পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৮

8bー তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कन्न, 8 ७jर्भ مسلسrgصحسسسسسسسسد হার “কায়েম্ মোকামৃ।” আর্শ বা সপ্তম স্বগের জ্ঞানেতে উজ্জ্বল এবং ধৰ্ম্মেতে উন্নত দেবতাগণও ব্রহ্মের সন্দর্শন লাভে বঞ্চিত, কিন্তু যে প্রেমিক নিজ হৃদয় নিকুঞ্জবনকে প্রিয়তমের আগমনের জন্য পবিত্র করিয়া রাখিয়াছেন, তিনি সৰ্ব্বদাই তাহাকে তথায় দর্শন করিয়া ধন্য এবং কৃতার্থ হয়েন । যিনি প্রেমধনে ধনী, “তস্য তুচ্ছং সকলং ।” প্রেমিকের হৃদয় পরমেশ্বরের প্রিয় বাসস্থান । “প্রেমস্থ ্যে ধ।দ ভাতি ক্ষণমেকং হৃদয়ে, সকলং হস্ততলং ” মনুষ্যের কি অপূৰ্ব্ব অধিকার । প্রেমের কি মহীয়সী শক্তি ! প্রেমের ডোরে প্রকাণ্ড, অনন্ত, অপরিসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতিকে ক্ষুদ্র মানবের হৃদয়রূপ পর্ণকুটারে ভরিয়া বাধিয়া রাখা যায় ! নিবিড় অন্ধকারাচ্ছন্ন নিশীথে এক একবার অগণ্যতারকামণ্ডিত অপূৰ্ব্বশোভাময় অনন্ত অt কাশের দিকে দৃষ্টিপাত করি, ও এক । একবার নিজের ক্ষুদ্র, মলিন হাদয়ের পানে αυμα» একটা ক্ষুদ্র, ভাঙ্গা, মলিন হৃদয়ের বিনিময়ে অনন্ত প্রেম,সুখ এবং অমৃত পাইবে।” আজিও আমাদের অবশ প্রাণ জাগিতেছে না, মোহ-নিদ্রা ভাঙ্গিতেছে না। ঐ ! উহারা আমাদের তাচ্ছিল্য এবং অব- | লেহাতে লজ্জিত হইয়া, চক্ষু মুদিত করিয়া একখানা প্রকাণ্ড মেঘের অন্তরালে মুখ লুকাইল । উহাদের সঙ্গে আমাদের প্রাণের টান আছে, তাই উহারা দুঃখ এবং লজ্জা পাইয়া ও প্রত্যহই আমাদের হিতকামনা এবং মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করে । তাহারা সমস্ত রাত্রি শিশির বিন্দুর ছলে আমাদের দুৰ্ম্মতির জন্য শোকাশ বিসর্জন করে । কিন্তু আমাদের আত্মা চির দিন বধির, মোহ-নিদ্রায় অভিভূত । চাহিয়া দেখি, এবং এই মহৎ অধিকারের । বিষয় ভাবিতে ভাবিতে কোথায় কোন ৷ রাজ্যে চলিয়া যাই । অবশেষে চিত্ত ক্লান্ত এবং অবসন্ন হইয়। ফিরিয়া আইসে । দিবাভাগে সংসারের ধূলা লইয়। ভুলিয়। থাকি, কিন্তু যখনই মুক্ত নৈশ গগনের দিকে নয়ন ফিরাই, তখনই কোটি কণ্ঠে তারকসমাজ বিস্মৃতি ও অমনোযোগের জন্য আমাদিগকে তিরস্কার করে, এবং মানব জীবনের এই উচ্চ ও শ্রেষ্ঠ অধিকারের | বিষয় তামাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেয় । আজিও তাহার। একবাক্যে বলিতেছে “যদি জীবন চাও, তবে আত্মার মেরায় প্রেমের ব্যাপার করিতে আইস । এখানে স্বয়ং পরব্রহ্মের সহিত কারবার হয় । s | i | | | সহস্ৰ সহস্ৰ জ্ঞানবান পণ্ডিত এবং ধনবান রাজাধিরাজ জলবুদ্ধদের ন্যায় কালসমুদ্রের বক্ষে উদয় হইতেছে এবং নিমেষ মধ্যে কোথায় পূনরায় মিলাইয়া যাইতেছে ; সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ তাহাদিগকে অতীতের ও রায় লইয়। যা ষ্টয়া বিস্মৃতির কক্সবাটিকাতে আর করিতেছে । জগৎ তাহ দিগকে তুলিয়। যা ইতেছে । কিন্তু সহস্র বা পসে এক জন প্রেমিক নবদ্বীপ বা বেথেল মে আভু্যদিত হইয়াছিলেন বলিয়। আজি ও অগণ্য নরনারীর হৃদয়ে কতই প্রেমের তরঙ্গ উঠিতেছে ! এক মহাত্মা প্ৰেম-সমুদ্রে বাৰ্ম্ম প্রদান করিলেন, আমৃলি জনসমাজে তাহার ঢেউ উঠিল । উহা বহু শতাবী ধরিয়া চলিয়। অ।সিতে লাগিল – আজি ও পর্য্যন্ত তাহার বেগে মানব সমাজ তোলপাড় হইতেছে। যত দিন মানুস দেবত্বের আদর করিবে, তত দিন ইহঁাদের স্মৃতি জ্বলন্ত অক্ষরে মানব সমাজের বক্ষে অঙ্কিত রহিবে । জ্ঞান মানুষকে মহত্ত্ব দিয়াছে। প্রেম,