পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8c তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s२, कब्र 8 उ{ण AAAA SAAAA MMMSMTSASAS SSAS ব্রাহ্মসমাজ ধৰ্ম্মালোচনার স্থান । সামাজিক উপাসনা—বন্ধু বান্ধব আত্মীয় ও প্রতেবেশীদিগকে লইয়া একত্র ঈশ্বরের গুণ-গান তাহার মাহাত্ম্য শ্রবণ ব্রাহ্মসমাজে সম্ভবে । শব্দ ব্রহ্মের সাধনা বহুল পরিমাণে ঈদৃশ সামাজিক উপাসনায় সংঘটিত হইয়া থাকে। যে সামাজিক উপাসনা অামারদের মৃত ও নিজীব ভাবকে প্রজলিত করিয়া তোলে ; যে সামাজিক উপাসনায় ধৰ্ম্মভাব ঈশ্বরপ্রীতি সকলের মধ্যে সংক্রমিত হয়, যে সামাজিক উপাসনায় কঠোর পাপাত্মার হৃদয়ের লৌহ কবাট ভগ্ন হইয়া যায়, যে সামাজিক উপাসনা ধৰ্ম্মশিক্ষার স্থল, যে সামাজিক উপাসনায় ঈশ্বরের প্রসাদবারি হীন মলিন আত্মাকে পবিত্র সলিলে ধৌত করিয়া তাহার মলিনতা অপসারিত করে, সে সামাজিক উপাসনা কি আমরা ছাড়িতে পারি | সামাজিক উপাসনা মৃতপ্রায় অসাড় আত্মার মৃত্য,ঞ্জীবন ঔষধ। সামা জিক উপাসনা সত্যধৰ্ম্ম প্রচারের একমাত্র সরল পথ । র্যাহারা মনে করেন ব্রাহ্ম সমাজে আসিয়া ক্ষণকালের জন্য ঈশ্বরের উপাসনা করা সাধনের পরাকাষ্ঠী, র্তাহারা সাধনের স্বরূপ কিছুই অবগত নহেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম তারস্বরে বলিতেছেন “তপসা ব্রহ্ম বিজিজ্ঞাসস্ব; আত্মন্যেবাত্মানং পশ্যতি” তপস্যা দ্বারা ব্রহ্মকে জানিতে ইচছা কর, আত্মার মধ্যে তাহাকে দর্শন স্কর। ব্রাহ্মসমাজে আসিয়া ক্ষণকালের জন্য তাহার উপাসনায় যোগ দিলে তোমার লক্ষ্য সংসিদ্ধ হইবে না। ব্রাহ্মসমাজে গিয়া অক্ষয় ব্রহ্মধামে যাইবার – প্রচুর পাথেয় সংগ্ৰহ করিয়া ল ও । কিন্তু পাথেয় সংগ্রহ যথেষ্ট নহে। পথশ্রম অবশ্যই তোমাকে স্বীকার করিতে হইবে । সেই _ ___ _ - _ _ পথশ্রম আর কিছুই নহে “আত্মার মধ্যে ঈশ্বরকে সন্দর্শন করিবার চেষ্টা।” এই যে আত্মদর্শন ইহা তোমার সমাধি সাধন সাপেক্ষ। এখানে সামাজিক উপাসনা বিশেষ কোন সাহায্য প্রদান করিবে না ; তোমার যত্ন চেষ্টাবলে তোমাকে একাকীই তাহ সাধন করিয়া লইতে হইবে। তবেই তুমি বিবেকজনিত ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান লাভ করিতে পারিবে । অামারদের সামাজিক উপাসনায় শব্দব্রহ্মের জ্ঞান অর্জন করা চাই তাহার সঙ্গে বিবেকজনিত জ্ঞানলাভের জন্য সাধন তপস্যা চাই । বিবেকজনিত জ্ঞানের উপরে যেন অামারদের বিশেষ লক্ষ্য থাকে। এই বিবেকজনিত জ্ঞানই আমারদের পরমার্থ জ্ঞানের চূড়ান্ত সীমা। এই লক্ষ্য হইতে যদি আমরা ভ্ৰষ্ট হই, তবে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কতকগুলি বাক্যের আলোচনা বা আবৃত্তি করণে পর্য্যবসিত হয় । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রাণ একেবারে নিজীব হইয়া যায় । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মহত্ত্ব একেবারে বিদূরিত হয়। বৰ্ত্তমানে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উজ্জ্বল সত্য অামারদের চক্ষুর উপরে দেদীপ্যমান থাকিলেও কেন যে আমরা আমাদের জীবনকে পবিত্র পরিশুদ্ধ করিতেছি না, কেন যে আমরা অামারদের আত্মাকে বলীয়ান করিতে পারি না ; কেন যে আমরা ধৰ্ম্মের সঙ্গে ঈশ্বরআরাধনার সঙ্গে নানাবিধ জাতীয় বা সামাজিক সংস্কারে বিব্রত হইয়া ধৰ্ম্মের প্রাণ ক্ষীণ করিয়া ফেলিতেছি, তাহার কারণ উদ্ভাবনে প্রবৃত্ত হইলে দেখিতে পাই, যে আমারদের মধ্যে কেবল শব্দব্রহ্মেরই আধিক্য—বিবেকজনিত জ্ঞান যাহা নিজ মিজ প্রয়াসসাপেক্ষ তাহার অভাব হইয়া পড়িয়াছে। যাহা প্রকৃতপক্ষে আত্মার সংস্কার আত্মার উন্নতি তাহ। .