পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कास्न sy१९ ·>FCIT2 সাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের নিরুপদ্রবত ক্ষুণ্ণ হয় ? কখনই ২২১ - - ----- =مجمجمهای قبیع==حسیحی - -- - নাথ ! তোমার যে প্রকার করুণ, umų না। আমরা যদ্যপি যথার্থ ব্রাহ্ম হই । তাহার সমান কৃতজ্ঞতা--তাহার উপযুক্ত ত্বাহ হইলে আমরা দেখিতে পাইব যে পূজা আমরা কোথায় পাইব । তথাপি অজ্ঞান-প্রসূত ভ্রমের একমাত্র জ্ঞানই নিবা লোকে জ্যোতির আধার সূৰ্য্যকে যে প্রকার রক, যেমন আলোকের দ্বারাই অন্ধকার ক্ষুদ্র প্রদীপ দিয়াও আরতি করে, আমরা ও নিবারিত হয় ; অন্ধকার দ্বারা অন্ধকার যায় না——ইহা সৰ্ব্ব অবস্থায় ব্রাহ্মদিগের স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য । অপরের ভ্রম বা অসম্পর্ণতায় বিবাদের স্থল না খুজিয়া চরমে উপাসনায় সাম্য আছে—এই বুঝিয়! সেই অপরকে সত্যের দিকে অাকর্ষণ করিয়া আত্মীয় করা উচিৎ । তাহা হইলে সত্যস্বরূপ পরমাত্মা সেই সাধু উদ্দেশ্যকে আশীৰ্ব্বাদ করিবেন ইহাতে সন্দেহ নাই । ইহা না বুঝিয়া যখনই আমরা বিবাদ করি তখনই আমরা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম হইতে দূর হইয়। পড়ি, তখনই আমরা লক্ষ্যভ্রষ্ট ও ইষ্টচু্যত হইয়া পড়ি । অতএব সৰ্ব্ববিষয়ে সৰ্ব্বজনের সহিত আত্মীয়ভাব রক্ষা করিয়া ব্যবহার ও পরমার্থ সাধন করাই আমাদের শ্ৰেয়ঃ । তাহা হইলে মনুষ্যের আধিপত্য | জগত হইতে আপনিই সরিয়া দাড়া ইয়। সকলের হৃদয়ে পরমাত্মাকে প্রতিষ্ঠিত করিবে ও জীব কৃতাৰ্থ হইয়া তাহার সহিত নিত্য সহবাস-জনিত ভূমানন্দ লাভ করিবে। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । অনন্তর শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত শম্ভুনাথ গড়গড়ি মহাশয় এই প্রার্থনা করিলেন । হে জ্যোতির জ্যোতি ; আনন্দের প্রস্রবণ ; তুমি আমার স্পর্শমণি, অর্ণধার ঘরের আলো ; আজ প্রার্থনার পূর্বেই তুমি কৃপা করিয়া আমাদের হৃদয় অধিকার করিয়াছ । ইহাতে আমাদের প্রতি তোমার কি অনুপম স্নেহই প্রকাশ পাই <でひ破| | | | তেমনি আমাদের যাহা কিছু পূজোপহার আছে, আজ উ“সবের দিনে, তোমার চরণে উৎসর্গ করিতেছি, তুমি প্রসন্ন হইয়৷ গ্রহণ কর । চন্দ্রোদয়ে সমুদ্র যে প্রকার তরঙ্গরূপ বাহুবিস্তার করে, আজ তোমাকে জ্ঞাননেত্রের সম্মুখে উদিত দেখিয়া হৃদয় সেই প্রকার যেন সহস্ৰ হস্ত বিস্তার পূর্বক তোমার চরণে প্রীতিকুসুম উপহার দিতেছে, তুমি কৃপা করিয়া গ্রহণ কর—আমরা চরি তার্থ হই । নাথ ! আজি যেমন আত্মায় আবিভূত হইয়। আমাদিগকে ব্রহ্মানন্দে আপ্লাবিত করিতেছ, এমনি চিরদিনই করিও । পরীক্ষায় জানিতেছি, এ আনন্দের তুলনা নাই। এ আনন্দ ভিন্ন প্রার্থনাও আর তোমার নিকট কিছুই নাই। এ আনন্দ লাভে যাহা কিছু বাধা বিঘ্ন তুমি | | তাহা দূর করিয়া দাও । এই উৎসব ক্ষেত্রে আত্মায় আবিভূত হইয়া তুমি বলিতেছ, আমি আধ্যাত্মিক কর্ণে শুনিতেছি “সংযত হও—পবিত্র হও—আমি যাহাদান করি বিধান করি সস্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ কর” হে পরমেশ্বর, আমরা যেন তোমার এই উপদেশ অনুসারে কার্য্য করিতে পারি। তাহা হইলেই আমাদের ব্রহ্মানন্দ স্থায়ী হইবে । হে জগৎগুরু ! তুমি আমাদিগকে আত্মসংযম শিক্ষা দাও । তুমি এমন ব্রহ্মাস্ত্র দাও যাহার বলে পাপরাপ কালসপকে দগ্ধ করিতে পারি ! তোমার বলেই আমাদের বল—তোমার বলেই আমাদের বীর্য্য—তোমার কৃপাই আমার