পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t5cm 3ッ>ペ m-mη Ιmu শ্রীচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ২৩৭ ভুক্তি মুক্তি সিদ্ধি কামী সুবুদ্ধি যদি হয় । সংসার বাসনারই অবসান হয় না। সকল গাঢ় ভক্তি যোগে তবে কৃষ্ণেরে ভজয় ॥ ত্মন্তকামী যদি করে কৃষ্ণের ভজন। ' না মাগিলেও কৃষ্ণ র্তারে দেন স্বচরণ ॥ কৃষ্ণ কছে “অামা ভজে মাগে বিষয় সুখ । অমৃত ছাড়ি বিষ মাগে এতবড় মূখ। আমি বিজ্ঞ এই মূখে বিষয় কেন দিব । স্বচরণামৃত দিয়া বিষয় ভুলাইব ॥ কাম লাগি কৃষ্ণ ভজে পায় কৃষ্ণরসে । কামছাড়ি দাস হৈতে হয় অভিলাষে ॥” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য খণ্ড ২২ অধ্যায় । নদীপ্রবাহে ভাসমান কোন কাষ্ঠখণ্ড কদাচিৎ যেমন তীর সংলগ্ন হয়, সাংসারিক জীবেরও সেই অবস্থা । কাল-নদীতে হ্রিয়মাণ জীবদিগের মধ্যে ভাগ্যবলে কদাচিৎ কেহ উত্তীর্ণ হইতে সমর্থ হয় । ভগবদনুগ্রহে সংসার ক্ষয়োম্মুখ হইলে সাধুসমাগম লাভ হয় । সাধুসহবাসে হৃদয় নিৰ্ম্মল হইয়া পরমেশ্বরেতে রতির উদয় হয় । এবং কোন কোন সৌভাগ্যশালী ব্যক্তিকে করুণাময় ঈশ্বর অন্তর্যামী চৈত্ত্য আচাৰ্য্যরূপেও আপনার তত্ত্ব শিক্ষা দেন । ভাগবতে উদ্ধব ভগবানকে বলিয়াছেন, "যোহন্তর্বছিস্তমুভূতামশুভং বিধুম্বল্পাচার্য্য চৈণ্ড্যবপুষ। স্বগতিং ব্যনক্তি ।” হে ভগবন! যেহেতু তুমি শরীরধারা জীবের বাহ্যাভ্যন্তর সর্বপ্রকার অশুভ দূর করিবার জন্য ও তাহাদের •క్షిత శా. গতি প্রকাশ করিবার নিমিত্ত অন্তর্যামী চৈভ্য আচাৰ্য্য রূপে অবস্থিত থাকিয়া সৰ্ব্বদাই উপদেশ দিতেছ। সনাতন ! সাধুসঙ্গের অপার মহিম। সাধুসঙ্গ দ্বারা হরিভক্তিতে শ্রদ্ধা ও ভক্তিফল ভগবৎ প্রেম উৎপন্ন হয় ও সংসার ক্ষয় প্রাপ্ত হয়। বাস্তবিক সাধুকৃপা ব্যতীত, সৎবিষয়ে রতি ও ভগবানে ভক্তি দূরে থাকুক, শাস্ত্রেই সাধুসঙ্গের মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে। ভাগবতে কথিত হইয়াছে ; “তুলয়াম লবেনাপি ন স্বৰ্গং নাপুনর্ভবং। ভগবৎসঙ্গিসঙ্গস্য মৰ্ত্তানাং কিমুতাশিষ: ॥” ভগবস্তুক্ত সাধুর সহিত অত্যন্ন কাল সঙ্গ হইলে যে ফল হয়, তাহার সহিত স্বর্গ ও অপবর্গেরই তুলনা হইতে পারে না। মরণশীল মানবের তুচ্ছ রাজভোগ , সুখের সহিত কি প্রকারে তাহার তুলনা হইবে ? “সংসার ভ্ৰমিতে কোন ভাগ্যে কেহ তরে। নদীর প্রবাহে যেন কাঠ লাগে তারে ॥ কোন ভাগ্যে কারো সংসার ক্ষয়োম্মুখ হয়। সাধুসঙ্গে তবে কৃষ্ণে রতি উপজয় ॥ কৃষ্ণ যদি কৃপা করে কোন ভাগ্যবানে । গুরু অন্তর্যামীরূপে শিখায় আপনে ॥ সাধুসঙ্গে কৃষ্ণ ভক্ত্যে শ্রদ্ধা যদি হয় । ভক্তিফল প্রেম হয়, সংসার যায় ক্ষয় ॥ মহৎকৃপা বিনা কোন কৰ্ম্মে ভক্তি নয় । কৃষ্ণভক্তি দূরে রহে সংসার না যায় ক্ষয় ॥ সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সর্বশাস্ত্রে কয় । লবা মাত্র সাধুসঙ্গ সৰ্ব্বসিদ্ধ হয় ॥” চৈঃ চঃ মধ্যখণ্ড ২২ অধ্যায়। হে সনাতন ! শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই n যে, ভগবানে নিৰ্ম্মল শ্রদ্ধা উৎপন্ন হইলে রির শরণাপন্ন হইয়া থাকেন। | | বেদবিহিত ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম জ্ঞান যোগ-সাধনার আর প্রয়োজন নাই । শ্রদ্ধাবান ব্যক্তির। সকল ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া কেবল শ্ৰীহ ফলতঃ প্রাণের ভোজনেই যেমন সকল ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তি হয়, সেইরূপ ভক্তিপূৰ্ব্বক ভগবান অচ্যতের আরাধনা করিলেই সকল কৰ্ম্ম কৃত হয় । ভাগবতে দেবর্ষি নারদ এই কথা বলিয়াছেন । শ্রদ্ধাবান ব্যক্তিই ভক্তির অধিকারী । শাস্ত্র যুক্তি ও জ্ঞানযোগে যাহার ভক্তি দৃঢ়ীভূত