পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২৩

  • २ कछ. eएछ*

পান যে জ্ঞানই এই সকল যজ্ঞের মূল কারণ । এতক্ষণে প্রতিপন্ন করা হইল যে প্রকৃত হিন্দু ধৰ্ম্মই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ; তবে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উপর হিন্দ দিগের সেরূপ মমত্ব নাই কেন ? কারণ অবশ্যই আছে । একটী কারণ আপাততঃ দেখিতে পাই— যাহা অনেকেই গুরুতর বলিয়া ধরিতে পারেন—তাহা এই যে আমরা বেদকে মানি কি না। পূৰ্ব্বতন ঋষিগণ বেদকে যেরূপ ভাবে যেরূপ চক্ষে দেখিতেন, অ|মরাও তাহ অপেক্ষ কিছু কম বা কিছু বেশী চক্ষে দেখিতে পারি না । কেহ যেন না ভাবেন যে ঋষিগণ ব্রহ্মবিদ্যাকে বেদ অপেক্ষা নিম্ন আসন প্রদান করিয়াছিলেন । মুণ্ডক ঋষি বলিতেছেন যে “অপরা ঋগ্বেদে যজুৰ্ব্বেদঃ সামবেদে হথবর্ববেদঃ”—ঋগ্বেদ অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা, যজুৰ্ব্বেদ অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা, সামবেদ অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা, অথর্ববেদ অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা—চতুবেবদই অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা ; তবে শ্রেষ্ঠ বিদ্যা কি ? না, “অথ পরা যয়৷ তদক্ষরমধিগম্যতে”—সেই বিদ্যাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা, যাহ। দ্বারা সেই অবিনাশী পরমেশ্বরকে জানা যায় । ইহাইত ঋষিজনোচিত বাক্য । বিদ্যাই লাভ করিলাম ; যখন কৰ্ম্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ডের প্রভেদ হৃদয়ঙ্গম করিলাম, তখন আমার আর কিসের আবশ্যক ? তখন আমার বেদে অবশ্যক নাই ; সংহিতায় আবশ্যক নাই—অন্য কিছুতেই আবশ্যক নাই ; আবশ্যক কেবল যেখানে ব্রহ্মবিদ্যা—যেখানে ব্রহ্ম সম্বন্ধে কিঞ্চিস্মাত্রও জ্ঞান লাভ করিব । পুণ্যকথা ভগবদগীতা ও বলিতেছেন যে— “যা বা নর্থ উদপানে সৰ্ব্বতঃ সংপ্ল,তোদকে । তাধান সৰ্ব্বেষু বেদেষু ব্ৰাহ্মণস্য বিজানত: ॥” তত্ত্ববােধিনী পত্রিক যখন ব্রহ্ম- } -ബ - চতুর্দিক জলপ্লাবিত হইলে পর কূপ প্রভূতিতে যেরূপ কোনই প্রয়োজন হয় না, সেইরূপ জ্ঞানী অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞান রিশিষ্ট ব্ৰাহ্মণের সমগ্র বেদেও কোন প্রয়োজন হয় না। বহ্মবিদ্যাই আমাদের আদরের ধন । এই ব্রহ্মবিদ্যা যে সকল ঋষি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তিরূপে রাখিয়া গিয়াছেন, আমরা যদি আপনাদিগকে সেই আৰ্য্য ঋষিদিগের বংশোৎপন্ন বলিয়া পরিচয় দিতে ইচ্ছা করি, আমরা যদি আপনাদিগের মনুষ্যত্ব প্রদর্শন করিতে ইচ্ছা করি ; আমরা যদি আপনাদিগের মোহান্ধতা ও মূখত জ্ঞাপন করিতে না চাই, তবে এরূপ রত্ন পাইয়া তাহা দূরে পরিত্যাগ করা আমাদিগের কি কৰ্ত্তব্য ? এখন দেখিলাম ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও প্রকৃত হিন্দুধৰ্ম্মে বেদ সম্বন্ধে কোন বিবাদ বিসম্বাদ নাই । এরূপ গুরুতর স্থলেও যদি উভয়ের একত। রহিল, তবে হিন্দুগণ ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আত্মীয়তা প্রদর্শন করিতে পশ্চাৎপদ কেন ? কোন কোন উদারচেত। হিন্দু বলেন যে ধৰ্ম্মে কিছুমাত্র বিভিন্নত নাই কিন্তু অনুষ্ঠানের বিভিন্নতাই এই বিচ্ছেদের কারণ । দেখা যাডক যে একথার মূল কতদূর সঙ্গত। সাধারণ্যে হিন্দুদিগের মধ্যে যে সকল অনুষ্ঠান প্রচ লিত, আমরাও প্রায় তাহার সকলগুলিই গ্রহণ করিয়াছি। এই সকল অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধানতম অনুষ্ঠান বিবাহ হিন্দু ও ব্রাহ্ম উভয় দিক হইতে দেখা যাউক, তাহা হইলেই বুঝা যাইবে যে ব্রাহ্ম অনুষ্ঠান কি ? সাধারণ চলিত হিন্দুবিবাহ কি ? না, অগ্নি সাক্ষা করিয়া পাণি গ্ৰহণাদি ব্যাপারই হিন্দুবিবাহ। হিন্দুজাতি ধৰ্ম্মের মৰ্য্যাদ উত্তমরূপে বুঝিয়াছিলেন ; এই

  • -*s