পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

”سے tरुर्थांश्धं v • २ নববষ o (r মোহিনী বীণা শুনিতে শুনিতে কোনো এক শুভ মুহূর্তে যখন আত্মার চক্ষু পর, মাত্মার প্রতি ফিরিয়া যায় তখন আত্মা প্রকৃতির হস্ত হইতে বীণা কাড়িয়া লইয়া এরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় মধুর স্বরে পরমাত্মার গুণ-গান আরম্ভ করে যে, চরাচর প্রকৃতি তাহা শুনিয়া পুলকে স্তব্ধ হইয়া যায়— এবং পাষাণ হৃদয়ও অশ্রুবারিতে দ্রবীভূত হইয়া যায়। প্রকৃতির গীত অপেক্ষা অাত্মার গীত অনেক উচ্চ গ্রামের এবং উচ্চ স্বরের গীত ; সে গীতের প্রত্যেক হিল্লোলে অনন্ত সত্যের অনন্ত সৌন্দর্য্যের অনন্ত মঙ্গলের তরঙ্গ-লহরী প্রবাহিত হইয়া Fরাচর প্রকৃতিকে নুতন করিয়া গড়িয়া তোলে! এখন দেখিতেছ যে,প্রকৃতি প্রধান গায়ক, মনুষ্য তাহার অনুগায়ক ; কিন্তু এই মর্ত্য মনুষ্য যখন ঈশ্বরের ভাবের ভাবুক হইয়া অমর্ত্য হইয়া উঠিবে—তখন দেখিবে যে,মনুষ্যই প্রধান গায়ক-প্রকৃতি তাহার অনুগায়ক মাত্র। এখন দেখিতেছ যে, মনুষ্য প্রকৃতির অনুকরণ করিতে পারিলেই আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করে ; কিন্তু মনুষ্য যখন ঈশ্বরের অনুরক্ত ভক্ত হইয়া ঈশ্বরের কার্য্যে কায়-মনোবাক্যে । ব্ৰতী হইবে, তখন দেখিবে যে, মনুষ্যকে অনুকরণ করিবার জন্য সমস্ত প্রকৃতি চেষ্টা করিয়া সারা হইতেছে—কিছুতেই কৃতকার্য্য হইতে পারিতেছে না। অদ্য আমাদের বিশেষ রূপে এইটি স্মরণ কর। কৰ্ত্তব্য যে, আমরা প্রকৃতির অধীনস্থ প্রজা নহি— কিন্তু প্রকৃতির আমরা অধিকারী ! আমরা ঈশ্বরের পুত্র অমৃতের অধিকারী। আমরা কোনো বিদেশী রাজার অধিকারে উপস্থিত হই নাই—আমরা আমাদের পরম-পিতা এবং পরম মাতার ভবনে-- আমাদের চিরস্তন পৈতৃক ভবনে উপস্থিত হইয়াছি । তাহার নিদর্শন আজ আমাদের অস্তরে বাহিরে দেদীপ্যমান ! আমরা আজ কত যেন অজ্ঞাত অপরিচিত বিদেশ হইতে কি যেন এক সুধাময় শান্তি নিকেতনে—আপনার হইতেও আপনার নিকেতনে—উপনীত হইয়াছি ? দেবতারা যেন আমাদিগকে স্বাগত সম্ভাষণ করিতেছেন – “মধ্যে বামনমাসানং বিশ্বে দেবা উপাসতে !” বিশ্বের আরাধ্য পরম-দেবতা আজ আমাদের পূজা গ্রহণ করিতেছেন— আজ আমাদের কত না আনন্দ ! হে পরমাত্মন! এই বৎসরের প্রারম্ভ-দিবসে আমরা আজ প্রত্যুষে গাত্রোথান করিয়া তোমার প্রসাদ-বারির জন্য তৃষাতুর চিত্তে এখানে সমাগত হইয়াছি । তোমার প্রসন্ন মুখ-জ্যোতি তুমি আজ আমাদের সমক্ষে প্রকাশ কর—তাহাই আমাদের সম্বৎসরের ধ্রুব তার হইবে । মাত। পিতা গুরু বন্ধু তুমি আমাদের সবই ; তোমাকে নিকটে দেখিলে আমরা কোনো ভয়েই ভীত হই না—কোনো দুঃখেই কাতর হই না, কোনো সুখেই মুগ্ধ হই না। তুমি যখন তামাদের আশ্রয় এবং নেতা তখন আমাদের কিসের ভয়—কিসের অভাব ! তুমি যখন আমাদের প্রিয়তম সুহৃৎ তখন আমাদের সুখ-সৌভাগ্যের সীমা কোথায় ? তখন ত্রিভুবনের ঐশ্বৰ্য্য আমাদের করতলে । তোমার মত এমন আমাদের নিজস্ব ধন থাকিতে—কেন আমরা পথে পথে হাহাকার করিব ? অাজ তুমি আমাদের তৃষিত নয়নে তোমার প্রসন্ন মুখজ্যোতি প্রকাশ কর—আমাদের তৃষিত হৃদয়ে তোমার প্রেমামৃত বিন্দু প্রদান কর—সম্বৎসরের মধ্যে তোমার দর্শনের এমন শুভ অবসর আর আমাদের সহস৷ মিলিবে না । তোমার মুখ নিরীক্ষণ করিয়া