পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ত فهـحـ - - - - - S CAAAASASASS অগাধ পণ্ডিত্য ও শাস্ত্র বিচারের নিকট সকলেই পরাস্ত হইলেন । জড়োপাসনা ও হৃদয়বিহীন কৰ্ম্মাড়ম্বর এতদিন মানবহৃদয়কে ঈশ্বর হইতে দূরে রাখিয়াছিল। আত্মাতে সাক্ষাৎ ব্ৰহ্মদর্শন ও ব্রহ্মেতে আত্মার যোগ মানবের শ্রেষ্ঠ অধিকার । জড়োপাসনা এই সর্বশ্রেষ্ঠ অধিকার হষ্টতে হিন্দুজাতিকে বঞ্চিত করিয়া হিন্দুজাতির মনুষ্যত্ব অপহরণ করিয়াছিল । রামমোহন রায় শাস্ত্রের গভীর গহবর হইতে ব্ৰহ্মজ্ঞানকে উদ্ধার করিয়া ভারত সন্তানকে সাক্ষাৎ ব্রহ্মযোগের অধিকার পুনঃপ্রদান করিলেন। তিনি কোন নতন ধৰ্ম্ম বা নতন মত প্রচার করেন নাই । ভারতের প্রকৃত গৌরব ও প্রকৃত মহত্ত্ব; সেই ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপূজাকে বহুকালপ্রচলিত আজ্ঞানান্ধকার ভেদপূর্বক দীপ্ত দিবালোকের ন্যায় স্বদেশবাসীর নিকটে প্রকাশ করিলেন । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कब्र, ४ ४tर्भ তেন, তবে ব্রাহ্মসমাজের কি দশা হইত বলিতে পারি না। উপনিষদের মধ্যে যে ব্রহ্মজ্ঞান বীজের আকারে নিহিত, ছিল, এই মহাত্মার অটল অধ্যবসায় ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠার প্রভাবে তাহ শাখা প্রশাখা পত্র পুষ্প ফলে পরিণত হইয়। শান্তি প্ৰদ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যানে শোভা পাইতেছে। যাঙ্গ প্রাচীন ছিন্দু ঋষিদিগের হৃদয়ে নিবদ্ধ ছিল, তাহাই এখন মানব সাধারণের আশ্রয়স্থল হইয়াছে । যে ব্ৰহ্মনাম অরণ্য কাননে গিরিগুহায় ঋষিদিগের পবিত্র কণ্ঠে উদগীত হইত, নগর পল্লীর জনকোলাহলে আজ সেষ্ট ব্ৰহ্মনাম কীর্তিত হইতেছে | ভারতের চিরন্তন সম্পত্তি, যাহাতে/ ®জ্ঞান ও ভাব লইয়া ধৰ্ম্ম । একের অভাবে অন্যটি বিফল ও বিকল । জ্ঞানের অভাবে যেমন অন্ধভক্তি অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিভীষিকা ; প্রেমের অভাবে জ্ঞান সেইরূপ শুষ্ক মরুভূমিতুল্য, এবং এই বেদবেদান্ত জ্ঞান প্রেম উভয়ের অভাবে কৰ্ম্ম নীরস প্রতিপাদ্য ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপূজা বর্তমান ; কোলাহল মাত্র । জ্ঞান প্রেম কৰ্ম্মের সময়ে সমুন্নত আণ কারে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম রূপে প্রচারিত হইতেছে। পূজ্যপাদ শ্ৰীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রধান আচার্য্য মহাশয় আর্য্যঋষিগণপরিসেবিত এই কল্যাণ প্রদ ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর রূপে প্রচার করিবার অভিপ্রায়ে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থে ব্রাহ্মধৰ্ম্মবীজ নিবদ্ধ করিয়াছেন । ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি ও ভঁtহ{স প্রিয় কাৰ্য্যট যে উপাসনা, এই মহা সত্য ব্রাহ্মধৰ্ম্মগ্রন্থ ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যানে জীবন্তভাবে প্রচার করিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে ভারতভূমিতে বক্ষ। করিয়ছেন । এই মহাত্মা যদি ঈশ্বরের মঙ্গল হস্ত দ্বারা নীত হইযা জীব নের প্রথম বয়সে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজকে প্রাণের সহিত অলিঙ্গন না করি সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্রাহ্মধৰ্ম্মই একমাত্র সত্য ধৰ্ম্ম । জ্ঞান এবং প্রেমের মণিকাঞ্চন যোগ ব্যতীত পবিত্র কার্য্য অনুষ্ঠিত হয় ন। জ্ঞানবিহীন হৃদয় ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য করিতে গিয়া প্রবৃত্তির প্রিয়কাৰ্য্য করিয়া বসে । আবার হৃদয়বিহীন প্রেমবিহীন জ্ঞান সৌরভহীন শুষ্ক পুষ্পের ন্যায় বৃথা । জ্ঞান প্রেস এ কৰ্ম্ম যোগাত্মক ব্রাহ্মধৰ্ম্মই ভারতের মুখ্যধৰ্ম্ম—যথার্থ আর্য্যধৰ্ম্ম অথবা যাহা একই কথা, যথার্থ হিন্দুধৰ্ম্ম । এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বিদেশ হইতে সমাগত কোন অহিন্দু ধৰ্ম্ম নহে। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম রূপ পরম সম্পত্তি আমরা পিতৃপুরুষ হইতেই প্রাপ্ত হইয়াছি । আমরা যতই দীন দরিদ্র হই না কেন, পূর্বপুরুষদিগের উপার্জিত