পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sృం তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা রায় আবিভূত হইয়া কুঠার হস্তে করিয়া চতুর্দিকের জঙ্গল পরিষ্কার করিলেন ; পূজ্যপাদ শ্ৰীমন্মহর্ষি ক্ষেত্র কর্ষণ করিলেন এবং সেই কষ্ট-কর্ষিত ক্ষেত্রে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বীজ বপন করিয়া তাহা হইতে ফল-পুষ্পছায়া-প্রদ কল্যাণ-পাদপ অঙ্কুরিত এবং বৰ্দ্ধিত করিয়া তুলিলেন ; তাহার পরে র্তাহার প্রবলপরাক্রম শিষ্য মহাত্মা কেশরচন্দ্র ব্রহ্মানন্দ দেশবিদেশে তাহার শাখা প্রশাখা বিস্তারিত করিলেন ; তাহার পরে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রী প্রভৃতি উদ্যম-শালী ভ্রাতৃগণ নগরে নগরে পল্লীতে পল্লীতে তাহার নবীন দল-রাজি উদ্ভাবিত করিয়া তুলিলেন ; এবং এক্ষণে তাহাকে পুষ্পিত ও ফলাবনত করিবার জন্য সকল দিক্ হইতে সকল ব্রাহ্ম ভ্রাতারা সমবেত হইয়া সাধ্যানুসারে তাহাতে প্রযত্ন-বারি যে, “শ্রেয়াংসি বহুবিল্লানি” তানেক বিঘ্ন কিন্তু ঈশ্বর উপরে আছেন— তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন—তিনি আমাদের নিকট হইতে নিকটে আছেন— তিনি আমাদের অন্তর হইতে অন্তরে আছেন ; তাহার অপ্রতিহত মঙ্গল আশী- , বৰ্বাদ আমাদের চতুর্দিকে নিরন্তর অভয় ঘোষণা করিতেছে তাহা কি আমরা শুনিতেছি না ! অতএব ভয় নাই ! এই | | মহোৎসবের মধ্য হইতে দশ সহস্ৰ হৃদয়ের প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞতার উৎস র্তাহার প্রতি উৎসারিত হউক! সত্যের জয়-ধ্বনি, শুভ কার্য্যের মঙ্গল-ধ্বনি, আনন্দের গীতধ্বনি একতানে গগন-তল বিকম্পিত করিয়া হৃদয়ে হৃদয়ে অমৃত শান্তিবারি বর্ষণ করুকৃ! অামাদের মধ্যে থাকিয়া যিনি আমাদের নেতা, আমাদের নিকটে থাকিয়া যিনি আমাদের অভয়দাতা, আমাদের অন্তরে २२ * श्र, a छाँ* থাকিয়া যিনি আমাদের কাণ্ডারী, তিনিই আজ আমাদের এই উৎসবের অধিদেবতা —আজ আমাদের আনন্দের সীমা কি ! আজিকের এই শুভ দিনের আনন্দকোলাহলে ইহা যেন আমরা বিস্মৃত না হই যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শাখা-বিস্তার যতদূর হইবার তাহা হইয়াছে, এখন তাহার ফল ফলিবার সময় উপস্থিত । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূলগ্রন্থে পরব্রহ্মের প্রতিপাদক প্রাচীন ঋষিবাক্য-সকল বেদবেদান্ত হইতে উদ্ধৃত হইয়া লিপিবদ্ধ হইয়াছে ; স্মৃতি-পুরাণতন্ত্র হইতে সার সার ধৰ্ম্মোপদেশ সংকলিত হইয়া অধ্যায়-পরম্পরায় সন্নিবেশিত হইয়াছে ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যানে সেই-সকল প্রাচীন ঋষিবাক্য আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার উপযোগী করিয়া হৃদয়-ম্পশী জীবন্ত অমৃত বাক্যে ব্যাখ্যাত হইয়াছে ; সেচন করিতেছেন । ইহা অতীব সত্য শ্রেয়ের । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানপদ্ধতিতে অপৌত্তলিক ক্রিয়াকাণ্ডের শাস্ত্রানুমোদিত বৈধ প্রণালী নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে ; এবং আমাদের দেশের প্রচলিত অনুষ্ঠান পদ্ধতির সহিত তাহার এরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ যে, পৌত্ত লিকতা পরিবর্জিত হইলেই দুয়ের মধ্যে তিল-মাত্রও প্রভেদ থাকে না । এক কথায় আমাদের এই প্রিয়তম ভারতভূমিতে নিৰ্ব্বাণ-দশা-প্রাপ্ত ব্ৰহ্মাগ্নি উদীপিত করিতে হইলে, তাহার জন্য যত কিছু আয়োজনের প্রয়োজন সমস্তই আমাদের চতুর্দিকে স্থসজ্জিত রহিয়াছে ; অামাদের যখন যাহা চাই তাহা আমরা হাত বাড়াইলেই পাইতে পারি ; এখন আমাদের আর ভাবনার বিষয় কিছুই নাই —কেবল যত্ন-পূর্বক অনুষ্ঠানকার্য্যে প্রবৃত্ত হইবারই অপেক্ষা । ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি স্থির রাখিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান-পথে নিৰ্ভয়ে পদ-নিক্ষেপ করা — ইহাই এখন