পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS e ७२ कन्न, sछtन


45-61 حسيخضع مضجيج يعيعتحتعطيني- و

র্তাহারই কৃপায় তাহার প্রিয় ভক্তবৃন্দ দ্বারা বাক্যরূপ আধারে সেই সত্য স্বরূপ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম জগতে আবির্ভত হয় যাহাকে ধারণ করিয়া জীব কৃতাৰ্থত লাভ করে—তাহার জগতে আর প্রাপ্তব্য থাকে না । ঈশ্বরবিষয়ে সংশয়াত্মাদিগের দুবুদ্ধিশুঙ্খলের কাঠিন্য পরিবদ্ধক জগতে যে ভীষণ ধৰ্ম্ম-বিবাদ সদপে পরিভ্রমণ করে তাহাকে নিবারণ করিবার যে আশ্চর্য্য শক্তি ব্রাহ্মধৰ্ম্মে নিহিত আছে তাহা তাহারই প্রসাদাৎ । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সেই শান্তস্বরূপ শান্ত ভাবে চিন্তা করিবার যথার্থ সময় অদ্যকার এই শুভ উৎসব-রাত্রি । সত্যই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । এই সত্য, জগদ্ধ্যাপী ও জগদতীত পরত্রহ্মের স্বরূপ । যে জগতের আমরা अखड्ड—उॉश পরব্রহ্মেরই শক্তি। তিনি শক্তির শক্তি, প্রাণের প্রাণ, মনের মন, আত্মার আত্মা । সেই পূর্ণ পরব্রহ্ম নিরুপদ্রব, শান্তিস্বরূপ, একরস,—র্তাহাকে বিবাদ বিসম্বাদ অন্তহৃত হয় । জগতের স্বষ্টিস্থিতি প্রলয়ের একমাত্র কারণ সেই ব্রহ্মকে অবলম্বন করিয়া সংসারের যাবতীয় ধৰ্ম্ম প্রবর্তিত হইতেছে । “একভানু অযুত কিরণে উজলে যেমতি সকল ভুবন ; তোমার প্রীতি হইয়ে শতধা বিরচয়ে সতীর প্রেম, জননী হৃদয়ে করে বসতি ।” সেই প্রকার মনুষ্যরূপ যে আধারে ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত, সেই আধারের স্বভাববৈচিত্র্য হেতু এই একই সত্য ভিন্ন ভিন্ন আকারে প্রতিভাত হইতেছে। পরব্রহ্ম এইটি যাহার হৃদয়ে মুদ্রিত করেন তিনিই যথার্থ ব্রাহ্ম। ব্রহ্ম যেরূপ নিরুপদ্রব, ব্রাহ্মের হৃদয়ও সেইরূপ নিরুপদ্রব । যিনি যথার্থ ব্রাহ্ম, তিনি জানেন যে জগতের কারণ ও নির্বাহকর্তা পরমেশ্বরের স্বরূপ মন ও বাক্যের অতীত, যেহেতু তার নাম নাই, রূপ নাই এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোন গুণই নাই । . আমরা উপাসকবৃন্দ এই জানি যে তিনি “সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম, আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি শান্তং শিবমদ্বৈতং,”আমরা জানি যে তিনি শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বভাব, আমরা জানি যে তিনি অখিলপিতা ও বিশ্বজননী— র্তাহারই অভয় আশ্রয় প্রার্থনায় তাহারই উপাসনা করি। র্তাহার রচিত এই চক্ষের সম্মুখে উপস্থিত জগতের স্বরূপ অর্থাৎ জগৎ কি বস্তু ও জগতের পরিমাণ কি— ইহাই যখন নিৰ্দ্ধারিত করিতে মনুষ্যের বুদ্ধি পরাজিত হয়, তখন র্যাহাকে এই অসীম অচিন্ত্য জগতের কর্তা ও নির্বাহকর্তা বলিয়া লক্ষ্য করা যায়, তাহার স্বরূপ কে নির্ণয় করিতে পারে । তবে তিনিই যে আমাদের মাতা; পিতা, বন্ধু, ও অন্তরহৃদয়ে ধারণ করিলে সকল প্রকার অমঙ্গল | তম বস্তু তাহা তাহারই প্রসাদে আমরা বুঝিতে পারি। এ বিষয়ে বিচারতঃ কেহই বিরোধী নাই। সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মের লোকই যে ভাবেই হউক জগতের কারণ ও নির্বাহকর্তার উপর বিশ্বাস করে । তাহার স্বরূপ সাকার কি নিরাকার—এইরূপ বিষয় লইয়াই কেবল বিবাদ । কিন্তু পূৰ্ব্বোক্তরূপে যখন পরমেশ্বরের যথার্থ স্বরূপ-জ্ঞান জন্মে তখন ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শুভ্র জ্যোতিতে সমুদায় বিবাদ ও অমঙ্গল বিলুপ্ত হইয়া যায়। যখন এইরূপই হইল তখন ব্রাহ্মের সম্বন্ধে বিবাদ কোথায় ? যদি কাহারো ব্যবস্থার বা উপাসনা কোন অংশে সত্যের সরলতার হানি করে বা বাহ্য আড়ম্বরে সত্যের জ্যোতিকে হীনপ্রভ করে তাহ হইলে ব্রাহ্মের কর্তব্য কি ? তাহাতে কি,