পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কন ১৮১২ সাম্বংসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৯ S STAAASSAAAASSSS S S ঠাকুর। ইনি গৃহাশ্রমীর শুভানুধ্যান ও কল্যাণ সাধন করিয়া নিজে সকল প্রকার শুভাশুভ কামনা পরিত্যাগ পূর্বক অত্যা"শ্রমীর ন্যায় আশ্রমেই এবং আত্মাতে পর মাত্মার"পরমানন্দরূপ দর্শন করত অশরীরীর । ন্যায় শরীরেই অবস্থান ও র্তাহার প্রেরয়িতার শেষ আদেশের জন্য অপেক্ষা করিতেছেন। তিনি নিজের আত্মার ও এই মানব সমাজের মঙ্গলের জন্য কি ! কঠোর শ্রম ও সাধন করিয়াছেন তাহা । যিনি তাহার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থ, ব্রাহ্মধর্মের ব্যাখ্যান ও তাহার জীবন চরিত্র মনোযোগের সহিত পাঠ করিবেন তিনিই বুঝিতে পারিবেন । তিনিই বুঝিতে পারিবেন যে এই মহাত্মার নিকট মানব সমাজ কি গভীর ঋণে আবদ্ধ। যখন বেদ উপনিষদের গভীর ব্রহ্মতত্ত্ব ও তৎসাধন মনুষ্যসমাজে বহুল প্রচার হইবে সেই ভবিষ্যৎ কালের লোকেরাই বুঝিতে পারিবেন যে | এই মহাত্মার ঋণ পৃথিবীর শেষ দিনে ও পরিশোধ হইবে না । ঈশ্বরের কৃপাই | এই মহাপুরুষের হস্ত দিয়া মানব-সমাজে আসিয়া অবতীর্ণ হইয়াছে এবং সেই কৃপাই অদ্য আমাদের এই মাঘোৎসবের উপভোগ্য ব্রহ্মানন্দ । এই আনন্দ উপ SSASAS A SAS SSAS SSAS SSAS م-ج-سے aے -- --سے ہے. -- -- রাত্রিকাল । শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায় প্রযুক্ত শম্ভুনাথ গড়গড়ী শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় বেদী গ্রহণ করিলে শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সভাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া নিম্নলিখিত বিষযটী পাঠ কারলেন । অদ্য সেই আনন্দের দিন উপস্থিত যে দিনে মঙ্গলময় পরম পিতা পরম মাতা এবং পরম সুহৃদের আশীৰ্ব্বাদময় হস্ত আমাদের দেশের মস্তকের উপরে দেদীপ্যমান দেখিতে পাওয়া যায় । কেমন অা শ্চর্য্যরূপে মহাত্ম রামমোহন রায় চতুদিকের জঙ্গল পরিস্কার করিয়া হিন্দুধৰ্ম্মের মূলগত অপৌত্তলিক ভাব সৰ্ব্ব-সমক্ষে অনাবৃত করিলেন ; তাহার পরে কেমন আশ্চৰ্য্য রূপে ব্রাহ্মধর্মের ক্ষেত্র-কর্ষণ এবং বীজ-বপন আরব্ধ হইল ; তাছার পরে কেমন আশ্চর্ষ্যরূপে সেই বীজ অঙ্কুরিত iখায়িত এবং পল্লবিত হইল ; এ সমস্ত অভাবনীয় অচিন্তনীয় অদভূত ব্যাপার যদি একবার আদ্যোপান্ত স্থিরচিত্তে পর্যাবেক্ষণ করিয়া দেখা যায়, তবে কাহারে! নিকটে ইহা গোপন থাকিতে পারে না যে, করুণাময় বিশ্ববিধাতার প্ৰেমদৃষ্টি নিরন্তর ভোগের দিনে, হে সমাগত সাধু ভক্তগণ, হে ব্রহ্মের উপাসকগণ, আইস, যে একমেবাদ্বিতীয়ং পরব্রহ্ম এখনি আমাদের হৃদয়ে হৃদয়ে ব্রহ্মানন্দ বিতরণ করিতেছেন র্তাহার জয় ঘোষণা করি। র্তাহার নাম সৰ্ব্বত্র জয়যুক্ত হউক। এই জয়ের দিনে, আনন্দের দিনে আনন্দ মনে সকলে বলি— ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । আমাদের উপরে স্থিরভাবে নিপতিত রহিয়াছে । বৰ্ত্তমান জ্ঞানোজ্জ্বল আবেদ—সমস্ত পৃথিবীর যখন চক্ষু ফুটিবার উপক্রম হইতেছে সেই মোহ-রজনীর প্রাতরুন্মীলনের নব-মুহূৰ্ত্তে—পৃথিবীস্থ কোনো দেশই পূৰ্ব্ববৎ অজ্ঞান-অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকিতে পারে না ; একা কি কেবল আমাদের এই ভারতভূমি মোহ-অন্ধকারে আবৃত থাকিবে ? ইহা হইতেই পারে না ! ঈশ্বরের প্রেম দৃষ্টির এক ইঙ্গিতে মহাত্মা রামমোহন