পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ১৮১২ শ্রীচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ২৩৫ அங்க مساحت-محس-سسسه باد سس حت سیستم استانیستحت عه লোকধৰ্ম্ম লজ্জাভয়, সব জ্ঞান লুপ্ত হয়, ঐছে নাচায় সব নারীগণে ॥ • কাননের ভিতর বাসাকরে, তামুপনি তঁtহ সদা স্ফসুরে, অন্য শবদ না দেয় প্রবেশিতে । এই কৃষ্ণের বংশীর চরিতে ॥” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্যখণ্ড ২০ অধ্যায় । প্রেমে গদগদ হইয়া চৈতন্য বলিলেন, সনাতন ! শ্ৰীহরির মাধুর্ঘ্য স্রোতে আমি ভাসিয়া যাইতেছি, তামার চিত্তভ্রম উপস্থিত, কি বলিতে কি বলিতেছি কিছুই জ্ঞান নাই । তোমার প্রতি ভগবানের কৃপা অবতীর্ণ । তিনি আমার মুখে তোমাকে শ্রবণ করাই লেন । “পুনঃ কহে বাহ্যজ্ঞানে, আন কহিতে কহিল আনে, কৃষ্ণকৃপা তোমার উপরে । মোর চিত্তভ্ৰম করি, নিজৈশ্বৰ্য্য মাধুরী, মোর মুখে শুনায় তোমারে ॥ আমি ত বাউল অান কহিতে আন কহি । কৃষ্ণের মাধুর্য্য স্রোতে আমি যাই বহি ॥ তবে প্রভু ক্ষণ এক মৌন করি রছে । মনে ধৈর্য্য করি পুনঃ সনাতনে কহে ॥ কৃষ্ণের মাধুরী আর মহাপ্রভুর মুখে । ইহা যেই শুনে সেই ভাসে প্রেমসুখে ॥” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য খণ্ড ২১ অধ্যায়। হে সনাতন ! শ্ৰীহরিই একমাত্র সারবস্তু; ইহাই বেদশাস্ত্রের উপদেশ । হরিভক্তিই সকল শাস্ত্রের অভিধেয় । ভক্তি দ্বারাই ভগবানকে ও ভগবৎ প্রেমধন প্রাপ্ত হওয়া যায়। অদ্বয়জ্ঞানতত্ত্ব শ্ৰীহরি স্বরূপশক্তিতে অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে বিহার করিতেছেন, জীব তাহার অংশ। জীব দুই প্রকার, •মুক্ত ও বদ্ধ। মুক্ত জীব শ্ৰীহরির সেবানন্দ - সম্ভোগ করিয়া চিরস্থর্থী, র্তাহার প্রাণমন হরিপাদারবিন্দে নিত্যকাল উন্মুখ হইয়। রহিয়াৰে । ভগবদ্বহির্মুখ সংসার-সর্বস্ব বদ্ধ জীব ত্রিতাপে সদাই পরিতপ্ত ও নির স্তর কাম ক্রোধের অত্যাচারে প্রপীড়িত । আন কথা না শুনে কাণ,আন বলিতে বলে আন | দৈবযোগে যদি কোন সাধু বৈদ্যের মস্ত্রোপদেশে মায়াপিশাচী তাহাকে পরিত্যাগ করে, তাহা হইলে হরিভক্তি লাভ করিয়া শ্ৰীহরিকে প্রাপ্ত হয় । কৰ্ম্ম যোগ জ্ঞান সাধনের ফল অতি তুচ্ছ। ভক্তিবিনা ভগবানকে লাভ করা যায় না । ভক্তিশূন্য জ্ঞানে মুক্তি নাই। ভাগবতে কথিত নিজের ঐশ্বৰ্যমাধুরী । হইয়াছে ; “শ্রেয়ঃ স্মৃতিং ভক্তিমৃদস্য তে বিভো ক্লিশ্যপ্তি যে কেবলবোধ লব্ধয়ে । তেষামসে কেশল এব শিষ্যতে নানাদ যথা স্থলতুষাবঘাতিনাং ।” হে বিভো ! যে সকল সাধক শ্রেয়স্কর ভক্তি পরিত্যাগ করিয়া কেবল শুষ্ক জ্ঞান লাভার্থ যমনিয়মাদির ক্লেশ স্বীকার করে, তুষাবঘাতীর ন্যায় ৫ তাহাদের কিছুই লাভ হয় না, কেবল ক্লেশমাত্রই সার হয়। হৃদয় মন ঈশ্বরাভিমুখ হইলে বিনাজ্ঞানেও মুক্তি লাভ হয়। অর্থাৎ প্রাণ মন ঈশ্বরোম্মুখ হইলে আপন হইতে জ্ঞানের বিকাশ হয় । বিধিবিহিত বর্ণাশ্রমাচারী হরিভক্তিবিহীন হইয়া স্বধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিলে ও শ্রেয়ঃ লাভ করিতে পারে না । জ্ঞানাভিমানী ব্যক্তি ভ্রমবশতঃ তাপনাকে জীবন্মুক্ত বলিয়া মনে করে, কিন্তু হরিভক্তি ব্যতীত বুদ্ধি কখনও নিৰ্ম্মল হয না । ভাগবতে ব্যাস বলিয়াছেন, “হে পদ্মলোচন হরি, তোমাতে ভক্তির অভাল থাকিলে বুদ্ধি কখনও বিশুদ্ধ হয় না, এইরূপ অবিশুদ্ধ বুদ্ধিশালী ব্যক্তির ভ্রমবশতঃ আপনাদিগকে মুক্ত মনে করিয়া থাকে । ময়ে চিটা ধান আছড়ায় তাহার হার।