পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ১৮১২ শবদ-ব্ৰহ্ম স্থান পায় নাই। ধৰ্ম্মভাব ভিন্ন আর কিছুই s এই চিরপরাজিত জাতিকে বিপুল পরাক্রমের সহিত উত্তেজিত করিতে সমর্থ হয় নাই। ইহা ধৰ্ম্মপ্রাণ ভারতের অল্প মাহীত্ম্যের বিষয় নহে । যে পবিত্র একমেবাদ্বিতীয়ং পরমেশ্বরের পূজা পূর্বে অরণ্যবাসী ঋষিগণ দ্বারা নির্জনে গিরিগুহায় অনুষ্ঠিত হইত, আমরা সেই পিতৃপিতামহসেবিত পুরাতন ঈশ্বরের পূজা নগর গ্রামে সজনে আনয়ন করিয়াছি । যে ঈশ্বরের পূজা এককালে নির্জন কাননকে পবিত্র করিত, আমরা সেই ঋষিগণপরিসেবিত অনাদি অনন্ত ঈশ্বরের পূজায় নগর গ্রাম পবিত্র । করিতেছি। অামারদের এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যুগযুগান্ত কাল বেদবেদান্তের মধ্যে নিহিত ছিল । ইহা অামারদের স্বকপোলকল্পনা নহে । এই পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অামারদের জীবনে কতদূর প্রতিফলিত করিলাম, পবিত্র পরমেশ্বরের পূজাৰ্চনা আমারদের ক্ষুদ্র যত্ন চেষ্টা সাধন তপস্যাবলে কতদূর সংসিদ্ধ হইল তাহা আলোচনার সময় উপস্থিত হইয়াছে। আমারদের আত্মার দৃষ্টি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পবিত্র আলোকে কতদূর জ্যোতিম্মান হইল, আত্মার উন্নতি তাহার বলবীৰ্য্য কতদূর অজ্জিত হইল, তাহ নিজে নিজে প্রত্যক্ষ করিবার সময় উপস্থিত। যদি এই পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রকৃত মর্য্যাদা রক্ষা করিতে আমরা প্রয়াসী হই, তবে আমরা ধৰ্ম্মপথে কল্যাণ পথে কতদূর অগ্রসর হইলাম—তাহ সৰ্ব্বাগ্রে আমাদিগকে দেখিতে হইবে । শুদ্ধ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম পবিত্র ধৰ্ম্ম আর্য্য ধৰ্ম্ম বলিয়া পরিকীর্তন করিলে আমাদের কি হইবে ? যদি অামারদের সম্মুখে উন্নততম জ্বলন্ত আদর্শ ২৩৯ ASAMSMSMSM MMA MMAASAAA S SSASAS AAAAASAAAA T S ATTTS =ഇ. বিদ্যমান থাকে তাহাতে বা কি ? যদি ধৰ্ম্মকে ঈশ্বরকে অামারদের আয়ত্তের মধ্যে আনয়ন করিতে না পারিলাম তবে আর কি হইল । যে জ্ঞান ঈশ্বরের পথদর্শক—সেই ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান দুই প্রকার, এক অrগমোথ, দ্বিতীয় বিবেকোথ। সত্যং জ্ঞানমনন্তং ইত্যাদি উপদেশের দ্বারা ঈশ্বরবিষয়ক যে জ্ঞানের উদয় হয়, তাহার নাম আগমজনিত জ্ঞান । ধ্যান ধারণা সমাধি দ্বারা যে জ্ঞান উদয় হয় তাহার নাম বিবেকজনিত জ্ঞান । অাগমোখং বিবেকোথং দ্বিধা জ্ঞানং তথেfচ্যতে । শব্দব্ৰহ্মাগমময়ং পরং ব্রহ্ম বিবেকজম । বিষ্ণুপুরাণম । আগমোথ জ্ঞানে শবদ ব্রহ্ম। ঈশ্বরের পূজাৰ্চনা শাস্ত্রপাঠে বক্তৃতা শ্রবণে বা র্তাহার গুণানুকীৰ্ত্তনে পর্য্যবসিত হয় । কিন্তু বিবেকজনিত জ্ঞান ঈশ্বরকে আত্মার মধ্যে জাগ্রত জীবন্তরূপে অনুভব করাইয়া দেয় । আগমোথ জ্ঞান—ঈশ্বরের পথের নিয়ামক ; বিবেকজনিত জ্ঞান ঈশ্বরকে লাভ করিবার কারণ। আগমজনিত জ্ঞানে সাধক ঈশ্বরের দিকে অগ্রসর হইতে আরম্ভ করেন । বিবেকজনিত জ্ঞানে তাহার পরিসমাপ্তি হয় । অন্ধতম ইবাজ্ঞানং দীপবচ্চেন্দ্রিয়োদ্ভবং । যথা সুষ্যস্তথা জ্ঞানং যদ্বিপ্রর্ষে বিবেকজম্। বিষ্ণুপুরাণম্ । অজ্ঞান গাঢ় অন্ধকার স্বরূপ। শব্দ জ্ঞান অর্থাৎ উপদেশদত্ত তত্ত্বজ্ঞান প্রদীপসদৃশ । তাই দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞানঅন্ধকার নিরাকৃত হইতে পারে না । তে বিপ্রর্ষে । বিবেকজনিত জ্ঞান সূৰ্য্যস্বরূপ । তাহা দ্বার সম্পূর্ণরূপে সমুদায় অজ্ঞানঅন্ধকার নিরাকৃত হয় ।