পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাষাঢ় ১৮১২ حص-سب سے তিনি শান্ত, নিশ্চিন্ত, ভাবনাশূন্য । তাহার প্রেম 8 _ _ _ _ o | প্রিয়তমের “তশবীরই” বগলে করিয়া । ধন এমন “ব্যাঙ্কে” সঞ্চিত, যাহা কখনই বিচারকের নিকট উপস্থিত হইব ।” “দেউলে” পড়ে না। এক বিন্দু চক্ষের জল, একটা দীর্ঘ নিশ্বাস-রূপ “চেক্‌” যেমন গোলাপরাজ সমকে শোভা পান, পাঠাইলেই তাহার সকল অভাব মোচন । হয়, সকল দুঃখ দূরে যায়। ঈশ্বর-প্রেমিক কিছুরই ভয়ে ভীত । হয়েন না, কারণ সকলই তাহার প্রিয়তমের হস্তে । তিনি মৃত্যুর মধ্যে কেবল মায়ের বীণানিন্দিত মধুমাখা ডাক শুনিতে পান, মায়ের দিব্য-জ্যোৎস্নাময় সঙ্গস্য আনন দেখিতে পান। কেবল তিনিই বুঝিয়াছেন যে পরমাত্মা রসস্বরূপ তৃপ্তিহেতু, আনন্দরূপমমৃতং । চাতক ঘোর পিপাসাতুর হইলেও যেমন সে পৃথিবীর সমুদ্র-পূর্ণ বারি স্পর্শ করে না, একবার চাহিয়াও দেখে না, তাহাতে তাহার তৃপ্তি হইবার নহে, সে কেবল “ফটিক জল ৷ ফটিক জল ৷ ” করিয়া উদ্ধে উঠিয়া মেঘেরই নিকট হইতে এক বিন্দু বারি চাহে এবং তাহাতেই তৃপ্তি ও শান্তি পায় ; সেইরূপ, প্রেমিক সংসার-সমুদ্রের তীরে থাকিলেও, সংসারের বারিতে র্তাহার তৃপ্তি হয় না বলিয়া তিনি তাহার পানে চাহিয়াও দেখেন না, তাহা স্পর্শও করেন না, কেবল “এক বিন্দু প্রেম ! এক বিন্দু প্রেম ! !” বলিয়া চিদাকাশে উঠিয়া সদাই সতৃষ্ণ নয়নে প্রেমময়ের দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া থাকেন। এক বিন্দু প্রেম পাইলেই তিনি সুখী, তৃপ্ত । প্রেমিক মুক্তিও চাহেন না, তিনি কেবল মুক্তিদাতাকেই চাহেন। প্রেমিক হাফেজই বলিতে পারেন “শেষ বিচারের দিন সকলেই পুণ্যের ছাল লইয়া ভারাবনত মস্তকে বিচারকের নিকট যাইবে, কিন্তু আমি কেবল আমার আতপতাপে তাপিত বসোরাতেই সেইরূপ, বিপন্ন ও দুঃখ-পীড়িত হৃদয়েই প্রেম অধিক শোভা পায় এবং সৌরভ ঢালে । বহ্লিতে দগ্ধ না হইলে যেমন গন্ধদ্রব্যের প্রকৃত সৌরভ বাহির হয় না, পুষ্পকুলকে পেষণ না করিলে যেমন তাহা হইতে অতির গে। লাব পাওয়া যায় না, তেমনি, পরীক্ষারূপ অনলে না পু ড়িলে, বিপং-ভারে নিম্পেষিত না হইলে প্রেম হইতে প্রকৃত স্তসৌরভ বিনিগত হয় না । অন্ধকারের মধ্যে হীরক যেমন অধিকতর উজ্জ্বলতা লাভ করে, দুঃখ বিপদের সময়ে প্রেম ও তেমনি অধিক দাপ্তি ও শোভা লাভ করে । শিরোভাগে যোগাসনে জনশূন্য চিরতুষারাবৃত হিমালয়ের উপবিষ্ট ধ্যাননিরত শুভ্রকেশ ঋমি ব্রহ্ম-দৰ্শন করিতে সক্ষম হয়েন বটে, কিন্তু পৃথিবীর শিখরদেশ হইতে, জ্ঞানের রাজ্য হইতে অবতরণ করিয়া, প্রেমের দেশে আসিয়া, উত্তপ্ত পুষ্পোদ্যানের বুলবুল হইয়া, প্রেমকৃজন দ্বারা সদ্ভাবকুসুমকলিকাগুলিকে প্রক্ষু টিত করিতে না পারিলে ব্রহ্মরসপান করা যায় না, সেই প্রেমঘন সচ্চিদানন্দ পুরুষকে উপভোগ করিতে পারা যায় না । পূজনীয় শ্ৰীমৎ প্রধানাচাৰ্য্য মহাশয় প্রসঙ্গক্রমে একদিবস বলিয়াছিলেন “বহি রাকাশ ভগবানের সদর । অন্তরাকাশ তাছার অন্দর । অন্দরে “বেরান” বা বাহিরের লোকের প্রবেশ নিষেধ । সে থানে কেবল প্রেমের লোক প্রবেশ করিতে পায় । সেই হৃদয়-গুহাই তাহার “খাশ দরবার।” প্রেমিকের হৃদয়ই র্তা