পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 বিশ্বাস যে, প্রত্যেক ব্রাহ্মসমাজই উক্তপ্রকার সাধুগণকে আত্মীয় বলিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হইবেন না । যদি ব্রহ্মের উপাসক মাত্রেই ব্রাহ্ম হইতে পারিলেন, তবে যে কোন কোন হিন্দু বলেন যে “আমরা হিন্দু, উহার ব্রাহ্ম” বা কোন কোন ব্রাহ্ম বলেন যে “আমরা হিন্দু নহি”—এই হিন্দু ব্রাহ্মে পার্থক্য আসিল কি প্রকারে ? হিন্দু ধৰ্ম্মে কি নিরাকার অদ্বিতীয় পরব্রহ্মের উপাসনার কথা নাই ? হিন্দুধৰ্ম্মে কি অপৌত্তলিক উপাসনাই শ্রেষ্ঠ বলিয়া উল্লিখিত হয় নাই । “কাষ্ঠলোষ্ট্রেযু মুখাণাং যুক্তস্যায়ুনি দেবতা” ( স্মাত্তধৃত শাতাতপ বচন ) কাষ্ঠ লোষ্ট্রেতে ঈশ্বরবোধ মুখেরা করে ; পরমাত্মাতে ঈশ্বর বোধ জ্ঞানীরা করেন । যুক্ত অর্থাৎ জ্ঞানী ব্যক্তির ইষ্টদেব যে আত্মাতেই আছেন ; জ্ঞানী ব্যক্তির যে পরমাত্মাকে দর্শন করিবার নিমিত্ত দূরে গমন করিতে হয় না, আত্মার অভ্যন্তরে দেখিলেই হইতে পারে—এরূপ বিশুদ্ধ সুন্দর কথা হিন্দু শাস্ত্র অপেক্ষ । * রব | খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম বলিতেছে যে, যে যত আর কোন শাস্ত্রে অধিকতর পাওয়া যাইতে পারে ? পূৰ্ব্বোক্ত কথা যে হিন্দুশাস্ত্রে আছে, সেই হিন্দুশাস্ত্রেই বলি Cマび返ー “মনসা কল্পিতা মূৰ্ত্তি{ণাঞ্চেন্মোক্ষসাধনী । স্বপ্নলন্ধেন রাজ্যেন রাজানো মানবাস্তদা ॥” মহানিৰ্ব্বাণত্তন্ত্র । মনঃকল্পিত মূৰ্ত্তি যদি মানবগণের মুক্তির কারণ হয়, তবে স্বপ্নলব্ধ রাজ্যের দ্বারা ও মনুষ্য অনায়াসে রাজা হইতে পারে । কি সুন্দর রূপে পৌত্তলিকতার স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া দিয়াছে ! আবার সেই হিন্দু শাস্ত্রেই অতি স্পষ্টাক্ষরে বলিতেছে— তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা TSAAAAAS AAA LLSS ASASAMMSLLLS MMS _ “সাকারমন্থতং বিদ্ধি নিরাকারত্ত নিশ্চলং”। . অষ্টাবক্র সংহিতা । সাকারকে মিথ্যা বলিয়া জান, নিরাকার পরব্রহ্মকে অচল সত্য জ্ঞান কর । ইহা অপেক্ষা নিরাকারবাদিত্বের প্রশংস৷ আর কত স্পষ্ট হইতে পারে ? যে শ্ৰীমদ্ভাগবত হিন্দুজাতির পরম পূজনীয়, সেই শ্ৰীমদ্ভাগবতে কি বলিয়াছেন ? “মৃচ্ছিলাধাতুদাৰ্ব্বাদিমূৰ্ত্তাবীশ্বরবুদ্ধয়: । ক্লিশাস্তি তপসা মূঢ়া পরাং শান্তিং ন যান্তি তে ॥” যে সমস্ত মূঢ় মনুষ্য মৃত্তিক প্রস্তর তথা সুবর্ণ প্রভৃতি ধাতু এবং কাষ্ঠ দ্বারা নিৰ্ম্মিত বি গ্রহে ঈশ্বরজ্ঞান করে, তাহার। ক্লেশ ভোগ করিয়া থাকে। পরম শান্তি লাভ করিতে সমর্থ হয় না। যদি শ্ৰীমদ্ভাগবতকে সম্মান প্রদর্শন করা কর্তব্য হয় ; যদি সংহিতাগুলিকে হিন্দুশাস্ত্র বলিয়া গণ্য করিতে হয় ; যদি প্রাতঃস্মরণীয় ব্যাস প্রভৃতি মুনিঋষিগণকে হৃদয়ের প্রীতি অপণ করা কৰ্ত্তব্য হয়, তবে কোন জ্ঞানী হিন্দু নিরাকার অখণ্ডনীয় ব্রহ্মের পূজা না করিবেন ? এই ব্রহ্মজ্ঞানই হিন্দুধর্মের শীর্ষস্থানীয় এবং ইহাই হিন্দুধৰ্ম্মের গোঁ বড় জ্ঞানী হউন না কেন, তাহাকে মনুষ্যপূজা করিতেই হইবে । ৫ ইহার মতে কোন ব্যক্তি, সহস্র ধাৰ্ম্মিক হইলেও, স্বয়ং যিশু খৃষ্টের ইষ্টদেবতা ঈশ্বরকে আরাধনা করিলেও, যিশু খৃষ্টকে প্রেরিত পুত্ররূপে বিশ্বাস না করিলেই, তিনি অনন্তকালের

  • He that believeth on the Son hath everlasting life ; and he that believeth not the Son, shall not see life ; but the wrath of God abideth on him.” (St. John III, 86)

যে ব্যক্তি যিশু খৃষ্টে বিশ্বাস করিবে, তাহারই অনন্ত জীবন এবং যে ব্যক্তি যিশু খৃষ্টে বিশ্বাস করিবে না, সে জীবনের অালোক দেখিতে পাইবে না, প্রত্যুত ঈশ্বয়ের ক্রোধাগ্নি তাহার উপরে নিপতিত আছে । ’