পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ कत्र, 8 लौभ

বা ভয়ের গীত গান করিতেছে ; নানা প্রকার কৌশলে পরমাত্মার প্রতি আত্মার চক্ষু ফুটাইয়া দিবার জন্য চেষ্টা করি ○マ冗g I পরমাত্মাই আমাদের আত্মার আকা উক্ষার ধন ; পরমাত্মা যেমন মহান যেমন অতলস্পর্শ, আমাদের আত্মার আকাঙ্ক্ষা ও তেমনি মহান, তেমনি অতলস্পর্শ। সমস্ত প্রকৃতি অপেক্ষা আত্মার আকাঙক্ষ অসীম বড় ;—আত্মা পরমাত্মাকে যতক্ষণ না দেখিতে পায়, ততক্ষণ তাহার সেই অসীম আকাঙক্ষ অসীম দুঃখের জননী হইয়া তাহাকে ক্ষণকালের জন্যও সুস্থ থাকিতে দেয় না । কিন্তু মনুষ্যের সেই অসীম আকাঙ্ক্ষা যখন পরমাত্মাতে সংযুক্ত হয়— তখন তাহাব সেই আকাঙ্ক্ষা যেমন : অপার এবং অতলম্পর্শ তাহার আনন্দও উঠে। পূর্বে আত্মার আকাঙ্ক্ষা যত বড় ছিল – তাহার পরে পরমাত্মার সংস্পর্শে সেই আকাঙক্ষা পরিপূর্ণ হইয়া আত্মা স্বয়ং ' তত বড় হইয়া উঠে ; এত বড় হইয়া উঠে যে, চরাচর প্রকৃতি তাহাকে নাগাল পায় । নী । যাহার। প্রাণের প্রাণ আত্মার আত্মাকে ভুলিয়া সংসারারণ্যে বিচরণ করেন, র্তা । হারা আত্মা অপেক্ষা প্রকৃতিকে অসীম বড় মনে করেন । র্তাহারা মনে করেন যে, সূৰ্য্য আকাশের এক কোণে মৃতবৎ পড়িয়া আছে—মেঘ সমস্ত আকাশ আচ্ছাদন করিয়া । বহিয়াছে; অতএব মেঘের আয়তন সূৰ্য্য অপেক্ষ অসীম বিস্তৃত। তেমনি, প্রকৃতির পাষাণ অপেক্ষাও সুকঠিন বক্ষ এবং বজ্র অপেক্ষাও দোদণ্ড প্রতাপ দেখিয়া, ঈশ্বরপরাস্মুখ মনুষ্যের মনে হয় যেন—আত্মার আকাঙক্ষ অগাধ রসাতলে পড়িয়া হাবুডুবু πmujnυπω খাইতেছে; অন্ধ প্রকৃতির বিশ্ব-বিজয়ী পরাক্রমের প্রখর সূৰ্য্যালোকে আত্মার খদ্যোতজ্যোতি যেন একেরারেই নিৰ্ব্বাণ দশা । প্রাপ্ত হইয়াছে। কেবল, পরমাত্মার প্রতি যাহার অন্তশ্চক্ষু ফুটিয়াছে তিনিই প্রকৃত বৃত্তান্তটি বুঝিতে পারেন—তিনি বুঝিতে পারেন যে, সমস্ত আকাশব্যাপী এত বড় এই যে মেঘের বিস্তার, ইহা সূর্য্যের অযুত কোটি অংশেরও একাংশ নহে ; বুঝিতে পারেন যে, ব্ৰহ্মানন্দ-পরিপ্লুত আত্মার তুলনায় প্রকাণ্ড ব্রহ্মাণ্ড ক্ষুদ্র একটি হিমবিন্দুও নহে। কিন্তু আর এক দিকে দেখা যায় যে, প্রকৃতি পরমাত্মার অনিৰ্ব্বচনীয় মহিমা-গানে দিবারাত্র ধ্বনিত হইতেছে ; জীবাত্মা যখনই পরমাত্মার জন্য র্কাদিয়া উঠিতেছে—সেই মধুময় সঙ্গীত শুনাইয়া প্রকৃতি দেবী তখনি তাহাকে থামাইয়। তেমনি অপার এবং অতলস্পর্শ হইয়া | রাখিতেছে ; জীবাত্মার অপরিপক্ক অবস্থায় প্রকৃতিই তাহার ধাত্রী । বীণা-যন্ত্রের শুদ্ধ কেবল উপাদান-সমষ্টির প্রতি যদি লক্ষ করা যায়, তবে তাহা কিছুই নহে ; একটি কাষ্ঠ-দণ্ড, দুইটি অলাবু-খণ্ড এবং চার পাচ গাচি তন্ত্রী, এ বই আর কিছু নহে; কিন্তু তাই। হইতে যখন মূৰ্ত্তিমান রাগ-রাগিণী বিনিঃস্থত হইয়া শ্রোতার অন্তশ্চক্ষুতে স্বগের দ্বার অপাবৃত করিয়া দেয়, তখন তাহার যে কি অনুপম মূল্য—তাহ শুনিয়া বুঝিতে পারে। যে ব্যক্তি মোহিত হয় সেই ব্যক্তিই তাহ। জগতের উপাদান-সমষ্টি বীণার দণ্ড কমণ্ডলু তন্ত্রী অপেক্ষা অধিক কিছুই নহে ; জল বায়ু মৃত্তিক অগ্নি আকাশ—এই বই নহে ; কিন্তু এই মৃন্ময় ধাতুময় প্রস্তরময় জগৎ হইতে যে এক সুধাময় সঙ্গীত-লহরী নিরন্তর উত্থিত হইতেছে, তাহার সহিত ঐ সকল উপাদানরাশির কোনো সাদৃশ্বাই নাই। প্রকৃতির