পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פצ8S - صs asصsص sصد سعد محمدsع _ == ജിബ് ബ് רד সঙ্কীর্ণমনা হইয় পড়ে, জগৎ আর তাহার প্রেম পায় না ; কিন্তু কৃপ যেমন বারিপূর্ণ হইলে উথলিয় উঠে এবং উহার জল চতুদিকে ছড়াইয় পড়ে, সেইরূপ মানুষ প্রথমে একজনকে যথার্থ রূপে ভালবাসিতে শিখিলে পর,তাহার হৃদয়ের সঙ্কীর্ণ প্রেম উথলিয়া জগৎময় ছড়াইয়। পড়ে, এবং উদার বিশ্বপ্রেমে পরিণত হয় । রূপে প্রেমের গতি ক্রমেই অনন্তের দিকে, এই | তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা মহাসিন্ধুর দিকে ছুটে, এবং অবশেষে । সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডকে গ্রাস না করিয়া ছাড়ে बl । পৃথিবীর বস্তুতে আমরা কোন দিব্য । লাগিলেই রাশি রাশি পাপ নিমেষ মধ্যে সৌন্দর্য্য দেখিতে পাই না । কিন্তু কিয়ৎকাল চন্দ্রের দিকে চাহিয়া তাঙ্গার পর কোন বস্তু দেখিলে উহা, যেমন, পৃষ্ণাপেক্ষা অারও মনোহর দেখায় এবং অপুৰ্ব্ব সৌন্দর্য্যে স্নাত বলিয়। বোধ হয়; সেইরূপ, পার্থিব বস্তুর প্রতি প্রেম অতি পবিত্র ও বিশুদ্ধ না হইলেও, এবং “মায়া, মোহ” ইত্যাদি বাক্যে অভিহিত হইলেও, উহার গতি যদ পরমেশ্বরের দিকে ধাবিত হয়, , তবে ভগবৎ-প্রেম-প্রসূত পার্থিব প্রেম এক অভিনব অলৌকিক আভাতে পূর্ণ হয় । । ঈশ্বর-প্রেমিক যে সংসারের উপর বিরক্ত তাহা নহে ; তিনি সংসারকে পবিত্র নয়নে দেখেন, এবং উহা তাহার প্রিয়তমেরই পলিয়। স” সারকে বড়ই ভালবাসেন । জ্যোতি যেমন অন্ধকারের মহাশত্ৰু, ঈশ্বর-প্রেম তেমনি অসতী ও পাপের মহা বিরোধী। হৃদয়-কুটীর মধ্যে যতষ্ট প্রেমের আলোক প্রবেশ করে, ততই পাপের অন্ধকার দূরীভূত হয়। হৃদয় কুটীরের একটা মাত্র গবাক্ষ খুলিয়। রাখিলে, রিপুদল পলাইবার পথ পায় না । এক দিবস আমার একটা বন্ধু শ্ৰীমন্ম s २ कछ, s छ। न ====== خص۶ - En sta --------- مت سپ ہوتی ہے۔ _ --TarunnoBot (আলাপ) হর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে প্রশ্ন করিলেন যে “হে অাৰ্য্য ! পাপের সহিত সংগ্রামে ত ছট্‌ফট্‌ করিতেছি। এখন নিরাপদ স্থল কোথায় বলুন ।” পূজ্যপাদ মহর্ষি উত্তর করিলেন “প্রেমে । প্রেমই একমাত্র নিরাপদ স্থল । আমাদের সঙ্গীতে আছে,— “প্রেমমুখ দেখ রে তাহার। শুভ্র সত্য স্বরূপ সুন্দর নাহি উপমা তার। যায় শোক, যায় তাপ, যায় হৃদয়-ভার ; সৰ্ব্ব সম্পদ তাহে মিলে থাকিলে তার সাথ ।” তাপ, অর্থাৎ পাপ ।” একটি মাত্র প্রেম-স্ফূলিঙ্গ আত্মাতে ভস্মীভূত হইয়া যায়। প্রেম আত্মার চক্ষু কৰ্ণ ফুটাইয়া দেয়, বিশ্বাস-চক্ষুকে খুলিয়া দেয়, জ্ঞান-দৃষ্টিকে উজ্জ্বল করিয়া দেয় । অন্যে যাহা শুনিতে পায় না, সেই স্বগীয় সঙ্গীতের অমৃতলহরী প্রেমিকের শ্রবণবিবরকে পরিপূরিত করে। অন্যে যেখানে কিছু দেখিতে পায় না,প্রেম সেখানে,কি কথ। কে জানে, পড়িতে পায় । ঈশ্বর-প্রেমিকের কাছে জগতের প্রত্যেক পদার্থই সেই প্রেম-জলধির এক একটা ক্ষুদ্র ঢেউ। মানব চক্ষু যেমন প্রেমের কাহিনী শুনায়, প্রেমিকের নিকট তেমনি ত্রিভুবন স্বষ্টিকৰ্ত্তার প্রেম কীৰ্ত্তন করে । স্বচ্ছ র্কাচ নিৰ্ম্মিত দীপ মধ্য হইতে যেমন জ্যোতি বাহির হয়, প্রেমের চক্ষে এই ব্রহ্মা গু, সেইরূপ স্বচ্ছ ; প্রেমিক উহার মধ্যে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রেমের জ্যোতি দেখিতে পান। তিনিই “ফুটন্ত ফুলের মাঝে লুকান মায়ের হাসি” দেখিতে পান । ঈশ্বর-প্রেমিক ঐশ্বরিক ভাবে পূর্ণ।