পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९९b~ অনুষ্ঠান ও অপৌত্তলিক হিন্দু অনুষ্ঠান একই, তখন বোধ হয় যে প্রচারেই বিরোধের কারণ বর্তমান । এইবারে তবে দেখা যাউক যে প্রচারের জন্য কিরূপ উপায় হইতে পারে এবং কিরূপ উপায় গৃহীত হইয়াছে। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রচার দুই প্রকার উপায়ে হইতে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা _ *.--سے

  • تحعهrre areجress تابع پیعت agmgremسي-سي

ও অপৌত্তলিকহিন্দুধৰ্ম্ম একই ; ব্রাহ্ম | নিপন্ন হইয়া যাইতে পারে। হিন্দুধর্মের পারে (১) সংস্কার (২) বিপ্লব। উনবিংশ শতাব্দীতে যে কোন সংস্কার করিতে গেলেই বিপ্লবের ধুয়া দেখা দেয়, তাহ স্থ প্রসিদ্ধ ফরাশি বিপ্লবের পর হইতে অারম্ভ হইয়াছে । যখন কোন একটা জাতি, , সমাজ বা ধৰ্ম্মসম্প্রদায় কোন প্রবল বলের । দ্বারা প্রপীড়িত হইতে হইতে আর সহ্য । করিতে না পারে, তখনই বিপ্লবাগ্নির ধূমশিখা আবিভূত হয় এবং এই বিপ্লবই পীড়িত জাতির নিগুঢ় বলের পরিচায়ক । রাজার অত্যাচারে নিম্পেষিত ফরাশি প্রজাগণ বিপ্লব বাধাইয়া দিল । বাহাদুর খার অত্যাচারে নানকপন্থীগণ ধৰ্ম্মক্ষেত্র ছাড়িয়া রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দাড়াইতে বাধ্য হইয়াছিল। পৌত্তলিকতার আনুষঙ্গিক ভয়াবহ অত্যাচারে হিন্দুজাতির আত্মা নিপীড়িত হওয়াতে শুভক্ষণে ব্রাহ্মসমাজ মধুর শান্তি বার্তা বহন করিয়া নয়নের সম্মুখে আবিভূতি হইল । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যদিও সাময়িক ভাবের বিপ্লবের ফল বটে, কিন্তু পুরাকালীন হিন্দু ধৰ্ম্মের সংস্ক্রিয়া মাত্র । এবং এই জন্য ইহার প্রচার কার্য্য বিপ্লবের উপরে বদ্ধভিত্তি না করিয়া সংস্কারের উপরে করা কর্তব্য। হিন্দ জাতির বন্ধন এমনি কঠোরকোমল যে তাহাদিগের মধ্যে বিপ্লবের ভয়াবহ অনিষ্ট সকল আসিতে পরিবে না, কিন্তু সংস্কারের কার্য্য সকল সহজেই । |

  • २, कन्न s छांग

মধ্যে বিপ্লব আনয়নেরই বা কি ফল ? ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যাহা প্রার্থনা করেন তাহ হিন্দুধৰ্ম্মে আছে—জ্ঞানী ব্যক্তির উপদেশ এই যে “প্রকৃত হিন্দু ধৰ্ম্ম অনুধাবন পূর্বক দেখ যদি তাহাতে কিছু মালিন্য ঘটিয়া থাকে, তবে তাহাই দূর কর—দেখিবে যে, যাহা প্রকৃত হিন্দুধৰ্ম্ম তাঁহাই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । বিপ্লবের ফল নাশ এবং তাহাই সহজ কিন্তু ংস্কারের ফল জীবনদান এবং তাহাই কঠিন। যেমন কোন একটী বাটীর কতক অংশ অব্যবহার্য্য হইলে তাহারই সংশোধন অবশ্যক, এবং সেই অব্যবহার্য্য অংশ ও এমনরূপে সংশোধন করা উচিত নহে, যাহাতে সেই সংশোধনের চোটে সমস্তবাটী অব্যবহার্য্য হইয়া যায়। শরীরের কোন স্থানে ক্ষত হইলে, সেই ক্ষতস্থানেই অস্ত্রাদি প্রয়োগ করা কৰ্ত্তব্য, অন্য স্থানে নহে এবং সেই ক্ষতস্থানেও এরূপ ভাবে অস্ত্রাদি প্রয়োগ করিতে হইবে যাহাতে সমস্ত শরীর নাশের সম্ভাবনা না আসিয়া পড়ে। হিন্দুধৰ্ম্মের সেইরূপ সংস্কার অাবশ্যক ; প্রকৃত হিন্দ ধৰ্ম্মের উপর যে মালিন্যস্তর পড়িয়াছে,তাহাই অপসারণ করা ব্রাহ্মদিগের কর্তব্য ; হিন্দু আচার ব্যবহারে হিন্দ, অনুষ্ঠানে যে সকল পৌত্তলিকতা প্রবেশ লাভ করিয়াছে, ব্রাহ্মদিগের কর্তব্য যে সেই সকল পৌত্তলিকতা দূর করিয়া তৎপরিবর্তে অপৌত্তলিকতা প্রতিষ্ঠিত করেন কিন্তু এই সংস্কার ক্রিয়াও এরূপ সাবধানে করিতে হইবে যে প্রকৃত হিন্দல் ধৰ্ম্মে, হিন্দু অনুষ্ঠানের অন্তরে আঘাত নী পড়ে—তাহা হইলে গৃহবিচ্ছেদ আসিয়া উপস্থিত হইবে। ব্রাহ্মদিগের প্রচার, অনুষ্ঠান প্রভৃতি যদি এরূপ ভাবে হয় যে হিন্দুরা তাহ অহিন্দু ভাবিতে পারে,