পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\О о ச_ -o একরূপ বঞ্চিত । ইংরেজি শিক্ষা ইহা দের হৃদয়ে যে অাশার ও আকাঙ্ক্ষার তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা - | | | \ সঞ্চার করিয়া দেয় সমাজ ত স্থার তৃপ্তি । পারে, সেলি বায়রন পড়িতে পারিলে তো সাধন করিতে পারে না । অপরিতোমণীয় আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধিতে বড়ই ঘন্মণ ইহাই কৃতবিদ্যদের অসুখের দ্বিতীয় কারণ বলিয়া অনুমিত হয় । তেখের সঙ্গে আকাঙ্ক্ষার নিত্য সম্বন্ধ । ও আকাঙক্ষানুযায়ী তৃপ্তিভেদে স্থখভেদ । আণর শিক্ষাভেদে আকাঙক্ষাভেদ, কাজেই শিক্ষাভেদে সুখভেদ চয় । স্তখের মধ্যে ও তারতম্য আছে বটে কিন্তু সে তারতম্য ও অনেকটা শিক্ষাভেদে ই হইয়া থাকে। ঃ "রাজী শিক্ষা কৃতবিদ্যদের হৃদয়ে যে আকাঙ্ক্ষানল জ্বালিয়া দেয় তাহার উপয় জ্ঞ ইন্ধন সমাজ যোগাইতে পারে না, কাজে ই তাহাদের আকাঙক্ষ। ক্রমে নিস্তে জ হয় এবং হয় । । . з чи, в 91% - - --- - - --- - সংস্কারের পদে পদে অনুবর্তন করিতেছে। নব্য সম্প্রদায় চায় যে স্ত্রীটি বাঙ্গালা বেশ জানে, ইংরেজিতে কথাবার্তা কহিতে, সোণায় সোহাগ। পিয়ানো বাজাইতে জানে, চিত্রবিদ্যায় নিপুণতা থাকে, এবং অকাঙ্ক্ষাভেদে । খিতে স্বীকার করিবে না । সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের হৃদয়কে ও নিরাশীর । কুয়াশায় আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। সংসারে কিছুতেই তাহারা সুখশান্তি পায় না । রক্ত দূষিত হইলে যেরূপ নানাবাধি নানা প্রকারে মান্তমকে পীড়িত করে ও তাচার সুখ সচ্ছন্দ তার কণ্টক স্বরূপ হয় সেইরূপ সমাজের সক্তি ত শিক্ষিত্ৰ সম্প্রদায়ের স্বভtবের সামঞ্জস্য ভাব নন। প্রকারে এই সম্প্রদায়ের সুখ সচ্ছন্দতার কণ্টক স্বরূপ ইষ্টযাছে । পুরুষ শিক্ষি ত হইতেছে কিন্তু সমাজের অৰ্দ্ধাঙ্গস্বরূপ স্ত্রীগণের মনে রক্তি ও চিন্তাশক্তি শিক্ষার অভাবে ও কুসংস্কারের ঘোরতর শাসনে বিকৃত হইয়া রছিয়াড়ে । শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মস্তিক ইংরেজী চালচলনে ইংরেজী রুচিতে ও ইংরেজী ভাবে ভরপুর হইয়। অাছে কিন্তু যাহাদিগকে তাহদের অদ্ধাঙ্গিনা ও জীবনসঙ্গিনীরূপে মনোনীত করিতে হইতেছে তাহারা পূর্ব চালচলনে ও পূর্ববরুচি ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শাস্ত্রীয় আলাপ করিতে পারে । স্ত্রীতে এইসব গুণ থাকিলে তবে তাহাদের মন উঠে এবং হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষার তৃপ্তি হয় । কিন্তু সে আশ। কোথায় । “উদয়তি যদি ভাতৃঃ পশ্চিম দিগ্নি ভাগে । লি কসতি যদি পদাঃ পঞ্চ তানাং শিখাগে । প্রচলতি যদি মেরূ: শীততাং ঘাতি বত্ত্বিঃ । তবুও তো তাহারা নাচ গান শি ইহার পর সমাজে বার বৎসরের পেশী বয়সের মেয়ের বিবাহ হয় না, কাজেই স্ত্রীটি একে অশিক্ষিত তাতে অব ঋ হয় । শিক্ষিত সম্প দায় স্ত্রীকে একটা প্রধান সুখের কারণ মনে করে । কিন্তু তাহারা মনে মনে স্ত্রীর যে কল্পনা করিয়া রাখে তাহ রক্ত মাংসজড়িত বাঙ্গালী স্ত্রীতে এক্ষণে পাওয়া অসম্ভব । যতদিন মাতুম মুখের দেখা পায় ন। কিন্তু পাইবে বলিয়া প্রাণে এক বিন্দুও আশা থাকে ততদিন বড় দুঃখেও মানুষ দুঃখী নয় কিন্তু যখন সুখ পাইয়াও মানুষ স্বর্থী হয় না সুখের জিনিস পাইয়াও সাধ মেটে না তখনই মানুষ প্রকৃত দুঃখী । বিবাহের পর অনেক কৃতবিদ্য যুবকের মুখেই শুনিতে পাষ্ট ‘স্তখের লাগিয়। এ ঘর বাধিনু আগুনে পুড়িয়া গেল, অমিয়া সাগরে সেনান করিতে সকলি গরন ভেল’। পরিবারস্থ স্ত্রীসম্প্রদায় কেহই ইহাদিগকে স্থখ দিতে পারে না। স্ত্রী, মা, ভগিনী কেহই ইহাদের পছন্দ মত হইতেছে না।