পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 _ * * * *-o-o-o: ==s --- sa-- _ _ =>$=> তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১২ কল্প, ৪ ভাগ CSGSCSCSCSS Παπαμυκωwws প্রেমের নয়নে ধন রত্ন লোষ্ট্রবৎ ; আবার | চঞ্চল, তাহ প্রেম নামেরই যোগ্য নহে। পুষ্পের একটি শুষ্ক পাবড়ী, একবিন্দু অশ্রু i কণাই অমূল্য । প্রেম অর্ণধারের আলোক, ; গ্রীষ্মের ছাতি, শীতের আতপ । প্রেম অনন্তের দ্বার। প্রেমবিন্দুর মধ্যে প্রবেশ কর, অনন্তের ছায়া দেখিতে পাইবে । প্রেম অন্ধ । প্রেমিক র্তা চার প্রিয়জনের দোষ বা ক্রটি দেখিতে পান না। প্রেমের অনুবীক্ষণ দিয়া যাহাই কিছু দেখ না, উহা বড়ই মনোহর দেখাইবে । প্রেম ছোটকে বড় করে, লাল কালো সকল বর্ণকেই একবর্ণ করে । প্রেম ভেদাভেদ ঘুচাইয়া শ্বেতকায় কৃষ্ণবর্ণকে এক করে । ছোট বড়, শ্বেত কৃষ্ণ, ধনী নিধন, জ্ঞানী অজ্ঞান, এই সকল কথা অপ্রেমের অভিধানেই মিলে । প্রেম নিঃস্বাৰ্থ । প্রেমের রাজ্যে স্বার্থপরতার দুর্গন্ধ নাই। এক অন্যকে দিতে চায়, অন্যের নিকট হইতে কিছুই লইতে চাহে না । প্রেম নিজের যাহা কিছু আছে অন্যকে দিয়াই সুখী, দিতে পারিলেই সুখী । প্রেম কিছুরই প্রত্যাশ করে না । প্রেমের পরিবর্তে অপ্রেম পাইলেও সে সুখী । প্রেমরাজ্য চিরপূর্ণিমা, চিরযৌবন, চিরনূতনের দেশ । প্রেমের হাটে পুরাতন জিনিস মিলে না । পুরাতন সামগ্ৰী সংসারের হাটেই মিলে । চিরবসন্ত, প্রেমিকের চক্ষে প্রিয়জন চিরনূতন আন- । cosa ús H, “Ever new delight" প্রেম অজর, অমর | উচার জ্বর মৃত্যু ই। প্রেমে তরঙ্গ নাই, চঞ্চলতা নাই । উহ। প্রশান্ত, গম্ভীর, নিস্তরঙ্গ তামৃত-সিন্ধু । যে প্রেম কখন আছে, কখনও নাই, এই রূপ জুয়ার ভাটার মত আসে যায়, যাহা ল \& i | J | করিয়া দেয় । যথার্থ প্রেম অতল গভীর, স্থির সৌদামিনী, অবাত কম্পিত দীপশিখা ৷ { দেবতারা এত পুষ্প-প্রিয় কেন ? না, পুষ্প প্রেমেরই জড়ীয় বিকাশ বলিয়া । “Flowers are lovely; Love is flower like.” প্রেম আত্মা-তরুর পারিজাত কুসুম । প্রেম স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্যের মধ্যেসেতু,যোজক । প্রেম “অন্ত” হইতে নিঃস্থত হইয়া অনন্তকে ছুটিয়া ধরে, অনন্তকেও দ্রব “অন্তের” প্রেমের ফাদে অনন্ত ও ধরা পড়েন । এতদেশীয় লোকদের বিশ্বাস যে, প্রেমোন্মত্ত মহাদেবের প্রেম-সঙ্গীতে ভবেশ ও গলিয়। গিয়াছিলেন, এবং তাহাতেই দ্রবময়ী গঙ্গার डेढुद হইয়াছিল | প্রেম & অন্তকে ” আনন্তের সঙ্গে মিলাইয়া দেয় । “অন্ত” অনন্তকে তোমার ।” বৃত্তের কিয়দংশ দাও, অঙ্ক-বিশারদ উহা হইতেই সমগ্র বৃত্ত বাহির করিবেন ; তেমনি প্রেমিককে অপূর্ণ বস্তু দাও, তিনি তাহাকে পূর্ণ করিবেন, তাহাতে কিছু অভাব আছে, তাহা তিনি নিজ কল্পনা দ্বারা যোগাইবেন । তুমি আমি জগৎকে যে চক্ষে দেখি, প্রেমিক সে চক্ষে, সে ভাবে দেখেন না। তাহার নিকট সমস্ত জগৎ সুন্দর । তাহার হৃদয়ের শোভা পৌর্ণমাসাৰ চন্দ্রকিরণের ন্যায় জগতের মুখে ছড়াইয়া পড়িয়াছে । প্রেমিক কুষ্ঠ-রোগীর মধ্যে কি দেখেন তিনিই জানেন । তিনি তাছাকে “প্রিয়দর্শন” বলিয়া প্রেমভরে আলিঙ্গন করেন । আমরা যাহাকে কদৰ্য্য মনে করি, প্রেম তাহার রূপ রাশিতে বিমোহিত হয় । বলেন “তুমি আমার, আমি フ;7*富ーN মাহ।