পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कjड्डन **** সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ᎦᎼ☾ সান হয় । প্রাচীন ঋষিরা তাই বলিয়া- পুরাণ তন্ত্র সমস্তই একবাকো তাহার C暖エ পোষকতা করিতেছে । শ্ৰীমদভাগবত “স্ব সুপর্ণ সযুজা সখায়। সমানং বৃক্ষং পরিষস্ব জাতে তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনগ্নয়নোছভিচাক পাতি। সমানে বৃক্ষে পুরুষো নিময়োহনীশয়া শোচতি মুহ্যমানঃ জুষ্টং যদা পশ্যত্যন্যমীশমস্য মহিমানমিতি বীতশোকঃ” । দুই সুন্দর পক্ষী একই বৃক্ষে এক সঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া অবস্থিতি করিতেছেন, তাহার মধ্যে একটি স্বাদগ্ৰহণ পূর্বক ফল ভোজন করিতেছেন—আর একটি নিরসন থাকিয়া কেবল মাত্র দর্শন করিতেছেন । জীবাত্মা শরীরে নিমগ্ন থাকিয়া দীনভাবে মুহ্যমান হইয়া নিরন্তর শোক করিতেছেন; যখন সৰ্ব্বসেব্য পরমাত্মাকে এবং তাহার মহিমাকে দর্শন করেন, তখন তিনি শোক হইতে মুক্ত হ’ন। পূৰ্ব্বতন আরণ্যক ঋষিদিগের প্রদর্শিত এইরূপ পরম পরিশুদ্ধ জ্ঞানের পথ পরিত্যাগ করিয়া আবার কি আমরা কল্পনার পথে ফিরিয়া যাইব ? কল্পনার অলীক প্রলোভনে মুগ্ধ হইব ? কল্পনার অকিঞ্চিৎকর বিভীষিকায় ভয়ে কম্পমান হইব ? তাহা কখনই হইতে পারে না ! ভারত-ভূমির নামে যাহাদের হৃদয় উথলিয় উঠে এবং দুই চক্ষু দিয়া বাষ্পধারা বিগলিত হয়, তাহাদের জানা উচিত যে, বেদ-শাস্ত্র সমস্ত ভারত-ভূমির সৰ্ব্বত্র শিরোধাৰ্য্য, অথচ তাহাতে শুধু যে কেবল ব্রহ্মোপাসনার বিধি আছে তাহা নহে, ব্রহ্ম ভিন্ন অন্য কোনো কিছুর উপাসনার নিষেধ আছে ; যথা— "আত্মৈবেদং নিত্যদোপাসনং স্যাৎ নান্যৎ কিঞ্চিৎ সমুপাসীত ধীরঃ” জ্ঞানবান ব্যক্তি পরমাত্মারই উপাসনা করিবেক আর কোনো কিছুরই উপাসনা করিবেক না। ব্রহ্মোপাসনা শুধু যে কে বল বেদের বিধান এমন নহে—স্থতি এরূপ রূঢ় বাক্যে পৌত্তলিকদিগকে ভৎসনা করিয়াছেন যে, তাহা শুনিলে অনেকে হয় তো ইষ্ট দেবতার নামোচ্চারণ করিয়া কর্ণদ্বয় আচ্ছাদন করিবেন, যথা, “মস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্ৰিধাতুকে স্বর্ণীং কলব্রাদিযু ভেীম হজ্যধীঃ । বৰ্ত্তী যুদ্ধঃ সলিলে ন কহিচিৎ জনেঘভিজ্ঞেষু স এল গোখরঃ ” কফ পিত্ত বায়ুময় শরীরে যে ব্যক্তির আত্মবোধ, স্ত্রী পুত্রাদিতে যে ব্যক্তির আপনত্ব বোধ, আর জ্ঞানিজন সমাগমে নহে কিন্তু জলে যাহার তীর্থবোধ সে ব্যক্তি গো-গর্দভ । মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে আছে এবং তাহ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের শিরোভাগে সুন্নিবিষ্ট হইয়াছে যে, "ব্রহ্মনিষ্ঠে গৃহস্থঃ স্যাৎ তত্ত্বজ্ঞান-পরায়ণ, । যদৃষং কৰ্ম্ম প্রকুৰ্ব্বত তদ্ধ ক্ষণি সমৰ্পয়েৎ ” গৃহস্থ ব্যক্তি ব্রহ্মনিষ্ঠ হইবেন তত্ত্বজ্ঞান পরায়ণ হইবেন এবং যে কোনো কৰ্ম্ম করেন তাহ পরব্রহ্মে সমপণ করিবেন । মনু কি বলিয়াছেন তাহা আমি ইতিপূর্বে বলিয়াছি, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, শাশ্বত পরমপুরুষ পরব্রহ্মই সাধকদিগের প্রকৃত উপাস্য দেবতা—ইন্দ্রাদি দেবতারা র্তাহারই বিভিন্ন-শক্তি-জ্ঞাপক নাম মাত্র । স্মৃতি-পুরাণ-তন্ত্রোক্ত এ সমস্ত জ্ঞানের কথা বেদেরই প্রতিধ্বনি ; বেদে কোথাও আছে “আত্মানমেব প্রিয়মুপাসীত” “পরমাত্মাকেই প্রিয়রপে উপাসনা করিবেক” কোথাও বা আছে “নেদং যদিদমুপাসতে” লোকের দেখাদেখি কোনো পরিমিত বস্তুর উপাসনা করিবেক না । এতকালের পরেও এখনো কি আমাদের দেশ ঐ সকল জ্যোতিৰ্ম্ময় বেদবাক্যের প্রতি বধির হইয়। নিদ্র। যাইতে পারে ? চতুর্দিক হইতে