পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লৈশfখ .৮ ১১ _ - چیچہ = مین سے = ബ ബ তাহীদের সমস্ত আশা-ভরষার পৃথিবী হইতেই উৎপত্তি এবং পৃথিবীতেই নিবৃত্তি । পশু পক্ষীরা ভূমিষ্ঠ হইবার কিয়ৎ কাল পরেই জীবন-নিৰ্ব্বাহ-কার্য্যে পুর্ণ পরিপক্কতা লাভ করে ; কিন্তু মনুষ্য যাবজ্জীবনেও সেরূপ অবস্থা লাভ করিতে সমর্থ হয় না। মনুষ্য জীবন-নির্বাহ-কার্যে চিরকালই অসম্পূর্ণ; কিন্তু তাহার সে | অসম্পূর্ণতার চতুর্দিকে প্রাচীর দেওয়া । নাই ; পূর্ণতার মহান আদর্শ তাহাকে চারিদিক হইতে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে ; অসীম আকাশ হইতে পূর্ণতা তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে এবং অত্মার গভীর হইতে পূর্ণতা তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে ; মনুস্য অতীব অপূর্ণ জীব, কিন্তু তাহার ভয় নাই ; সে পূর্ণ পরামাত্মার ক্রোড়ে বসিয়া আছে— । এবং তাহার অমৃত সংস্পর্শ অন্তরে উপলব্ধি করিতেছে—ইহাতেই সে স্বৰ্গ-মর্তা রিতেছে । এই জন্যই অল্প কোনো কিছুতে মনুষ তৃপ্তি লাভ করিতে পারে না—পৃথিবীর একাধিপত্যেও নহে—স্বর্গের ইন্দ্রত্বেও নহে—কিছুতেই সে তৃপ্তি-লাভ করিতে পারে না । যে অমৃতের অধিকারী, সে ক্ষণভঙ্গুর পদার্থে কিরূপে তৃপ্তি লাভ করিবে ? মনুষ্য কোনো পরিমিত পদার্থেরই অধীনে থাকিতে চাহে না—ইহাই—স্বাধীনতাই—মনুষ্যের প্রগাঢ় অতৃপ্তির মূল কারণ । এইরূপ অতৃপ্তি এবং অসন্তোষই যদি মনুষ্যের যথা-সৰ্ব্বস্ব চয়, তবে মনুষ্যের ন্যায় এমন হতভাগ্য জীব অর পৃথিবীতে জন্মে নাই । আরণ্যক পশুদিগের যাহার যাহা নির্দিষ্ট পরিধি, তাহার অভ্য বা প্রেমের গীত গান করিতেছে, কখনো স্তরে সে পরম সন্তোষে কালযাপন করি নববর্ষ Q ○

=ജ്ജ ഇബ =ബ TT TAAAS AAASASAAAAASAGeTMSTAS MMT ASASASS তেছে ; মন্ত্ৰষ্যই কেবল কি যেন এক উত্তপ্ত রোগ-শয্যায় অহনিশি এপাশ ওপাশ করিয়া সারা হইতেছে । মাতা যখন শিশুকে ছাড়িয়া দিয়া কপাট বন্ধ করিয়া গৃহ-মধ্যে লুকাইয়। থাকে, তখন শিশুটির অবস্থা যেরূপ হয় ; ঈশ্বরকে চতুদিকে কোথাও দেখিতে না পাইয়া মনুষ্যের অবস্থ৷ সেইরূপ হইয়াছে । মনুষ্য স্বাধীন—মনুষ্যের হস্তে কোনো প্রকার অবলম্বন-ঘষ্টি নাই যে, তাহার উপরে সে ভর করিয়া দাড়াইয়া থাকিলে, অথচ সে তাহার প্রাণ-সখাকে—জীবনের একমাত্র সম্বলকে—কোনো স্থানেই খুজিয়া পাইতেছে না । কিন্তু শিশুকে অসহায় ছাড়িয়া দিয়া মাত কতক্ষণ কপাট বন্ধ করিয়া লুকাইয়া থাকিতে পারে ? পরম মঙ্গলালয় বিশ্বের জনক জননী মনুষ্যের স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিয়াই ক্ষান্ত হন নাই—সেই দ্বারে তিনি অলপাতালের পরিপূর্ণ ঐশ্বৰ্য্য উপভোগ ক ক্ষিত পদ-সঞ্চারে আপনি আসিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছেন । বিষয়ারণ্য হইতে চক্ষু ফিরাইলেই আমরা তাহার দর্শন পাইয়া সমস্ত পাপতাপ হইতে নিস্কতি পাইতে পারি ; কিন্তু তাহা না করিয়া আমরা বিষয়ারণ্যে অবলম্বন-যষ্টি অন্বেষণ করিয়৷ বেড়াইতেছি এবং গভীর হইতে গভীর-তর অরণ্যে প্রবেশ করিয়া পথ ভুলিয়া গিয়া হাহাকার করিতেছি । কিন্তু এখনো পর- ' মাত্মা আমাদের প্রতি করুণা বিতরণে এক মুহূৰ্ত্তও কাতর নহেন ; তিনি প্রকৃতিকে আমাদের চক্ষু ফুটাইয়া দিবার জন্য পশ্চাৎ হইতে ইঙ্গিত করিয়া দিতেছেন—আর অমনি সমস্ত প্রকৃতি গীতধ্বনিতে মুখর হইয়। উঠিতেছে ; কখনে। বা অনন্দের গীত গান করিতেছে, কখনো