পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN)v তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ १झ. 8 ठां* হইয়াছে, তিনিই সর্বোত্তম ভক্ত। যিনি শাস্ত্রযুক্তি অবগত নহেন, অথচ দৃঢ় শ্রদ্ধাবান তিনিও মহাভাগ,বান, র্তাহাকে মধ্যম বলা যায়। র্যাহার শ্রদ্ধা অতি কোমল, তিনি কনিষ্ঠ। কিন্তু ইহারাও ক্রমে ভক্তোক্রম হইবেন । রতি প্রেমের তারতম্যানুসারে ভক্তির তারতম্য হইয়া থাকে । ভাগবতের একাদশ স্কন্ধে ভক্তিলক্ষণে কথিত হইয়াছে ; যিনি সর্বভূতে আপনার ভগদ্ভাব দর্শন করেন, এবং পরমাত্মার অধিষ্ঠানে সকল বস্তুর অবস্থিতি দেখেন,তিনিই ভক্তোত্তম । যিনি ঈশ্বরে প্রেম, র্তাহার অনুগত ভক্ত জনে মৈত্রা অজ্ঞ জনের প্রতি কৃপা ও শক্রর প্রতি উপেক্ষ করেন, তিনি ভগবদ্ভক্তদিগের মধ্যে মধ্যম | যিনি শ্রদ্ধাপূর্বক হরির পূজা করেন, কিন্তু ভগবস্তক্ত কি অন্যের পূজা করেন না, তিনি প্রাকৃত ভক্ত, ক্রমশঃ তিনিও ভক্তোত্তম হইবেন । { ক্রমশঃ । শবদ-ব্ৰহ্ম । যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আমরা সকলে গ্রহণ করিয়াছি, যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নতিকল্পে আমরা দেশ বিদেশে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-প্রতিপাদ্য পবিত্র পরমেশ্বরের যশ ঘোষণা করিতেছি, যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে আমরা স্থপ্রষ্ঠিত করিবার জন্য নগর গ্রামে পবিত্র উপাসনামন্দির সংস্থাপিত করিতেছি ; সেই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম দিন দিন উন্নতি হইতে উন্নতির উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিতেছে দেখিয়া কাহার হৃদয় না জানন্দে উৎফুল্ল হয়, কাহার অন্তঃকরণ না ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ রসে আপ্লাবিত হইয়া যায়। সেই এক চিরন্তন পরমেশ্বরের উপাসনা, সেই পিতৃ to o পিতামহসেবিত একমেবাদ্বিতীয়ং পরমেশ্বরের আরাধনা, যাহা বেদবেদান্ত উপনিষদের প্রতি পত্রে সুরক্ষিত হইয়াছিল; যাহা অন্ধতমসাচ্ছন্ন পৃথিবীর সুগভীর অন্ধকারের মধ্যে প্রাতঃ সূর্য্যের ন্যায় ভারতবর্ষে এককালে দীপ্তি পাইতেছিল, তাহাই কালের করাল নিয়মে প্রতিহত হইয়াও ঈশ্বরের প্রসাদে আবার এখানে সমুজ্জ্বলিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে । ইহা এই পরাজিত ভারতের অল্প সৌভাগ্যের বিষয় নহে ! এই জ্ঞানোন্নত উনবিংশ শতাবিদর জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত দেশবিদেশ যখন শিল্প-সাহিত্যের, কৃষিবিজ্ঞানের, ঐহিক সুখশান্তি বিস্তারের কৌশল উদ্ভাবনে ব্যতিব্যস্ত, তখন ঈশ্বরের আদেশে তাহার পূজাৰ্চনার বিশুদ্ধ পদ্ধতি, অবিসংবাদা মতামত এই দীনহীন পরাজিত ভারতে স্থান পাইল ও পারমার্থিক উন্নতি সাধনের প্রকৃষ্ট উপায় এখানে প্রথমে নিৰ্দ্ধারিত ও পরিগৃহীত হইল। এই পতিত ভারতে ঈশ্বরের সুমহান নাম এমনই অজেয় পরাক্রমের সহিত এককালে নিনাদিত হইয়াছিল ; যে বহু সহস্ৰ বৎসর পরে ধৰ্ম্মভাব ঈশ্বরপ্রাতি রোগে কাতর শোকে আকুল দুৰ্ব্বল সন্তানগণকেও ধৰ্ম্মপ্রবণ করিয়া রাখিয়াছে । আমরা ঋষিকুলে পবিত্র বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছি বলিয়া আমারদের অস্থিমজ্জায় ধৰ্ম্মভাব আজও অনুসূতি রহিয়াছে। সেই বৈদিক সময় হইতে আজ পর্য্যন্ত আমারদের এই পবিত্র ভারতে ধৰ্ম্মবিপ্লবের অবসান নাই । বৈদিক সময়ের পর হইতে অদ্বৈতবাদ, বৌদ্ধধৰ্ম্ম, পৌরাণিক তান্ত্রিক গৌরাঙ্গ মতের ঘোর তরঙ্গ চলিয়া যাইতেছে। অামারদের মধ্যে ধৰ্ম্ম ভিন্ন অন্য কোন আচ্ছাদন