পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २२, कझ 8 उ? পাইবে, ভারতবর্ষ এরূপ বিবাহ (প্রবর্তন) জন্য প্রস্তুত নহেন। ... নিরীশ্বর ও নাস্তিত্ব ভাবের বিবাহে উৎসাহ দেওয়া কোমরূপেই কর্তব্য নহে । আদি ব্রাহ্মসমাজ চিরকাল হইতেই বিপ্লব মন্ত্র পরিত্যাগ করিয়া সংস্কার মন্ত্র হৃদয়ে ধারণ করিয়া ত্যাসিতেছেন এবং অগত্যা তাহার ধৰ্ম্মপ্রচারে বৈপ্লবিক উন্মক্ততা নাই । আদি সমাজ মনে করেন যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অর্থাৎ Theism যেমন বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম আবার তেমনি হিন্দুধৰ্ম্মেরই সংস্কৃত তাকার ; সুতরাং আদি সমাজের প্রচার কাৰ্য্যও হিন্দুপ্রণালীতে হইয়া থাকে। ব্রাহ্মগণ যদি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের মত আলোচনা করিয়া থাকেন,তবেই বুঝিতে পরিবেন যে আদি সমাজ কি মন্ত্র অনুসারে চলেন । রামমোহন রায় তাহার “অনুষ্ঠানে” দশম প্রশ্নের উত্তরে বলেন “শাস্ত্রানুসারে আহার ও ব্যবহার নিম্পন্ন করা উচিত হয়, অতএব যে যে শাস্ত্র প্রচলিত আছে তাহার কোন এক শাস্ত্রকে অবলম্বন না করিয়া ইচ্ছামতে অtহার ব্যবহার যে করে তাহাকে স্বেচ্ছাচারী কহা যায়, আর স্বেচ্ছাচারী হওয়া শাস্ত্রত ও যুক্তিত উভয়থা বিরুদ্ধ হয়, শাস্ত্রে স্বেচ্ছাচারের নিষেধে ভুরি প্রয়োগ আছে । যুক্তিতে ও দেখ, যদি প্রত্যেক ব্যক্তি কোন এক শাস্ত্র ও নিয়মকে অবল*ন না করিয়া আহার ও ব্যবহার তাপন স্থাপন ইচ্ছামতে করেন তবে লোকনিৰ্ব্বাহ হাতি অল্পকালেই উচ্ছন্ন হয়,কেননা খাদ্যাখাদ্য কর্তব্যাকৰ্ত্তব্য ও গম্যাগম্য ইত্যাদির কোন নিয়ম তাহাদের নিকটে নাই, কেবল ইচ্ছাই ক্রিয়ার নির্দোষ হুইবার প্রতি কারণ হয়, ইচ্ছাও সৰ্ব্বজনের একপ্রকার নহে, সুতরাং পরম্পর-বিরোধী নানাপ্রকার ইচ্ছা - ASA SSASAS SS SAAAAASA SAASAASSMTSTA AMS SSAS SSAS সম্পন্ন করিতে প্রস্তু ত হইলে কলহের সম্ভাবনা এবং পুনঃ পুনঃ পরম্পর কলহ দ্বারা লোকের বিনাশ শীঘ্ৰ হইতে পারে।” আপার আদি সমাজে হিন্দু প্রণালী অবলম্বিত হওয়াতে যে কেশব বাবু বিচ্ছিন্ন হইয়া গেলেন,সেই কেশব বাবুকে বলিতে হইল (T "Brahmoi im is the legitimate result of the higher teachings of the Vedas.” অর্থাৎ বেদের জ্ঞান কাণ্ডের স্বাভাবিক ফল ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । তাহাকে আর ও বলিতে হইল “It is extreemely desirable to lave a national Church based upon the religious tastes, religious institutions,and, if possible, the religious frtulilions of a nation. Any attempt in this direction is welcome. It centralises truth, makes it successful and accessible to all, and adds to it the many sidedness of human nalècligion is either adulterated by foreign clements or dissipated and washed out t urG, in abstruction if it is not damned up by the peculiar bound aries of national thought and predilection.” ইহার ভাবার্থ এই যে দেশীয় ভাবের দ্বারাই প্রচার করা কর্তব্য এবং বিজাতীয় ভাব কোন মতেই প্রবেশ করান কৰ্ত্তব্য নহে । ত্যাদি সমাজের মত অতি স্পষ্টরূপে র্তাহার দ্বারাই ব্যক্ত হইয়াছে, মাগন তিনি aCris. Ca “We need go to othci countries for dress, for civilization, but we If we can get the nectar of truth by churning the occan of Hindoo shastra, then not only we ourselves will drink that nectar but bless our own sons and grandsons as well as other families in the country with draughtos of the sane.” ইহার ভাবার্থ এই যে আমাদিগকে অন্যদেশের নিকটে অন্য যে কোন বিষয়ের জন্য যাইতে হউক কিন্তু (পারমার্থিক) সত্যের জন্য আর বিদেশে যাইতে হইবে না। তিনি যদি ইহা একটু আগে বুঝিতেন, তাহা হইলে কি আজ ব্রাহ্মসমাজের এরূপ দুরবস্থা হইত ? তাহ। হইলে কি পিতা পুত্রের মহর্ষি ও ব্রহ্মানন্দের বিচ্ছেদ উপস্থিত হইত ? need not necessarily do so for truth.