পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৮১২ হিন্দুধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মপূজা ९(? 형 _ _ كيوكتكويني كمحميتيحصى ণ্ডিত্য বলে সকল মত খণ্ডন করত জ্ঞান- | তপ্ত এবং নিত্য নৈমিত্তিক বাহ্যানুষ্ঠান ও | خیابی কাণ্ডের প্রচলন করিয়া গম্ভীর স্বরে বলি- ' লেন, নিতান্ত পরালীন ভাবে, বিধি নিযেধের একান্ত দাস হইয়া বেদমন্ত্রে অর্থবোধ না করিয়া লোকে কৰ্ম্মকাণ্ডে রত রহিয়াছে, কিন্তু আত্মপ্রত্যয়সিদ্ধ জ্ঞানসঙ্গ ত ব্রহ্মোপাসনা সেরূপ ভাবে হইভে পারে না ; প্রাণে জ্বলন্তরূপে অনুভব করা চাই । উপনিষৎ ও বেদান্তসূত্র প্রভৃতি অত্যন্ত অস্পষ্ট দুৰ্ব্বোধ গ্রন্থ। শঙ্করাচার্য্য ঐ সকল গ্রন্থের ভাষ্য না লিখিলে, জ্ঞানকাণ্ডের আলোচনা ভাবত হইতে একেবারে অপনীত হইত। উত্তর কালে মহাও; রাজা রামমোহন রায় এই বেদান্ত সূত্র ও শঙ্কর ভাস্যাদি তাবলম্বনেষ্ট শাস্ত্রীয় বি চারে সকলকে পরাস্ত কবিয়া বিলুপ্ত ব্রহ্মজ্ঞানকে উদ্ধাব ছিলেন । শঙ্করাচার্য্য স্বীয় অদ্বিতীয় বুদ্ধি বলে বেদান্ত শাস্ত্র সকল একেশ্বর পক্ষে ব্যাখ্যা করিয়া “একমেবাদ্বিতীয়ং” ব্রহ্মের জ্ঞান ও পূজা পূনঃপ্রচার করিলেন । কিন্তু দেশের দূরদৃষ্টবশতঃ শুস্কহুদয় নীরস প্রকৃতি ভ্রান্ত লোকদিগের হস্তে পড়িয়া, শঙ্কর প্রচারিত বেদান্ত প্রতিপাদিত ব্রহ্ম- ! জ্ঞান কেবল দার্শনিক তর্কেরই কারণ হইয়া উঠিল । প্রেমভক্তিপিহান শুষ্ক জ্ঞান মানবহৃদয়ের স্বাভাবিক ঈশ্বরানুরাগ ও ভক্তিভাবকে প্রস্ফুটিত করিতে পারিল না । ভারত আবার পশ্চাৎপদ হইয়৷ পার্থিব উল্লাস উৎসবময় পৌরাণিক ধৰ্ম্ম ও ব্রত নিয়মাদি ক্রিয়া কলাপকে আলিক্ষন করিল । কাল্পনিক দেবদেবীর পূজা ও ধৰ্ম্মের নামে বহুবিধ বীভৎস কাণ্ড সঙ্ঘটিত হইতে লাগিল । বঙ্গদেশে তান্ত্রিকদিগের রহস্যময় জঘন্য আচরণ ও o 蓝 নৈয়ায়িক পণ্ডিতদিগের তর্কশাস্ত্রের বি করিতে সমর্থ হইয়া- | আrচার মাত্র ধৰ্ম্মের স্থান অধিকাল করিল । নানক চৈতন্য কবির প্রভৃতি এক একজন ধৰ্ম্মসংস্কারক উত্থিত হইয়। ভারতভূমিকে নানা সম্প্রদায়ে বিভক্ত করিয। ফেলি লেন । বহুকাল পরে ভারতমাতার প্রিয় পুন মহাত্ম রাজা রামমোহন রাম জন্মগ্রহণ করিয়া জননী জলাভূমির মুখোজ্জল করিলেন । তিনি স্বদেশ ও স্ব জাতির বিবিধ অজ্ঞানত কুসংস্কার দুঃখ দুৰ্গতি দর্শন করিস। দারুণ মা স্ত্রণীতে বিদ্ধ চ ষ্টলেন এবং দ্বিতীয় ব্যাস ও দ্বিতীয় শঙ্করের ন্যায় সকাম কৰ্ম্মবন্ধন অন্ধভক্তি ও কুসংস্কাব পূর্ণ মূৰ্ত্তিনাদ হইতে ভারত সন্তানকে মুক্ত করিবার অভিলাসে ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মো - পাসনাকে স্বদেশে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । র্তাহার অভু্যদয়ের পূর্বে বঙ্গদেশে উপনিষং বেদান্তদর্শন প্রভূতি জ্ঞানকাণ্ডায় শাস্ত্রসকলের তাদৃশ আলোচনা ছিল না । বেদ বেদান্ত পুরাণ তন্ত্র ভাগবতাদি শাস্ত্র সিন্ধু মন্থন করিয়া রামমোহন জনসাধা রণকে দেখাইয়া দিলেন যে, প্রেমোদ্বেলিত হৃদয়ে একমাত্র নিরাকার পরব্রহ্মের উপাসনাই যথার্থ হিন্দুধৰ্ম্ম । এই বেদবেদান্ত প্রতিপাদ্য ব্রহ্মোপাসনারূপ শ্রেষ্ঠতম হিন্দুধৰ্ম্মকে স্বদেশে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য ১৭৫১ শকের মাঘের এ কাদশ দিবসে আদি ব্রাহ্মসমাজ স”স্থাপন করি লেন । এজন্য রামমোচন বায়কে কত আক্রমণ ও কত নিৰ্য্যাতন সছ করিতে হইয়াছিল ; তাচ আপনার সকলেই অবগত আছেন । কি গৃহস্থ ভবন কি পণ্ডিতদিগের চতুষ্পাঠী সৰ্ব্বত্রই এই আন্দোলন উপস্থিত হইল। অশেষ শাস্ত্রদশী ব্রহ্মবাদী রাজা রামমোহন বায়ের