পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כנשג הסחיף لیگند حكسسسسسسسسسسسييسي= বিমল জ্যোৎস্না ধৰ্ম্মজগতে প্রথম উদ্ভাসিত | হয়—যে দিন হইতে সত্যের বণ্য — দের সকল অবস্থার চিরসঙ্গী তাহাকে অ প্রেমের তরঙ্গ প্রবাহিত হইতে আরম্ভ হ ইয়। সকল প্রকার ভ্রান্তি ও কুসংস্কারকে : আমরা তাহার পূজাৰ্চনায় প্রবৃত্ত হই— আলোড়িত করিয়া তোলে—যে দিন হইতে ধৰ্ম্মজগতে যুগান্তরের সূত্রপাত হইয়াছে—আমরা সেই মাঘের একাদশ দি বসে সকল কল্যাণের আকর—প্রেমের সাগর—সত্যের অনন্ত প্রস্রবণ পরমেশ্বরের পূজাৰ্চনার জন্য শ্রদ্ধাভক্তি প্রীতি কৃতজ্ঞতার বিমল উপচার লইয়া আগমন করিয়াছি । ঈশ্বরের করুণ' ত আজীবনকাল আমাদিগকে রোগ শোক বিপত্তি বিষাদ পাপ তাপের হস্ত হইতে রক্ষা করিতেছে— আমরা ত তাহার করুণানীরে নিত্যকাল সঞ্চরণ করিতেছি ; কিন্তু আজিকার দিবসে র্তাহার মঙ্গলভাব পিতৃবাৎসল্য বিশিষ্টরূপে প্রত্যক্ষীভূত হইয়াছিল বলিয়া, আমাদের মস্তক আজ সহজেই তাছার পদতলে কৃতজ্ঞতাভরে অবনত হইয়া পড়িতেছে, তাহাকে না পাইলে আমাদিগের আন্তরিক ব্যাকুলতার কিছুতেই পরিসমাপ্তি হইতেছে না । ভ্রাতৃপ্রেমে স্নেহ সোঁহাদে সকলে সম্মিলিত হইয়া প্রাণের পিপাসা শান্তি করিবার জন্য এই উৎসবক্ষেত্রে সকলে সমাগত হইয়াছি। আমরা মর্ত্যের ধূলিকণা হইলেও সেই বিশ্বজননী উৎসব-দ্বার আজ আমাদের জন্য প্রমুক্ত করিয়া দিয়াছেন । বিষয়-চিন্তা বিষয়-কোলাহল হইতে মনকে প্রতিনিবৃত্ত কর, শান্ত দান্ত সমাহিত হইয়। র্তাহার অজেয়—আশবদ বাণী শ্রবণ কর । তিনি বলিতেছেন “উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত” উথান কর, মোহনিদ্রা পরিহার করিয়া আমার নিকট আগমন কর, এই যে আমি .তোমার সম্মুখে” । এমন যে স্নেহময় সাংসরিক ব্রাহ্মসমাজ ro睡 _ _ _மை.ை - RSS) পিতা–করুণাময়ী মাতা—যিনি অামা স্তরে বাহিরে জাগ্ৰত জীবন্তরূপে অনুভব করিয়া কাতর প্রাণে বিমল হৃদয়ে আইস হৃদয়থালভার ভক্তিপুপহার তাহার চরণে অর্পণ করিয়া মনু , জন্মের সার্থক্য সম্পাদন করি । অনন্তর শ্ৰীযুক্ত মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায় এই উপদেশ পাঠ করিলেন । পুরাকালে মঙ্গলার্থী যেরূপ বর্ষে বর্ষে স্বীয় জন্মতিথিতে মঙ্গলাচরণ করিয়া বর্ষগ্রন্থি বন্ধন করিত, সেইরূপ ব্রাহ্মগণ র্তাহাদের আধ্যাত্মিক জীবনের জন্মতিথিস্বরূপ ব্রাহ্মসমাজের জন্মতিথিতে পরমাত্মার উপাসনা করিয়া মঙ্গল স্বরূপ পরমাত্মা কামনায় প্রীতিসূত্রে পরমেশ্বরের সহিত সম্যকযোগ গ্রস্থি বন্ধন করিবে—ইহাই মাঘোৎসবের চরম উদ্দেশ্য । গত বৎসরের পাপ পুণ্য, স্থখ দুঃখ, সম্পদ বিপদ, স্বষ্টিকর্তার চরণে সমৰ্পণ করিয়া, ফলের অাশা ও সেই জন্য আজ আমরা । অফলের আশঙ্কা শূন্য হইয়া তাহারই ইচ্ছ। সফল হউক এই কামনায় নিশ্চিন্ত চিত্তে পরমাত্মায় প্রীতি স্থাপনে আমাদের যত্ব বৃদ্ধি হয় অখিলবিধাতা তাহারই বিধান করুন । তিনি কৃপা করিয়া আমাদিগের অন্তরে যখন দেখান যে র্তাহাতে প্রীতি না থাকিলে আমাদের কি দুর্দশা হয়, কি অকিঞ্চিৎকর অসার বস্তুতে আমাদের প্রীতি আবদ্ধ থাকে—তখনই কেবল তামাদের প্রীতি র্তাহার অভিমুখী হয়, নতুবা অামাদের কি এমন শক্তি আছে যে অমর। র্তাহাকে পাটবার ইচ্ছা করিতে পারি । তিনিই কৃপা করিয়া জগতে ও ব্রাহ্মদিগের হৃদয়ে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বীজ বপন করিয়াছেন ।