পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांश* .४१३ আমাদের মুখ্য প্রয়োজন । ইহাতে আমরা কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেই আমাদের মধ্য হইতে বিবাদ-কলহ দূৰীভূত হইয়। গিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অমৃতময় ফল গৃহে গৃহে ফলিত হইয়া উঠিবে। এক্ষণে ব্রাহ্ম ভ্রাতৃগণের কৰ্ত্তব্য এই যে, দলাদলিতে বৃথা সময় নষ্ট না করিয়া তাহারা তাহাদের প্রকৃত অভীষ্ট-কার্য্যের সাধনে কায়মনো বাক্যে প্রবৃত্ত হ’ন, সে অভীষ্ট-কাৰ্য্য এক | সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ T TT L TTAAA SAAAA AAAA MM TASAAAA কথায় জ্ঞাপন করিতে হইলে তাহা তার ; শ্বান মাহুঃ’ কিছু নয়-—ব্রহ্মোপাসনা । বিগত উৎসবে আমি এইখানে দণ্ডায়- । ণের অনেক প্রকারে বলিয়া থাকেন ; মান হইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের একটি সৰ্ব্বাঙ্গীণ আদর্শ সৰ্ব্ব-সমক্ষে উন্মুক্ত করিয়াছিলাম; তাহার চুম্বক তাৎপৰ্য্য এই যে, জ্ঞান প্রেম এবং কৰ্ম্ম তিনকে একতানে মিলিত করিয়া একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের । হয়, তাহাই সৰ্ব্বাঙ্গীণ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । আজি స్పి করিয়া তাহাদিগকে প্রসন্ন করিবার মানসে ঋষিরা হোম যাগ যজ্ঞ প্রভৃতির অনুষ্ঠানে ব্যাপৃত থাকিতেন । ক্রমে সে-সকল প্রভূত ক্রিয়াকৰ্ম্মের অসারতার প্রতি জ্ঞানদান ঋষিদিগের চক্ষু ফুটিতে আরম্ভ করিল। ক্রমে র্তাহারা নানা পরিমিত দেবতার নানা শক্তির অভ্যন্তরে একেরই মহতা শক্তি অবলোকন করি৩ে লাগিলেন । ঋকৃবেদে স্পষ্টই উক্ত হইয়াছে যে, “একং সদ্ধ বিপ্রা বহুধা বদস্তি অগ্নিং যমং মা ওরি এক সৎস্বরূপ পরব্রহ্মকে ব্রাহ্ম র্তাহারা কখনো তাহাকে বলেন—অগ্নি, কখনো বলেন—যম, কখনো বলেন – মাতরিশ্ব। মনু তাহার গ্রন্থের উপসংহার-ভাগে ঐ কথারই প্রতিধ্বনি করিয়া আশ্রয়ে নির্ভর করিয়া যে ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠিত । ছেন ; যথা—“প্রশাসিতার সর্বস্য পুরুষং পরং” “পরম পুরুষ সকলের শাসনকর্তা” আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব এবং স্বদেশীয় । ভ্রাতৃগণের মধ্যে সেইরূপ নবোৎসাহে । দণ্ডায়মান হইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দুইটি চিরাভি লষিত ফল সৰ্ব্ব-সমক্ষে উদঘাটিত করিব— | _. কেহ বলেন—শাশ্বত ব্রহ্ম।” মঙ্গলদাতা বিশ্ববিধাতা আমাদের সকলের অন্তঃকরণে শুভ বুদ্ধি প্রেরণ করুন। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের একটি ফল সেই অতীন্দ্রিয় নিভূত স্থানে ফলিত হয়, যেখানে আত্মার সহিত পরমাত্মার সম্বন্ধ ; এবং আর-একটি ফল সেই প্রকাশ্য বহিঃপ্রাঙ্গণে ফলিত হয়, যেখানে আত্মার সহিত জগতের সম্বন্ধ। প্রথম ফলটি পরব্রহ্মে প্রীতি এবং দ্বিতীয় ফলটি তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন ;— দুইই ব্রহ্মোপাসনা । আদিম কালে ইন্দ্র বায়ু অগ্নি প্রভৃতি পরিমিত দেবতাগণকে মন্ত্র দ্বারা আহবান আমি সেই উৎসব-ক্ষেত্রে—সেই সমস্ত । এই কথা বলিয়৷ তদুত্তরে তিনি বলিতেছেন “এতমেকে বদ স্ত্যগ্নিং মনুমন্যে প্রজাপতিং ইন্দ্র মেকে পরে প্রাণং অপরে ব্রহ্ম শাশ্বতং** ইহঁাকে কেহ বলেন অগ্নি,কেহ বলেন —মনু প্রজাপতি, কেহ বলেন—প্রাণ ; কিয়ৎকাল পরে তাহাতেও সন্তুষ্ট না হইয়া জ্ঞানোন্নত ঋষির ইন্দ্রাদি দেবতাগণকে পরব্রহ্মের শাসনাধীন প্রাকৃতিক শক্তি রূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে লাগিলেন ; যথা,— “ভয়াদস্যাগ্নিস্তপতি ভয়াত্তপতি স্বর্য্য; ভয়াদিন্দ্রশচ বায়ুশ্চ মৃত্যুধাবতি পঞ্চমঃ,” ইহঁার ভয়ে অগ্নি প্রজ্বলিত হইতেছে, ইহঁার ভয়ে সূর্য্য উত্তাপ দিতেছে, ইহার ভয়ে ইন্দ্র এবং বায়ু এবং মৃত্যু প্রধাবিত হইতেছে । তাহার পরে তাহারা সমস্ত জগতের চক্ষুঃস্বরূপ সূর্য্যের অভ্যন্তরে একমাত্র অদ্বিতীয় পরব্রহ্মকে উপলব্ধি করিয়া