পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 w— سپــــــــــــسسفغکسد নানাবিধ দর্শনশাস্ত্রের স্বষ্টি হইল । নানাবিধ মতের সংঘর্ষণে তুমুল ধৰ্ম্মবিপ্লব বাধিয়া গেল। এই বিষম দুর্দশা হইতে ভারত সমাজকে উদ্ধার করিবার জন্য ভগবান বেদব্যাস জৈমিনীর কৰ্ম্মমীমাংসা, সাংখ্যের প্রকৃতিবাদ, পতঞ্জলির যোগাভ্যাস, গৌতম ও কণাদের ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের পদার্থ বিচার এবং তর্কসিদ্ধান্ত উপনিষদের স্বতঃসিদ্ধ ব্রহ্মজ্ঞান প্রভৃতি সমুদায় মত ও সমুদায় শাস্ত্র সমন্বয় পূৰ্ব্বক উত্তর মীমাংসা রূপ ব্রহ্মমীমাংসা বেদান্তদর্শন প্রকাশ করিয়া বলিলেন, দাসের ন্যায় প্রাণহীন শুষ্ক বিধিপালনেতে সিদ্ধি লাভ হয় না, সহজ আত্মপ্রতীয় দ্বারা উদ্ব দ্ধ হইয়া প্রেমানুরঞ্জিত হৃদয়ে পরব্রহ্মের উপাসনা ব্যতীত শারীরিক কৃচ্ছসাধন অথবা তর্কশাস্ত্রের পাণ্ডিত্যবলে মুক্তি লাভ হয় না । তিনি বলিলেন, আত্মা হইতে অর্থাৎ জীব হইতে পরমেশ্বর প্রিয়তম, প্রেমের দ্বারাই তাহার উপাসনা করিতে হয় । “পরেণ চ শব্দস্য তদ্বিধাং ভূয়স্থাত্বমুবন্ধঃ”

SDS)|(29 |

“অনুবন্ধ” কি না পরমেশ্বরের প্রতি প্রীতি ও জীবের প্রতি প্রীতি, আর “তাদ্বিধাং” কি, না প্রীতানুকূল ব্যাপার অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রিয়কার্য্য, এই দ্বিবিধ সাধনই ঈশ্বরের মুখোপাসনা, “শব্দ” কি ! না শ্রীতি, “ভূয়ঃ” কিনা বারবার ইচাই বলেন । প্রেম ব্যতীত, হৃদয়ের সাক্ষাৎ যোগব্যতীত, ঈশ্বর প্রীতি ও মানব প্রীতি অসম্ভব । দাসের ন্যায় অন্ধভাবে অর্থ ন৷ বুঝিয়া কেবল বিধি পালনে প্রেম প্রকাশ পায় না । জানিয়া শুনিয়া স্বাধীনভাবে কাৰ্য্য করাই প্রেমের স্বভাব। ভগবান তত্ত্ববোধিনী পত্রিক .》*,8 可怕 বেদব্যাস এই আত্মপ্রত্যয় আত্মানুভবসিদ্ধ জ্ঞানসঙ্গত হৃদয়সঙ্গত প্রীতি ও প্রিয়কার্য্যকে মুখোপাসনা রূপে গ্রহণ করিয়া কৰ্ম্মকাণ্ডের বাহ্যাড়ম্বরপরিপূর্ণ ভারতে ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মোপাসনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিলেন । কালবশে ভারতের ভাগ,চক্র অtলার পরিবর্তিত হইল । ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মোপাসনাতে জ্ঞানচর্চা ও হৃদয়চর্চা আবশ্যক, সাধারণ লোকে তাহাতে অশক্ত ৷ আশু প্রীতিকর ফলশ্রুতিপূর্ণ কৰ্ম্মকাণ্ডে বিবিধ আমোদ প্রমোদ এবং পরলোকে স্বৰ্গভোগের প্রলোভন ; বিধি ও যাজকের উপর নির্ভর করিলেই যজমান স্বৰ্গভোগে অধিকারী, সুতরাং ফলক মীরা সকাম কৰ্ম্মকাণ্ডের মোচে অভিভূত হইল। ব্রহ্মজ্ঞানের অtলোচনা কয়েক জন জ্ঞানী লোকের মধ্যেই আবদ্ধ হইয়া পড়িল । ভারত আবার অজ্ঞানতার গভীর গহবরে ডুবিয়া গেল । বিধাতার কৃপায় এই তিমিরাচ্ছন্ন ভারতক্ষেত্রে জ্ঞানালোক প্রজ্বলিত করিবার জন্য ধৰ্ম্মবীর শঙ্করাচাস্য অভু্যদিত হইলেন । এই দীরপুরুষ ৩২ বৎসর মাত্র জীবিত ছিলেন । এই অল্প সময়ের মধ্যে বেদশিরোভাগ উপনিষৎ, বেদান্তসূত্র, গীতা প্রভূতির ভাষ্য ও জ্ঞানগর্ভ বিবিধ গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানরূপ স্বগীয় অগ্নিকে আবার প্রজ্বলিত করত বৈদিক ধৰ্ম্মকে পুনরুজ্জীবিত করিলেন । এই অসাধারণ প্রতি ভাসম্পন্ন দিগ্বিজয়ী পণ্ডিতের নিকট সকলে মস্তক অবনত করিল । এই সময়ে ভারতে ধৰ্ম্মের অতিহীন দশা উপস্থিত হইয়াছিল। নানা সম্প্রদায়ের নানা মত, অশেষ প্রকার মূৰ্ত্তি পূজা, কৰ্ম্মকাণ্ড আশ্রয়ী ব্রাহ্মণদিগের যাগযজ্ঞের আড়ম্বর । শঙ্করাচার্য্য পা