পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांग्लन »v*२ ـــــــــــسهـهــــــــــــــــــــ সামাজিক শুভকাৰ্য্য যত প্রকার অাছে তাহার মধ্যে বিবাহই সর্বপ্রধান ; এই জন্য বিবাহের অনুষ্ঠান-পদ্ধতিকে পৌত্তলিকতkদোষ হইতে মুক্ত করা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের একটি প্রাণগত সংকল্প ; কাজেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মানুযায়ী বিবাহের অনুষ্ঠানে হোম দ্বারা পরিমিত দেবতাগণের তুষ্টিসাধন কোনোক্রমেই শোভা পাইতে পারে না ; তাই তাহার মধ্য হইতে কুশণ্ডিকা সমূলে পরিবর্জিত হইয়াছে। কুশণ্ডিকা কেবল হোমের অগ্নি-সংস্কার, তা ভিন্ন তাহা স্বতঃ কিছুই নহে ; যেখানে হোমের কোনো সংশ্ৰব নাই সেখানে কুশণ্ডিকা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। যদি শাস্ত্র শিরোধাৰ্য্য করিতে হয়, তাহা হইলেও দেখিতে পাওয়া যায় যে, কোনো শাস্ত্র অনুসারেই হোম বিবাহের এরূপ-কোনো অপরিহার্য্য অঙ্গ নহে যে, তাহা না করিলেই নয়। আশ্বলায়নীয় গৃহ সূত্রের ১ম অধ্যায়ের ৪র্থ কণ্ডিকার ৬ষ্ঠ সূত্রে স্পষ্টই লিখিত আছে যে, “একে আচার্য্যাঃ কামপ্যাহুতিং নেচ্ছন্তি” একদল আচার্য্যের কোনো প্রকার হোমই অনুমোদন করেন না । পূৰ্ব্বতন আচার্য্যেরা হোম-যাগ-যজ্ঞ প্রভূতির মধ্যস্থলে অষ্টপ্রহর বাস করিতেন কাজেই তাহা যে কি পদার্থ তাহা তাহারা বিশেষরূপে জানিতেন, কেননা তাহারা ভুক্তভোগী; এমত স্থলে— যাগ-যজ্ঞ-সম্বন্ধে তাছার মধ্যে মধ্যে যেরূপ হৃদয়-ভেদী আক্ষেপোক্তি প্রকাশ করিয়াছেন, ভারতবাসীদিগের তাহ অতীব মনোযোগের সহিত শোনা উচিত ; ঐ সকল বৃথা কার্য্যের প্রতি র্তাহারা যে, কি রূপ আন্তরিক বিরক্ত ছিলেন, তাছার একটি নমুনা আমি ইতিপূর্বে দেখাইয়াছি যথা, • झदा ८श८उ अशुक्ल क्लझश्रो अडेनएोङभदब्र९ cण्बू ! সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২১৭ --- ASAAAAS S SAAAASA SAAAASTSS কৰ্ম্ম, এতচ্ছে.য়ে যে২ভিনন্দস্তি মুঢ়া জরামৃত্যুস্তে পুনরেবাপিয়ত্তি । যে-সকল মূঢ় ব্যক্তিরা অকিঞ্চিৎকর অষ্টাদশ কৰ্ম্ম-সম্বলিত নশ্বর এবং অস্থায়ী যজ্ঞাদির অনুষ্ঠানকে শ্রেয়-বোধে অভিনন্দন করেন তাহারা জরামৃত্যুর বশতাপন্ন হ’ন। ব্রাহ্মের কুশণ্ডিকা এবং হোম পরিত্যাগ করিয়াছেন বলিয় শাস্ত্রানুসারে যদি তাহাদিগকে দোষী হইতে হয় তবে বিবাহের অনুষ্ঠানে “কেচিৎ আচাৰ্য্যাঃ” কোনো কোনো আচার্য্য র্যাহারা “কামপ্যান্থতিং নেচ্ছন্তি” কোনো প্রকার হোমই অনুমোদন করিতেন না” তাহারা আচার্য্যপদবী হইতে কেননা বহিষ্কৃত হইলেন ? ইহাতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, কুশণ্ডিকা এবং হোম বিবাহের অপরিহার্য্য অঙ্গ নহে। শাস্ত্রের অভিপ্রায়ানুসারে সম্প্রদান এবং পাণিগ্রহণ এই দুইটিই বিবাহের মুখ্য অঙ্গ এবং সপ্তপদীগমন পাণিগ্রহণের চরম পর্য্যাপ্তি-স্বরূপ। শুধু কেবল হিন্দুজাতির শাস্ত্র অনুসারে নহে প্রত্যুত পৃথিবী শুদ্ধ সমস্ত আৰ্য্যজাতির শাস্ত্র অনুসারেই—কন্যার দান এবং গ্রহণ এই দুইটি কাৰ্য্য রীতিমত সমাধা হইলে বিবাহ-সিদ্ধির পক্ষে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না । শাস্ত্র-অনুসারে এবং প্রচলিত প্রথা অনুসারে ব্রাহ্মণ-ভিন্ন অপরাপর জা তির মধ্যে হোমাদির তো কোনো প্রসঙ্গই উত্থাপিত হইতে পারে না ; তা ভিন্ন ঘটস্থাপন শিলাস্থাপনাদি পৌত্তলিক ব্যাপার যাহা বর্তমান কালে আমাদের দেশে প্রচলিত তাহা কোনো স্মৃতি-শাস্ত্রেই লেখে না—তাহ নিতান্তই অধুনাতন কালের নূতন স্বষ্টি। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রকৃত মন্তব্য কথা এই যে, যে জাতির যেরূপ জাতীয় প্রথা তাহ সেইরূপই থাকুক্‌, যে-কুলের যেরূপ কোঁ