পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कअ, s छ17] চিত্ত সমাকৃষ্ট হইলে সংসার ক্লেশের শান্তি হয় । কিন্তু সংসার-তাপের শান্তিমাত্রই ভগবদ্ভক্তির উদ্দেশ্য নহে, ভগবানকে লাভ করা ও জীবনে র্তাহাকে সম্ভোগ করাই ভক্তির মুখ্য উদ্দেশ্য। সাংসারিক সুখ দুঃখের চিন্তা ভক্তের প্রাণে স্থান প্রাপ্ত হয় না । ভগবানই ভক্তের লক্ষ্য, র্তাহাকে লক্ষ্য স্থলে রাখিলে আনুসঙ্গরূপে সংসার-যন্ত্রণার শান্তি হইয়া থাকে। “কৃষ্ণ ভুলি সেই জীব অনাদি বহিন্মুখ । অতএব মায়া তারে দেয় সংসার দুঃখ ॥ কৰ্ভু স্বর্গে উঠায় কভু নরকে ডুবায় । দণ্ডা জনে রাজা যেন নদীতে চুবায় ॥ সাধু শাস্ত্র কৃপায় যদি কৃষ্ণোন্মুখ হয় । সেই জীব নিস্তারে, মায় তাহারে ছাড়য় ॥ । মায়ামুগ্ধ জীবের নাহি কৃষ্ণ স্মৃতি জ্ঞান ! কৃপাতে করিল কৃষ্ণ বেদ পুরাণ ॥ শাস্ত্র গুরু আত্মারাপে আপনা জানায় । কৃষ্ণ মোর ‘প্রভু ত্রাতা’ জীবের হয় জ্ঞান ৷ ঐছে শাস্ত্র কহে কৰ্ম্ম জ্ঞান যোগ ত্যজি । ভক্ত্যে কৃষ্ণ বশ হয়, ভক্ত্যে র্তারে ভজি ॥ অতএব ভক্তি কৃষ্ণ প্রাপ্তির উপায় । অভিধেয় বলি তারে সর্বশাস্ত্রে গায় ॥ ধন পাইলে যৈছে সুখ ভোগ ফল পায় । সুখ ভোগ হইতে দুঃখ আপনি পলায় ॥ তৈছে ভক্তি ফলে কৃষ্ণে প্রেম উপজায় । প্রেমে কৃষ্ণস্বাদ হইলে ভবনাশ পায় ॥ দারিদ্র্যনাশ ভবক্ষয় প্রেমের ফল নয় । ভোগ প্রেমন্থখ মুখ্য প্রয়োজন হয় ॥ বেদশাস্ত্রে কহে সম্বন্ধ অভিধেয় প্রয়োজন । কৃষ্ণ কৃষ্ণভক্তি প্রেম তিন মহাধন ॥ বেদাদি সকল শাস্ত্রে কৃষ্ণ মুখ্য সম্বন্ধ । তার জ্ঞানে আনুসঙ্গে যায় মায়াবন্ধ ॥” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্যখণ্ড ২০ অধ্যায় । শ্ৰীহরির স্বরূপ অনন্ত বৈভবও অনন্ত । কৃষ্ণাঙ্গ লাবণ্যপূর, মধুর হৈতে স্বমধুর, میسجمعreen= চিচ্ছক্তি, মায়াশক্তি ও জীবশক্তিতে র্তাহার অনন্ত শক্তি । তাহার অবতার ও অনন্ত । অ দ্বয়জ্ঞানতত্ত্ব শ্রীহরির কেহ অংশাবতার, কেহ গুণাবতার, কেহ ভাবাবতীর কেহ শক্ত্যবতার। ৫ তিনি সৰ্ব্বাশ্রয়, সৰ্বেশ্বর সৰ্ব্বৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ, আত্মার আত্মা পরমাত্মা, চিদানন্দরূপী ভগবান । এই প্রকারে ভগবানের অনন্ত মহিমা ও অনন্ত ঐশ্বৰ্য্য বর্ণনা করিতে করিতে প্রেমবিহ্বল গোরসুন্দরের মন ভগবদৈশ্বৰ্য্য ও মাধুর্ঘ্য সাগরে নিমজ্জিত হইয়া গেল। প্রেমরসে রসান্বিত হইয়। বলিতে লাগিলেন ; “ সনাতন ! কৃষ্ণ মাধুর্য্য অমৃতের সিন্ধু, মোর মন সান্নিপাতি,সব পিতে করে মতি, দুদৈব বৈদ্য না দেয় এক বিন্দু। মধুর হৈতে সুমধুর, তাতে যেই মুখ সুধাকর । মধুর হৈতে সুমধুর, তাহা হৈতে সুমধুর, তার যেই স্মিত জ্যোৎস্নাভর ॥ তাহা হৈতে সুমধুর, তাহা হৈতে অতি সুমধুর। আপনার এক কণে, ব্যাপে সব ত্রিভুবনে, দশদিক ব্যাপে যার পুর। স্মিতকিরণ স্থকপূরে, পৈশে অধর মধুরে, সেই মধু মাতায় ত্রিভুবনে । বংশীfছদ্র আকাশে, তার গুণ শব্দে পৈশে, ধ্বনিরূপে পাঞা পরিণামে ॥ সে ধ্বনি চৌদিকে ধায়,অণ্ডভেদিবৈকুণ্ঠেযায়, জগতের বলে পৈশে কাণে ।

  • বৈষ্ণবশাস্ত্ৰ “চৈতন্য চরিতামৃত” প্রভৃতি গ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণের গুণাবতার, অংশাবতার, শক্ত্যাবেশাবতার, যুগাবতার, লীলাবতার প্রভৃতি অবতার এবং প্রাভব ও বিলাস, তদেকাম্মরূপ, স্বয়ংরূপ আবেশ রূপ ইত্যাদি বহুতর জটিল বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে । স্থলভাব মাত্র এখানে গৃহীত হইল । T,