পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ब्रार्छ s००२ জীবন চরিত \34) কি উপায় করিতে হইবে । পণ্ডিতের বলিলেন যে দুই শত করিয়া টাকা প্রত্যেককে আনিতে হইবে তাহা হইলে ইহার শুদ্ধ হইয়া যাইবে নতুবা ইহাদের শুদ্ধ হইবার অন্য কোন উপায় নাই । সেই ব্রাহ্মণেরা অত্যন্ত গরিব ছিল। ভিক্ষা দ্বারা তাহাদের জীবিকা নিৰ্বাহ হইত । দুই শত টাকা তাহারা কি প্রকারে দিবে। তাহারা টাকা দিতে না পারাতে সেই সন্তান দুইটিকে ঘরে লইতে পারিল মা, তাড়াইয়া দিল । তাহারা মুসলমানদের ঘরে যাইল। এইরূপে মুসলমানদেরও দলপুষ্টি হইতে লাগিল। শিবনারায়ণ এই সকল অবস্থা দেখিয়া বিচারকর্তাকে ধিক্‌ কার দিতে লাগিলেন, এবং বলিলেন, টাকা কি কখন জীবকে শুদ্ধ বা অশুদ্ধ করিতে পারে ? কেবল মনের ভ্রম ও সমাজের শাসন মাত্র। হিন্দুদের এই দুর্দশার দৃষ্টান্ত পাশী অর্থাৎ শিউলিদের মধ্যে আছে । শিউলিদের মধ্যে যদি কেহ অখাদ্য বস্তু খায় অথবা কোন অপরাধ করে তাহা হইলে তাহদের পণ্ডিতেরা এবং ভাই জ্ঞাতিরা বলে, যে যদি তুই আমাদের অৰ্দ্ধসের করিয়া তাড়ি প্রত্যেককে দিস্ তাহা হইলে তোকে শুদ্ধ করিয়া লইব । সেই ব্যক্তি যদি অৰ্দ্ধসের করিয়া তাড়ি প্রত্যেককে দেয় তাহা হইলেই সে শুদ্ধ হইয়া যায়, এবং যদ্যপি সে দিতে না পারে, তাহা হইলে সে অশুদ্ধই থাকে । অনন্তর শিবনারায়ণ পঞ্জাব হইতে অম্বরসহর গ্রামে উপস্থিত হইলেন । তথায় পুকুরের মধ্যে যে নানক্জির মন্দির আছে তিনি তন্মধ্যে যাইলেন । যাইয়। সেই মন্দিরের অর্থোপায়ের অবস্থা সকল দেখিলেন । দেখিলেন গ্রন্থ সাহেবকে অর্থাৎ পুস্তক কাগজ কালীকে প্রণাম করিতেছে। এবং কড়ি টাকা পয়সা দিতেছে । শিবনারায়ণ শুনিলেন, যাহারা যথার্থ সাধু এই স্থানে তাহার পরিচয় ছয় , অর্থাৎ লোকে যথার্থ সাধুদিগকে চিনিতে পারে, এবং তাহাদের সেবা করে। সেই পুষ্করিণীর চারিদিকে মহান্তদিগের স্থান আছে, এবং তথায় সাধুদিগের নিয়মিত সেবা হইয়া থাকে । শিবনারায়ণ সকল মহা স্তদের বাসায় অহা C5N I রের সময় অপরাপর সাধুদিগের সঙ্গে যাইতেন । যে সকল সাধুর রঙ্গিন কাপড় থাকিত, এবং মস্তকে জট ইত্যাদি নানা প্রকার ভেকের চিহ্ন থাকি ত তাহাদিগকে যত্ন পূর্বক বসাইতেন, এবং আহার করাইকিন্তু শিবনারায়ণের কোন রূপ ভকের চিন্তু ছিল না, তাহার জীর্ণ চাদর ও গায়ে ধুলা দেখিয়া তাড়াইয়া দিত। পরে শিবনারায়ণ অম্বর সহর হইতে বাহির হইয়া এক ক্রোশ দূরে শুখাতলা ও স্থানে উপস্থিত হইলেন । সেই স্থানে আসিয়া তিনি দশ পনর দিন অবস্থান করিলেন । সেই গ্রামের দুই এক জন সাধু আসিয়া শিবনারায়ণের সহিত ঈশ্বর সম্বন্ধে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিত। তাহারা শিবনারায়ণের কথা বাৰ্ত্তা শুনিয়া আহলাদিত হইয়া সেই গ্রামের সকলকে বলিত, যে এক জন যথার্থ মহাত্মা আসিয়াছেন । পরে সেই গ্রামের লোকেরা তাহাকে দর্শন করিবার জন্য আসিতে লাগিল, এবং উত্তম রূপে সেবা করিতে লাগিল । ক্রমে ক্রমে অম্বর সহরের সেই মহান্তরাও শিবনারায়ণের কাছে আসিয়া র্তাহাকে দর্শন করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিল এবং তাহারা লজ্জিত হইয়া মনে মনে বলিতে লাগিল যে এই মহাত্মা আমাদের বাটিতে গিয়াছিলেন। ইহার কোন