পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९९ সৰ্ব্বস্ব ! কৃপানাথ ! তোমার প্রেমমুখ আমাকে এমন করিয়া দেখাও, যাচার প্রভাবে সংসারের কোন আকর্ষণ অামাকে ব্ৰহ্মানন্দ হইতে বঞ্চিত করিতে না পারে। হে অখিল-বিধরণ ! তুমি আমাকে স্বৰ্গীয় ধৈর্য্যরূপ অক্ষয় বৰ্ম্মে আচ্ছাদিত কর যাহাতে শোক তাপ-নিষ্ঠুরতা নির্যাতন ও বিল্প বিপত্তির আঘাতে অবিচলিত ও অক্ষত থাকিতে পারি। তুমি আমাকে সুখে দুঃখে অটল রাখ। হে শান্তস্বরূপ, তুমি শান্তিরূপে আমার হৃদয়ে বিরাজ কর । তোমার স্পৰ্শ-সুখই আমার শান্তি ; সে সুখে আমায় বঞ্চিত করিও না । আমি যেন নিৰ্ভয়ে তোমাতে অবস্থিতি । করিতে • পারি। যেন তোমার সহিত যোগ-যুক্ত হইতে পারি। এই যোগপ্রভাবে জীবন থাকিতে থাকিতে যেন অমৃত ভবনের আনন্দ ইহলোকেই আস্বাদন ক- । রিতে পারি। পরে যখন জন্মের মত চক্ষু মুদ্রিত করিব, সেই ঘোর অন্ধকারের মধ্যে যখন প্রিয়জন ক্রমে ক্রমে অদৃশ্য হইয়া যাইবে, তখন, হে অভয়-দাতা, তুমি কৃপা করিয়া জ্যোতিৰ্ম্ময় রূপে আমাকে দেখা দিও। হে পরমাত্মন, যেন “ব্রহ্মকৃপাহি কেবলং” “ব্রহ্মকৃপাহি কেবলং” বলিতে বলিতে আমার প্রাণবায়ু বহির্গত হয় । মরণান্তে তুমি আমাকে তোমার সেই শান্তি নিকেতনে স্থান দিও যেখানে রোগ শোক—পাপ তাপ বিবাদ বিসম্বাদ বিরহবিচ্ছেদ কোন জ্বালা যন্ত্রণা নাই । যেখানে যোগানন্দের উৎস—প্রেমানন্দের উৎস নিয়তই উৎসারিত হইতেছে । নাথ ! দুঃখীর প্রার্থনা পূর্ণ কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা কৃপা- ৷

  • २ कब्र, ● छानि

ব্রহ্মসঙ্গীত । রাগিণী ইমন—তাল একতাল।। থাক নাথ থাক মোর সাথে অনুক্ষণ । • পাপ তাপ রোগ শোকে মর্ত্যলোকে তুমিই শরণ। তব কৃপা অনুভবে, সুখ দ্বিগুণিত ভবে দুখ মাঝে স্থখদাতা করিয়ে স্মরণ । থাক নাথ থাক মোর সাথে অনুক্ষণ । অন্তরে বাহিরে অরি, রহে ঘিরি অরণ্য ভীষণ । বিপদের কশাঘাত, দেখি তাহে তব হাত। অকাতরে সহিব এ ভব নির্যাতন । কেন নাথ কেন হল তব আদর্শন । পাপের কালিম। মাখা, দেয় দেখা ঘন আবরণ | উজ্জ্বল প্রকাশ প্রভু, দেখেও দেখি না কভু, শুনে ও শুনি না তব মধুর বচন । থাক নাথ থাক মোর সাথে অনুক্ষণ । দুৰ্ব্বল কাতর অতি, নাহি গতি বিনা দরশন | অনুতাপ অশ্রুজলে, নিভাও হে পাপানলে, ক্ষতহৃদে শান্তি সুধা কর বরিষণ । থাক নাথ থাক মোর সাথে অনুক্ষণ । صحراۓ یہ سے | দান প্রাপ্তি । কৃতজ্ঞতার সহিত স্বীকার করিতেছি যে শ্ৰীযুক্ত বাবু নগেন্দ্রনাথ বসু ও বাবু উপেন্দ্রনাথ বসু সংস্কৃত ও বাঙ্গালী ভাষার পাঠক মাত্রেরই সমাদরের সামগ্ৰী বিশ্বকোষ নামক বাঙ্গালা অভিধানখানি আদি ব্রাহ্মসমাজের পুস্তকালয়ে প্রদান করিয়াছেন। ঐ গ্রন্থের প্রথমাবধি ৩৬ সংখ্যা পর্য্যস্ত পাইয়াছি। অভিধানে যাবতীয় সংস্কৃত বাঙ্গালী শব্দের অর্থ ও তৎসম্বন্ধে জ্ঞাতব্য বিষয়, তথা আরব্য পারস্য হিন্দি প্রভৃতি ভাষার চলিত শব্দ, তাহদের অর্থ, আর্য্য ও অনার্য্য জাতির বৃত্তাস্ত, বৈদিক ও পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক সব্বজাতির প্রসিদ্ধ ব্যক্তিাদগের বিবরণ, বেদ পুরাণ তন্ত্র ব্যাকরণ অলঙ্কার জ্যোতিষ রসায়ণ ভূতত্ত্ব প্রভৃতি নানা শাস্ত্রের ও নানা বিষয়ের সারাংশ সন্নিবেশিত থাকিবে । সম্পাদক যেরূপ প্রতিজ্ঞ ও সঙ্কল্প করিয়াছেন তাহ সম্যক্ রক্ষা ও সিদ্ধি বিষয়ে বিপেধ ৰত্ন করিতেছেন, কৃতকার্য্যও হইয়াছেন। প্রত্যেক শব্দ সম্বন্ধে আবশ্যক স্থল স্থূল কথা বিশদ প্রাঞ্জল ভাষায় সুনী রন্ধপে লি থত হইতেছে । একাধারে এতগুলি অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষরের সংগ্রহ জন্ত আপাতত এই অভিধানখানি বাঙ্গালা ভাষায় অদ্বিতীয় গ্রন্থ ৰলিতে হইবে । இது