পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্কন ১৮১২ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ २०१ রিল না। ইহাতেও ছিদ্র বাহির হইয়। পড়িল এবং সেই ছিদ্র দ্বার দিয়া পুনরায় মৃত্যু আসিয়া কৰ্ম্মানুরাগী লোকদিগকে ভয় প্রদর্শন করিল। ধৰ্ম্মবুদ্ধি দ্বারা তাহারা জানিতে পারিলেন যে, তষ্মিন যাবৎ সম্পাতমুষিত্বাইথৈতমধ্বানং পুন নিবর্তন্তে ।” ছান্দোগ্যউঃ । কৰ্ম্মের দ্বারা উপার্জিত লোকে কৰ্ম্মক্ষয় পৰ্য্যন্ত বাস করিয়া পুনরায় কৰ্ম্মীরা উথানের পথ দিয়া মর্ত্যলোকে প্রত্যাগমন করেন । যজ্ঞের বিরুদ্ধে এরূপ কথাও উঠিল যে,

  • এতচ্ছে যে যে ইভিনন্দস্তি মূঢ়া জর মৃত্যুন্তে পুনরেবাপিযন্তি ।”

যে অজ্ঞান ব্যক্তিরা এই কৰ্ম্মকে এবং তাহার ফলকে শ্রেষ্ঠ মনে করে তাহার পুনঃ পুনঃ জরা ও মৃত্যুতে পতিত হয়। ইহ জীবনে মৃত্যুভয়, কৰ্ম্মের দ্বারা উপার্জিত স্বৰ্গভোগেরও অবসান আছে, অতএব কোথায় যাই, কি করি, এই চিন্তায় ঋষিরা ংসার পরিত্যাগ করিলেন । অরণ্যে যাইয় তাহারা নিষ্কাম হইয়া সূর্য্যের অন্তর্যামী পুরুষের নিকটে প্রার্থনা করিলেন যে, “হিরণ্যযেন পাত্রেণ সত্যস্তাপিহিতং মুখং তত্ত্বং পূষণ অপাৰ্বণু সত্যধৰ্ম্মায় দৃষ্টয়ে ।” হে সূৰ্য্য, তোমার জ্যোতির মধ্যে সত্যের মুখ প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে, আমি যে সত্যধৰ্ম্ম—সত্য ধৰ্ম্ম প্রাপ্তির অভিলাষী আমার জন্য তুমি সেই সতের দ্বার খুলিয়া দাও এবং তাহ যে কি তাহা আমি দেখি । ব্যাকুল আত্মার উদ্ধারের জন্য দয়াময় পরমেশ্বর সর্বদাই মুক্তহস্ত । মুক্তির জন্য প্রার্থী সেই ব্যাকুল ঋষিদি.গের উদ্ধারের জন্য তিনি র্তাহাদিগের আত্মাতে দিব্য জ্ঞান দিলেন এবং সেই দিব্যজ্ঞানের প্রভাবে তাহারা যাহা দেখিলেন তাহা শ্বেতাশ্বতর ঋষি বলিয়াছেন— “তে ধ্যানযোগানুগ তা অপশ্যন দেবাত্মশক্তিং স্ব গুণৈর্নিগুঢ়াং। য; কারণানি নিখিলানি তানি কালাত্মযুক্তন্যধিতিষ্ঠত্যেকঃ ” ধ; নিযোগের দারা সেই ঋষিরা পর মেশ্বরের স্বগুণের সহিত নিগুঢ়া আত্ম শক্তিকে দেখিলেন । কালাত্মযুক্ত জগতের যত কারণ অাছে সেই নিখিল কারণেতে সেই এক দেব তা অধিষ্ঠান করিতেছেন । আর তিনি “দিব্যোঙ্গ্যমূৰ্ত্তঃ পুরুষঃ जैबाझाङाख्रबाशक्ष: | আ প্রণেtহ্যমনঃ গুন্দ্রোহ্যক্ষরাং পর তঃ পর ৪ । মুণ্ডকচি ; । দিবা এবং অমূর্ত পুরুষ । তিনি প্রত্যেক মানুষের অন্তরের মধ্যে আত্মাতে এবং বাহিরে এই আকাশে ও সকল বস্তুর ভিতরে প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন । তিনি জন্মরহিত, প্রাণবায়ু রহিত এবং সঙ্কল্পবিকল্লাত্মক-মন-রহিত । তিনি শুভ্র এবং নাম রূপে অভিব্যক্ত এই স্থল বিষয় হইতে অন্য এবং সকলের শ্রেষ্ঠ । তাঙ্গ হইতে প্রাণ, মন ও সমুদায় ইন্দ্রিয় উৎপন্ন হয়। র্তাহাকে যিনি জ্ঞান-চক্ষে আপনার আত্মাতে দর্শন করেন ও পবিত্র হৃদয়ে প্রেম ভক্তির দ্বারা তাহার উপাসনা করেন, তিনিই এই সংসার-ক্লেশ হইতে আপনাকে মুক্ত ও মৃত্যুকে অতিক্রম করিতে পারেন । এই মুক্তিদাতা জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বর জ্যোতিৰ্ম্ময় ও সূক্ষ হইতে সূক্ষ হইলেও তাহাতে সমুদায় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড অবস্থিতি করিতেছে । তিনি বাক্য ও প্রাণের প্রতিষ্ঠা, তিনিই অমৃত, তিনিই সত্য । সত্যের আচরণ দ্বারা, তপের দ্বারা, সম্যক্ জ্ঞানের দ্বারা এবং ব্রহ্মচর্য্যের দ্বারা