পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৯

फाां शछि *४१२ স্বার্থত্যাগ, আত্মোৎসর্গ তাহাকে দেবত্ব দিয়াছে, য়াছে। যেখানে প্রেম, সেইখানেই স্বৰ্গ । যেখানে অপ্রেম, সেইখানেই নরক । যেখানে প্রেম, সেইখানেই এই সকল লক্ষণ বিদ্যমান। যেখানেই তাহার অভাব, সেইখানেই সয়তানের রাজত্ব এবং এই সকল লক্ষণের অভাব । কণ্টকাকীর্ণ বৃক্ষ দেখিলে কে বলিতে মধ্যেই দর্শন শাস্ত্র পাঠ কর, কেবল দর্শন পারে যে উহা হইতে সুগন্ধী স্তকোমল গোলাপ জন্মিবে ? স্বষ্টির সময় যখন এই পৃথিবী গলিত ধাতুপুঞ্জ ছিল,এবং যখন হিমালয় হইতে ও বৃহৎ বৃহৎ এক একটা গলিত ধাতু লিঙ্গ তাড়িত বেগে শত যোজন উৰ্দ্ধে উঠিতেছিল এবং নামিতেছিল, সেই সময়কার সদ্যজাত পৃথিবীর ভীষণ দৃশ্য দেখিয়া কে আশা করিতে পারিত যে ধরণী আবার বৃক্ষ-লতায় ভূষিত হইয়া এই শান্ত এবং মনোহর বেশ ধারণ করিবে ? অমাবশ্যার ঘন অন্ধকার দেখিয়া কে ভাবিবে ঘে সেই ভয়ঙ্কর তমসাচ্ছন্ন আকাশ আবার চন্দ্রের হাসিতে ভাসিয়। যাইবে ? অথচ দেখ, প্রেমময়ের গুণে এ সকলিই সম্ভব হইয়াছে । অতএব,আমাদের হৃদয় কণ্টকময় হইলেও, ভয়ানক রিপুর আবর্ত এবং অশান্তির স্থল হইলেও, আমাদের অন্তরাকাশ ঘনতমসাচ্ছন্ন হইলেও, আমরা নিশ্চয়ই আশা করিতে পারি, যে এক- যে গুলে স্ত" বা পুষ্পোদ্যানে বুলবুল পক্ষা দিন না একদিন প্রেমময়ের করুণাতে আমাদের এই হৃদয়েই প্রেমের গোলাপ প্রস্ফুটিত হইবে, শান্তির রাজ্য সংস্থাপিত হইবে, এবং চিরপূর্ণিমা রাজত্ব করিবে । বনফুল এবং দৈববলে বলীয়ান করি বনফুল । দ্বিতীয় গুচ্ছ । (>) ১। আত্মার নির্জন কুটীরে প্রবেশ না করিলে, যথার্থ বেদ পাঠ করা যায় না । আত্মার মধ্যে স্বয়ং জীবন-বেদ উন্মুক্ত রহিয়াছেন। সেখানে তাহাকে না পাঠ করিলে আর কোথাও পাঠ করা যায় না। আত্মার শাস্ত্ৰ পড়িয়া তঁহাকে দর্শন করা যায় না । ২। আমাদের প্রেম, ভক্তি,বিশ্বাসের এখন বড়ই “টানাটানি” । তুমি যদি এই হৃদয় কুটীরে বাস করিতে চাও, তবে নিজ ব্যয়ে উহ। “মেরামং” করাইয়া সাজাইয়৷ 可51 ৩ । আমাদের মনকে রবারের গদির মত করিতে হইবে । উহাতে যতই কেন নৈরাশ্য এবং দুশ্চিন্তার ভার পড়ুক না, যেন অচিরেই উহ। পূর্বের স্বাভাবিক অবিচলিত অবস্থা প্রাপ্ত হয় । ৪ । সপ্তমবর্মীয়া বালিকার পক্ষে যৌবন,বিবাহ ও মাতৃ অবস্থার কথা সৰ্ব্বদ। | | বলা যেমন অনধিকারচর্চ। মাত্র, অামাদের পক্ষেও তেমনি সৰ্ব্বদা বিশ্বাস, প্রেম, ভক্তির উচ্চ উচ্চ কথা বল “জ্যাঠামী” বা অনধিকারচর্চা মাত্র । ৫ । পারস্য দেশের লোকের বিশ্বাস উযাকালে প্রেমসঙ্গীত না শুনাইলে আভিমানিনী গোলাপ অবগুণ্ঠন উন্মোচন করে না । সেইরূপ স্বয়ং পরমাত্মা বুলবুল হইয়া হৃদয় কাননে প্রেমকৃজন না করিলে, মোহ আবরণ উন্মোচিত হয় না, প্রাণ খুলে না, আত্মা ফুটিয়া তাহার শোভা ও সৌরভ বাহির হয় না। উষার কিরণ পদ্মিনীকে চুম্বন না করিলে কখনও কি সে