পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৩ তাহারা পরম পদ মোক্ষের সন্নিহিত হইয়াও তোমার পদারবিন্দ অনাদর করায় তথা হইতে অধঃপতিত হইয়া থাকে। X হে সনাতন! পরমেশ্বরের জ্বলন্ত সূর্য্যের ন্যায় পুণ্যস্বরূপের নিকট মায়ার অন্ধকার কখন কি তিষ্ঠিতে পারে ? যে ব্যক্তি ব্যাকুল প্রাণে “হে হরি আমি তোমার “এই বলিয়া একবার প্রার্থনা করে, সে মায়াবন্ধন হইতে উত্তীর্ণ হয় । কি ভোগাভিলাষী, কি মুক্তিপিপাসু, কি অন্যবিধ কামনাপরায়ণ যিনিই হউন, সুবুদ্ধিসম্পন্ন হইলেই গাঢ় ভক্তিযোগে শ্ৰীহরির ভজনা করিয়া থাকেন। বিষয় কামনা করিয়া কেহ যদি ভগবানের আরাধনা করে, প্রার্থনা না করিলেও ঈশ্বর তাহাকে আপনার আশ্রয়ে গ্রহণ করেন। ভগবান বলেন,আমার ভজনা করিয়া বিষয়সুখ প্রার্থনা করা, অমৃত পরিত্যাগ করিয়া বিষ প্রার্থনা করার ন্যায় কেবল মূখীতা ! আমি এরূপ মূখকে আমার চরণশ্রয়ের পরিবর্তে বিষয়বিষে কেন জর্জরিত হইতে দিব । বস্তুত বিষয়লোভে ভগবানের আরাধনা করিয়া তাহাতে নিবিষ্টচিত্ততা বশতঃ কথঞ্চিত প্রেমরসের আস্বাদ পাইলে সমুদায় কামনা বিসর্জন করিয়া ভগবানের দাস হইয়া তাহাতে আত্মসমপণ করিতেই অভিলাষ হয় । ভক্তরাজ ধ্রুব বলিয়াছিলেন, “স্তানাভিলাষী তপসি স্তিতোহহং ত্বাং প্রাপ্তবান দেবমুনীন্দ্রগুহ্যং । কাচং বিচিম্বন্নপি দিব্যরত্বং স্বামিন কৃতার্থেইস্মি বরং ন যাচে ॥” হে দেব ! লোকে কাচ অন্বেষণ করিতে করিতে যেমন দিব্যরত্ন প্রাপ্ত হয়, আমি সেইরূপ রাজসিংহাসনাভিলাষী হইয়। তপস্যা করতঃ মুনীন্দ্রদিগের দুল্লভ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कब्र, a छान i) কৃতাৰ্থ হইলাম, আমার আর বর লইবার প্রয়োজন নাই । “অদ্বয় জ্ঞানতত্ত্ব কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান। • স্বরূপ শক্তি রূপে র্তার হয় অবস্থান ॥ স্বাংশ বিভিন্নাংশ রূপে হইয়া বিস্তার। বিভিন্নাংশ জীব তার শক্তিতে গণন ॥ সেই বিভিন্নাংশ জীব দুইত প্রকার । এক মুক্ত নিতা একের নিত্য সংসার ॥ নিত্য মুক্ত নিত্য কৃষ্ণ চরণে উন্মুখ । কৃষ্ণ পারিষদ নাম ভুঞ্জে সেবা সুখ ॥ নিত্যবদ্ধ কৃষ্ণ হইতে নিত্য বহিমুখ । নিত্য সংসার ভুঞ্জে নরকাদি দুঃখ ॥ সেই দোষে মায়া পিশাচী দণ্ড করে তারে। আধ্যাত্মিক তাপত্রয় তারে জারি মারে ॥ কাম ক্রোধের দাস হঞা তার লাথি খায় । ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে যদি সাধু বৈদ্য পায় ॥ তার উপদেশ মন্ত্রে পিশাচী পলায়। “ কৃষ্ণভক্তি পায়, তবে কৃষ্ণ নিকট যায় ॥ কৃষ্ণভক্তি হয় অভিধেয় প্রধান । ভক্তি সুখ নিরীক্ষক কৰ্ম্ম যোগ জ্ঞান ॥ এই সব সাধনের অতি তুচ্ছ ফল । কৃষ্ণভক্তি বিনা কৃষ্ণ দিতে নাছি বল ॥ কেবল জ্ঞান মুক্তি দিতে নারে ভক্তি বিনে। কৃষ্ণোন্মুখে সেই মুক্তি হয় বিনাজ্ঞানে ॥ কৃষ্ণের নিত্যদাস জীব তাহা ভুলি গেল । সেই দোষে মায়া তার গলায় বান্ধিল । © ظ. চারি বর্ণাশ্রমী যদি কৃষ্ণে নাহি ভজে । স্বধৰ্ম্ম করিলেও সে রৌরবে পড়ি মজে ॥ জ্ঞানী জীবন্মুক্ত দশ পাইমু করি মানে । বস্তুত বুদ্ধি শুদ্ধ নহে কৃষ্ণভক্তি বিনে ॥ কৃষ্ণ সূর্য্যসম মায়া হয় অন্ধকার । যাহা কৃষ্ণ র্তাহ নাহি মায়ার অধিকার ॥ ‘কৃষ্ণ তোমার হঙ’ যদি বলে একবার । ধন তোমাকে পাইয়াছি। হে প্রভো মায়াবন্ধ হৈতে কৃষ্ণ তারে করে পার।