পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ४२ कन्न, s छो% দিন হরণ করিয়া লইয়া যায় । আবার সন্ধ্যার সূৰ্য্য অস্তমিত হইয়া গেলে সেই সায়ংকালের তিমির-মিশ্রিত অস্ট অtলোকেও কেহ কেহ জীবন অবসানের অঙ্ক নিরীক্ষণ করিলেন । দিবাগমে মৃত্যুভয়, দিবাবসানে মৃত্যুভয় দেখিয়া মনুষ্য-হৃদয় অবসাদে ডুবিয়া গেল এবং কি উপায় দ্বারা এই মৃতু্যকে অতিক্রম করা যায়, তাহার চিন্তায় ঋষির প্রবৃত্ত হইলেন । সূৰ্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র প্রভূতিকে জীবন্ত দেবতা জ্ঞানে তখন র্তাহারা স্তুতি করিতেন, সেই সকল দেবতাদিগের মধ্যে বরুণ শ্রেষ্ঠ দেবতা। কুলপতি বশিষ্ঠ সেই বরুণের নিকটে কাদিয়া এই প্রার্থনা করিলেন— “কি মাগ আস বরুণ জ্যেষ্ঠং যৎস্তোতারং জিঘাং সসি সখায়ম । প্রতন্মে বোচোদুলভ স্বধা বোবত্বানেন। नभश्ल। जून ङेषाम् ॥” ঋগ্বেদ ও অষ্টক ৬ অঃ ৮ বঃ । হে তেজস্বী অদম্য বরুণ দেবতা, বল, আমি তোমার নিকটে কি এত বড় পাপ করিয়াছি যে, তোমার স্তোতা ও সখা যে আমি, আমাকে তুমি হনন করিতে ইচ্ছ। করিতেছ ; তুমি যদি আমাকে তাহ বল, তাহা হইলে তোমার নিকটে নমস্কারের দ্বারা শীঘ্রই আমি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিব । প্রার্থনার দ্বারা মন বিশুদ্ধ হইল, তখন র্তাহারা ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির দ্বারা প্রণোদিত হইয়া বুঝিতে পারিলেন যে ইহলোককে অতিক্রম করিয়া পরকালে লোকান্তরে প্রবেশ করিতে পারিলে মুতু্যকে অতিক্রম করা যায় এবং অনুভব করিলেন যে লোকান্তর লাভের হেতু যাগ যজ্ঞের অনুষ্ঠান। প্রচণ্ডবীৰ্য্য শ্বেত অশ্বের গাত্রে যদি একটিও কৃষ্ণ রোম থাকে তবে তাহাও বাছিয়া ফেলিয়া তাহাকে পরিষ্কার করিয়া ও তাহার দ্বারা দিগ্বিজয় করিয়া সেই অশ্বকে যজ্ঞে বলি দিলে তাহার রক্ত যজমানকে স্বগে বহন করে। প্রাতঃসবনে অগ্নিহোত্র করিলে সূৰ্য্যরশ্মি যজমানকে প্রার্থিত লোকে লইয়া যায় এবং সেই অগ্নিতে প্রদত্ত আহুতি সকল লোক-দ্বারে উপস্থিত থাকিয় “আইস, আইস, এই তোমার পুণ্যজিত লোক, এখানে তুমি সুখে অবস্থান কর” ইত্যাদি প্রিয় বাক্য দ্বারা যজমানকে আগবাড়াইয়া গ্রহণ করে। অতএব এই আশা ও আনন্দে তখনকার ঋষি-সমাজ আন্দোলিত হইয়া পড়িল । সোম নিষ্পীড়নের মন্ত্র, মুষল উদূখলের শব্দ এবং সাম গান আকাশকে নিনাদিত করিতে লাগিল । “লোক দ্বারমপাবাঞ্চু ২৩৩ পষ্ঠ্যেম ত্বা বয়ং রা ৩৩৩৩ ই ৩ ভূং ৩ অ৷ ২ ৩৩ জ1 ৩ সে ৩ আl ১২৪৫ ইতি।” ছানোগ্যউঃ । লোক-দ্বার খুলিয়া দাও, হে আগ্নে, আমর মৃত্যুর অতীত রাজ্য লাভের জন্য সেখানে তোমাকে দর্শন করিব । যেখানে সেখানে যজ্ঞের অনুষ্ঠান, যেখানে সেখানে যজ্ঞের কথা । আচার্য্যেরা শিষ্যকে শিক্ষা দিতে লাগিলেন যে, “হে সত্যকাম, কবিগণ মন্ত্রের মধ্যে এই যে যজ্ঞরূপ কৰ্ম্মকে লাভ করিয়াছেন, ইহাই সত্য । তোমরা নিয়ত এই কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান কর, মৃত্যুর অতীত স্বকৃত লোকে যাইবার জন্য তোমাদের ইহাই পন্থ।” এমন কি মৃত্যু হইতে মনুষ্যকে এই যজ্ঞ ত্ৰাণ করে বলিয়া যে কালে লোকে এই যজ্ঞ বহু অনুষ্ঠিত হইয়াছিল সেই কালেরই নাম ত্রেতা । যজ্ঞোৎসবে মত্ত মনুষ্যদিগকে কিন্তু এই সকল বিচিত্র অনুষ্ঠান মৃত্যু হইতে রক্ষা করিতে পা