস্য দেবী জরয়স্ত্যাযুঃ ।” १८१क्तः भः * श्र: ;२२ ।। ব্যাধপত্নী যেমন উড্ডীয়মান বিহঙ্গমাদির পক্ষছেদন করত তাহাদিগের জীবনকে হ্রাস করে, সেইরূপ প্রতিপ্রভাতে আবিভূতি। নিত্য একরূপধারিণী উষা জীবন্ত মনুষ্যদিগের জীবনকে একটু একটু করিয়া প্রতি