পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t झjॐ s४४२ La si L_UAL ஒகம் - Ευ" Για μημη Εμ যেমন ক্ষয় হয় সেইরূপ পরকালে পুণ্যজিত লোকও ক্ষয় হইয়া থাকে । उॉलझे, 요 어 হইলেও মোক্ষার্থীর । জঙ্গনে তো কোনও প্রয়োজন দেখি না, কারণ সংসারনিদান কৃত কৰ্ম্মের ভোগাব- | সানে ক্ষয় হইয়া গেলে নিমিত্তের অভাবে । নৈমিত্তিকের অভাব হয় এই ন্যায়ে কৰ্ম্মক্ষয়ে মোক্ষ তো অযত্নলভ্য হইল । ন। এরূপ বলি ও না, কৰ্ম্ম অজ্ঞানমূলক, সেই অজ্ঞান থাকিতে কৰ্ম্মের ও অভাব ঘটে না । অথবা অজ্ঞের কৰ্ম্মপ্রবৃত্তির বিরাম না হইলে সংসারের বিরতি হয় না। আর কৃত কৰ্ম্মের ফলভোগকালে ও অবশ্যই কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি হয় সুতরাং এইরূপে ভোগের আর বিরাম হইতেছে না । যদি এইরূপই হইল তবে তুমি কৰ্ম্মনিৰ্বত্তিতে মোক্ষসিদ্ধি এ কথা কিরূপে বল । বেদে কথিত অাছে লোক সকল অজ্ঞান রূপ নীহারে প্রাবৃত জল্পনাপর প্রাণের তৃপ্তিতে ব্যতিব্যস্ত এবং কৰ্ম্মবিধি দ্বারা শাসিত হইয়া বিচরণ করিতেছে । স্মৃতিতে কথিত হইয়াছে, রাজন । পুরুমের একই শক্র, দ্বিতীয় নাই, সেইটার নাম অজ্ঞান । সে তদ্বারা আবিষ্ট হইয়া ঘোর স্বদারুণ কাৰ্য্য সকল করে ও কারিত হয়। এই শ্রীতি ও স্মৃতি দ্বারা অজ্ঞানই এই কৰ্ম্ম ও তৎফল স্বরূপ এই সংসারের হেতু বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। অতএব সেই অজ্ঞানের আত্যন্তিক উপরতি অর্থাৎ নাশই অভিপ্রেত, যত্ন পূর্বক তাহাই সম্পাদন করিতে হইবে। মূল উন্মলিত না হইলে প্ররোহের অভাব হয় না। শ্রীতি কহিয়াছেন আত্মবিৎ শোককে অতিক্রম করেন । এই শ্রীতি দ্বারা যখন এইরূপ নিণীত হইতেছে যে বিদ্যাই অজ্ঞান নাশের হেতু, সেই জন্য ব্রহ্মবিদ্যা আরব্ধ বেদান্ত মত \ó(የ হইতেছে। এই ব্রহ্মবিদ্যা দ্বারা মুক্তি হয় । বিদ্যার উদয়ে প্রতিবন্ধক অজ্ঞানের নিবৃত্তি হইলে কেবল আত্মস্বরূপে অবস্থানরূপ মোক্ষকে লাভ করিবার আর বড় বিলম্ব হয় না । কৰ্ম্মের শক্তি অনন্ত । শ্রুতিতে অাছে যিনি সুবর্ণ দান করেন র্তাহর আমৃতত্ব লাভ হয় । স্মৃতিতে অাছে জনকাদি কৰ্ম্মবলেই সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন । এই শ্রীতি ও স্মৃতি প্রমাণে নির্ণীত হইতেছে যে কৰ্ম্ম দ্বারাই মোক্ষসিদ্ধি হয়, তবে ব্রহ্মবিদ্যায় প্রয়োজন কি ? এই আশঙ্কা দূর করিতেছেন। সংসার-মূল অজ্ঞান নাশের জন্য বিদ্যাই সমর্থ কদাচ কৰ্ম্ম নহে। কৰ্ম্ম নহে যে তাহার কারণ অবিরোধ । কিন্তু বিদ্য। প্রকাশ স্বরূপ, সেই হেতু অপ্রকাশ রূপ অবিদ্যা ও তৎকার্য্যকে নিবৃত্ত করে । মনে কর রজুতে আবরণস্বভাব অবিদ্যারূপ অন্ধকার একটা সপাদি আকার স্থষ্টি করিয়াছে কিন্তু রজু ও তৎ-তত্ত্বজ্ঞানরূপ প্রদীপ সেই অবিদ্যাকল্পিত সপাদির ভ্রান্তিকে নিবৃত্ত করে। এস্থলে এই যে রজুতে সপাদি ভ্রান্তি ও তৎ নিবৃত্তির প্রতি হেতু স্বভাব-বিরোধ, অর্থাৎ অবিদ্যার স্বভাব আবরণ অার বিদ্য। বা তত্ত্বজ্ঞানের স্বভাব প্রকাশ । সুতরাং যে প্রকাশ-স্বভাব সে আবরণ-স্বভাবকে বিরোধ হেতু অবশ্যই নষ্ট করিতে সুপটু। সেইৰূপ কৰ্ম্ম অজ্ঞান-মুলক, যে স্বয়ং অজ্ঞান-মুলক সে আপনার অপ্রতিকুল স্বীয় স্বভাবের অবিরোধী অজ্ঞানঅন্ধকারকে কিরূপে নষ্ট করিবে । ফলত নীহারস্তোমবৎ অপ্রকাশ-স্বভাব হেতু কৰ্ম্ম অজ্ঞাননাশে এককালেই অসমর্থ । এস্থলে জ্ঞান ব্যতীত মুক্তিলাভের অন্য পথ নাই এই শ্রীতির সহিত সুবর্ণদাতার অমৃতত্বলাভ প্রতিপাদক শ্রীতির অবশ্য