পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כ לשג tbd বৰ্দ্ধমান সাম্বংসরিক ব্রাহ্মসমাজ _ ২৩১ ییسه مجمه -- -- - حصصصحسمسم مس.-.--- বিপ্লবের খাতিরে অার একটা বৈপ্লবিক অনুষ্ঠান আনিতে হইল—তাহ আদালতী foots (Civil marriage) এই আদালতী বিবাহকে আদি ব্রাহ্মসমাজ নিরীশ্বর বিবাহ বলিয়া মনে করেন। যদি কেহ বলেম যে registration এর সঙ্গে ঈশ্বরের উপাসনা করিলেই হইল—আমি বলি তাহা নহে । বিবাহ মনুষ্য জীবনের একটা ধৰ্ম্মসঙ্গত প্রধান ঘটনা । প্রাধান্য—ঈশ্বরের রাজত্ব থাকা অসম্ভব । পৌত্তলিক হিন্দু বিবাহে যেমন অগ্নি— ঈশ্বরের কল্পিত মূৰ্ত্তি সাক্ষী থাকে সেই রূপ অপৌত্তলিক হিন্দু বিবাহে সাক্ষী স্বয়ং প্রজাপতি । কিন্তু যিনি আদালতী বিবাহ করিবেন, তিনি কি বলিবেন ? তিনি কি বলিবেন না যে, তাহার বিবাহ গুটি দুই । বদ্ধ করিবার বিপক্ষে তুমুল আন্দোলন লোকের সম্মুখে registered হইলেই সিদ্ধ হইল—তাহাতে ঈশ্বরকে সাক্ষী রাখা । হউক বা না হউক ; ইহাতে ঈশ্বরকে অা ইনের পশ্চাতে রাখা ব্যতীত আর কি , করা হইতেছে ? ভারতের সৌভাগ্য যে নিতান্ত নিরীশ্বর বিবাহ অতি অল্প লোকেই করিয়াছেন । ভাবিতে শরীর অবসন্ন হইয়া যায়, হৃদয় মৃতপ্রায় হয়, আত্মা শুষ্ক ও মলিন হইয়া আসে, যে, যে ভারতভূমি একদা কেবলমাত্র ধৰ্ম্মের জন্য জগৎপূজ্য হইয়াছিলেন, এবং এখনও অনেক পরিমাণে রহিয়াছেন, সেই ভারতভূমিতে আজ ঈশ্বরের নামগন্ধশূন্য নিতান্ত নিরীশ্বর বিবাহ হইতে পারে। ইহাই হিন্দুধৰ্ম্মে বিপ্লব আনয়নের চরম ফল ! বৈপ্লবিক ংস্কার করিতে গিয়া গরল উৎপন্ন হইল । যে হিন্দুজাতির প্রতি কৰ্ম্ম ধৰ্ম্মের সহিত সংযুক্ত, সেই হিন্দুজাতি কি প্রকারে সহজে নিরীশ্বর বিবাহকে অবলম্বন করিবে ? : ইহাতে ধৰ্ম্মের প্রাধান্য । wfootso; ; fog Civil marriage a tota | হইবে বলিয়া, তাহা পরিত্যাগ করিয়া maniama ংস্কার বিষয়ে সময়ের সংকোচ করিতে গিয়া কি সময়ের ব্যবধান অধিকতর হইল না ? যাহারা অজ্ঞাতকুলশীল বৈপ্লবিক ভাবের অর্থাৎ সমাজের অস্তরস্থিত ভাবের প্রতি মনোযোগ না করিয়া সমাজের হৃদগত ভাব পরিত্যাগ করিয়া, বহিঃস্থিত ভারের অধিক পক্ষপাতী, তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি যে, যদি গৃহে উত্তম চাউলের সহিত কিঞ্চিৎ কদম মিশ্রিত থাকে, তাহ। হইলে কি সেই কর্দম পরিষ্কার করিতে আমেরিকা হইতে চাউল আমদানী করিব ? সাধারণ হিন্দু একেশ্বরবাদী দিগকে আদি ব্রাহ্মসমাজ এই নিরীশ্বর বিবাহের করাল গ্রাস হইতে রক্ষা করিয়াছেন। পূজ্যপাদ মহৰ্ষির ভবিষ্যদৃষ্টিকে ধন্য যে তিনি এই নিরীশ্বর বিবাহকে ব্রাহ্ম বিবাহ রূপে বিধি করিয়াছিলেন এবং ইহা ঈশ্বরেরই করুণা যে তিনি এবিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। যে অসাধারণ বাগ্মীপ্রবর স্বীয় বাগিতায় সভাস্থ সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করিয়া রাখিতেন, এবং যিনি প্রথম এই নিরীশ্বর বিবাহ ভ্রম ক্রমে প্রবর্তিত করিলেন, সেই স্বগীয় কেশবচন্দ্র সেন জীবনের শেষ অবস্থায় বলিয়া গেলেন যে ভারতবাসীদিগের পক্ষে উক্ত বিবাহ অনুপযুক্ত ! তিনি বলেন “The act passed for the benefit of Brahmos in 1872 (Act III) discards the very name of God and tends to promote godless civil malringes for which India is not ripe.... . Marri. ages of a godless and atheistic character ought to find no encouragement.” অর্থাৎ ব্রাহ্ম গণের উপকারের জন্য যে ১৮৭২ সালের ৩ আইন বিধিবদ্ধ হইয়াছে, তাহাতে ঈশ্বরের নাম একেবারেই পরিত্যক্ত হইয়াছে ; ইহাতে নিরীশ্বর ও অধৰ্ম্ম্য বিবাহ প্রশ্রয়