পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ লিক প্রথা তাহ সেইরূপই থাকুক, তাহার প্রতি হস্তক্ষেপ করিবার কোনো প্রয়োজন নাই ; কেবল সেই-সকল প্রচলিত অনুষ্ঠানের মধ্য হইতে পরিমিত দেবতাগণের উপাসনা সমূলে উঠিয়া গিয়া তাহার স্থলে বিশুদ্ধ ব্রহ্মোপাসনা অধিরূঢ় হউক, তাহ হইলেই ব্রহ্মোপাসক ভক্তজনগণের বিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম-ব্রত অব্যাহত থাকিবে । ব্রাহ্মদিগের বিবাহের অভ্যন্তরে এই যেমন দেখা গেল তেমনি আর আর সমস্ত শুভানুষ্ঠানের অভ্যন্তরে পরিমিত দেবার্চনার পরিবর্তে এক মাত্র অদ্বিতীয় পরব্রহ্মের উপাসনা প্রবর্তিত করাই ব্রাহ্ম অনুষ্ঠান পদ্ধতির মুখ্য ংকল্প ; যেহেতু ব্রাহ্মধৰ্ম্মে আছে যে, গৃহস্থ ব্যক্তি যে-কোনো কৰ্ম্ম করিবেন তাহা । পরব্রহ্মে সমপণ করিবেন। ঈশ্বরকে ছাড়িয়া সংসারধৰ্ম্ম ধৰ্ম্মই নচে, তাহা ছদ্মবেশী স্বার্থপরত। ঈশ্বর-ভ্রষ্ট বিময়ী ব্যক্তিদিগের অন্তরস্থিত রিপু সকলই তাহাদের অন্তরতম বন্ধু এবং তাঁহাদের বহিঃস্থিত অন্ধশক্তিই তাহাদের জাগ্রত বিশ্বাধিপতি ; তাহা ব্যতীত তাছাদের কাহারো ঈশ্বর অর্থ, পত্তি, কাহারো ঈশ্বর আপনি এবং আপনার | পরিবার । মঙ্গলময় করুণাময় সৰ্ব্বারাধ্য পরম-দেবতা এবং অন্তরতম প্রিয়তম পরমাত্মা হইতে বিমুখ হইয়। মায়াবী অন্ধশক্তি এবং স্বার্থ-রাক্ষসের অধীনে মনুষ্য-সমাজ কতদিন টেকিয়া থাকিতে পারে ? তাই আমাদের দেশের এক্ষণে এইরূপ শোচনীয় জিত করুণ ! আমাদের এই দীন হীন বঙ্গ ভূমিতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অভিনব আবির্ভাব । তাহার অপার করুণার একটি প্রত্যক্ষ নিদশন। সেই করুণাময় বিশ্ববিধাতার উপাসনা হিমালয় হইতে কন্যাকুমারী প তত্ত্ববােধিনী পত্রিক | I | |

  • २ कब्र, ● छां*

র্য্যন্ত, পশ্চিম-সাগর-কূল হইতে পূর্ব সাগর-কূল পর্য্যন্ত, গৃহে গৃহে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ভারত-ভূমির সৌভাগ্য-সূৰ্য্য প্রত্যানয়ন করিবার জন্য ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এক্ট নিরাশ্রয় দরিদ্র-কুটার বঙ্গভূমিতে জন্ম গ্রহণ করিয়াছে ; এমন ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে—পরমপিতার এমন স্বগীয় করুণামৃত প্রসাদকে— আমাদের দেশের এমন হিতৈষী পরম বস্কুকে—আর কি আমরা তিলমাত্রও নয়নের অন্তর করিতে পারি ? অামাদের দেশের যখন অন্তরে অন্ধকার বাহিরে অন্ধকার, এই ঘোর দুঃসময়ে, পরমপিতা পরমাত্মার চরণচচ্ছায়া ভিন্ন আর কোথায় গিয়া আমরা শান্তি পাইব ? আজিকের এই শুভ অবসরে আইস আমরা সমস্ত দুঃখতাপ বিস্মৃত হইয়া ক্ষণকালের জন্যও সকলে মিলিয়া র্তাহার চরণের আশ্রয় গ্রহণ করি—তিনি আমাদিগকে সংসারারণ্যের সমস্ত বিস্তু বিপত্তি হইতে পরিত্রাণ করিয়া যথাকালে র্তাহার অমৃত নিকেতনে উত্তীর্ণ করিয়া দিবেন-নিঃসংশয় । কেননা তাঙ্গারই জন্য তিনি এই বিচিত্র ব্রহ্মাণ্ড স্বজন করিয়া CgcN I ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । অনন্তর শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় এইরূপ উদ্বোধন করিলেন। যে শুভদিনে শুভক্ষণে নিদ্রিত ভারতের পতিত-সন্তানগণকে প্রবোধিত করি বার জন্য সত্যের ভেরী বঙ্গে প্রথম নিনাঅপস্থা । কিন্তু তেমনিই ঈশ্বরের আপনা- ৷ দিত হয়, যে দিন অচেতন ভারতের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিবার জন্য বেদ বেদান্ত প্রতিপাদ্য মঙ্গলময় পরমেশ্বরের পবিত্র পূজাচৰ্চনার বিশুদ্ধ পদ্ধতি এদেশে আবার পরি গৃহীত হয়—যে দিন ধৰ্ম্মপ্রাণ ভারতের নৈশ গগন আলোকিত করিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের