পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ४२.कछ, s छाँग মুহূর্তও তাহার করুণা হইতে বঞ্চিত হই নাই, তিনি মুহূর্তের জন্যও আমাদিগকে পরিত্যাগ করেন নাই। এমন প্রেমময় | পিতাকে যেন আমরা কখনও ভুলিয়া না । থাকি । তিনি আমাদের চিরকালের পিতা, পুরাতন পিতামহ, তিনি চির নূতন, তিনি চির পুরাতন “স এবাদ্য সউশ্বঃ” । তিনি অদ্যও যেমন কল্যও তেমন । হে দীনবন্ধু পিতা ! এই সুমধুর পবিত্র । প্রাতঃসমীরণের মধ্যে আমরা তোমার নাম গ্রহণ করিয়া ধন্য হইতেছি । হে পরম সখা ! তুমিই আমাদের আশাভরসা, তুমিই আমাদের বলবুদ্ধি, সুখ দুঃখে তুমিই একমাত্র সঙ্গী। হে সত্যস্বরূপ ! আমরা অসত্যে নিমগ্ন হইয়া তোমার সত্যালোক । প্রতীক্ষা করিতেছি । আমরা আজ্ঞান-অন্ধকারে পথহারা, তোমার জ্যোতি বিকীর্ণ ; কর, যেন আগামী বর্ষে আর তোমার । আশ্রয় পরিত্যাগ না করি । জল স্থল আকাশ গুহ পরিবার সর্বত্র যেন তোমার আবির্ভাব তোমার প্রকাশ প্রত্যক্ষ করিয়া তোমাতে আত্ম সমপণ করি । হে দেব ! | তোমার প্রসাদে বায়ু সকল মধুময় রূপে | প্রবাহিত হউক, স্রোতস্বিনীরা অমৃতস্যন্দিনী হউক, ওষধি বনস্পতি কি রাত্রি । কি উষা মধুময় হউক, তুমি আনন্দ অযুতরূপে আমাদের প্রাণে প্রকাশিত হও । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । - تخصص هیپ ব্ৰহ্ম-সঙ্গীত । | রাগিণী টাঁড়ি—ভাল কারোলি । নব আনন্দে জাগে। আজি ; নবরবিকিরণে, শুভ্র সুন্দর প্রীতিউজ্জ্বল নিৰ্ম্মল জীবনে । উৎসারিত নবজীবননিৰ্বর, উচ্ছসিত আশাগীতি, অমৃত পুষ্প গন্ধ বহে আজি এই শান্তি পবনে । রাগিণী আলাইয়া—তাল কাওয়ালি । ঐ পোহাইল তিমির রাতি ; পূর্বগগনে দেখা দিল নব প্রভাতছটা, জীবনে, যৌবনে, হৃদয়ে বাহিরে প্রকাশিল অতি অপরূপ মধুর ভাতি । কে পাঠালে এ শুভদিন নিদ্রা মাঝে, মহা মহোল্লাসে জাগাইলে চরাচর, সুমঙ্গল আশীৰ্ব্বাদ বরষিলে করি প্রচার সুখ বারতা তুমি চির সাথের সাথী। صحمص كميــد হিন্দুধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মপূজা । পূর্বের অনুবৃত্তি । ভগবান কৃষ্ণদ্বৈপায়ন লোকশিক্ষার উদেশে পুরাণাদি প্রণয়ন করিয়া পরিশেষে স্বীয় দোষ ক্ষালনের জন্য এই প্রার্থনা করিতেছেন । “রূপং রূপবিবর্জি তস্য ভবতো ধ্যানেন যদ্বর্ণিতং । স্বত্যানিৰ্ব্বচনীয়তাহখিলগুরোদুরীরত যন্ময়া । ব্যাপিত্বঞ্চ বিনাশিতং ভগবতো যত্তীর্থযাত্রাদিন । ক্ষন্তব্যং জগদীশ তদ্বিকলতা দোষত্ৰয়ং মৎকৃতং ॥” হে জগদীশ ! তুমি রূপবিবর্জিত, অনিৰ্ব্বচনীয় ও সৰ্ব্বব্যাপী । আমি বিকলচিত্ত হইয়া ধ্যানের দ্বারা তোমার রূপ বর্ণনা করিয়াছি, স্তুতিবাদ করিয়া তোমার অনি বর্বচনীয়ত্ব খণ্ডন করিয়াছি এবং তীর্থযাত্রাদির দ্বারা তোমার সর্বব্যাপকত্বের ব্যাঘাত করিয়াছি। আমার অজ্ঞানতাকৃত এই তিন অপরাধ ক্ষমা কর । অধিক শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধত করিয়া শ্রোতৃবর্গকে বিরক্ত করিবার প্রয়োজন নাই। শ্ৰীমদ্ভগবৎগীতা, বিষ্ণুপুরাণ, অষ্টবক্রসংহিতা, মহানির্বাণতন্ত্র ও উপনিষদাদি সমুদায় শাস্ত্রই এক